ফতুল্লায় জেএমবির দুই সদস্য গ্রেপ্তার, উগ্রবাদী বই ও লিফলেট উদ্ধার

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় নিষিদ্ধ জঙ্গী সংগঠন জেএমবির দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। ওই দুই জঙ্গীর কাছ থেকে বিপুল পরিমান উগ্রবাদী বই ও লিফলেট উদ্ধার করা হয়। ১৩ অক্টোবর রবিবার বিকেলে র‌্যাব-১১ এর মিডিয়া অফিসার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলেপ উদ্দীন এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, গোয়েন্দা সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানাধীন একটি মাদ্রাসার কক্ষে জেএমবি সদস্যরা গোপন বৈঠকে মিলিত হয়েছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-১১ এর একটি আভিযানিক দল গত ১২ অক্টোবর শনিবার দিবাগত রাতে অভিযান পরিচালনা করে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গী সংগঠন জেএমবির ২ জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- মোঃ মেহেদী হাসান ওরফে মুরাদ ও মোঃ আমানউল্লাহ। এ সময় তাদের নিকট থেকে বিপুল পরিমাণ উগ্রবাদী বই, উগ্রবাদী লিফলেট ও ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাব আরও জানায়, মোঃ মেহেদী হাসান ওরফে মুরাদের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানাধীন এলাকায়। সে ২০১০ সালে স্থানীয় স্কুল হতে এসএসসি ও ২০১২ সালে নারায়ণগঞ্জের একটি কলেজ হতে এইচএসসি পাশ করে এবং ২০১৬ সালে ঢাকার বেসরকারী একটি বিশ্ববিদ্যালয় হতে বিএসসি (টেক্সটাইল) সম্পন্ন করে। সে ২০১৪ সালে কথিত এক বড় ভাইয়ের মাধ্যমে জেএমবিতে যোগদান করে।

জেএমবিতে যোগদানের পর নারায়ণগঞ্জ সহ দেশেরে বিভিন্ন অঞ্চলে জেএমবির সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করে আসছিল। সে অনলাইন হতে উগ্রবাদী বই ও ভিডিও ডাউনলোড করতঃ বিতরণ করে জেএমবির সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দাওয়াতি শাখার কাজ করে আসছিল। তার মাধ্যমেই গ্রেপ্তারকৃত আসামী মোঃ আমানউল্লাহ উগ্রবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে জেএমবিতে যোগদান করে।

আমানউল্লাহর বাড়ি কাউখালী জেলার পিরোজপুর থানাধীন এলাকায়। সে বরিশালের একটি স্থানীয় মাদ্রাসা হতে কামিল পর্যন্ত পড়াশোনা সম্পন্ন করে নারায়ণগঞ্জের একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা পেশায় চাকুরী করতো। সে চাকুরীর পাশাপাশি ছদ্মবেশে জেএমবির দাওয়াতি শাখার কার্যক্রম পরিচালনা করতো। মাদ্রাসায় তার কক্ষটি আলাদা থাকায় সে জেএমবি সদস্যদেরকে নিয়ে গোপন বৈঠক করতো।

র‌্যাব জানায়, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ গোপনে সংগঠিত হয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গী সংগঠন জেএমবির কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে এবং আইন শৃংখলা বাহিনীর উপর হামলার ও জেল হতে আটককৃত জেএমবির সদস্যদের মুক্ত করার পরিকল্পনা এবং সংঘঠনের জন্য তহবিল সংগ্রহ করে বিভিন্ন ধরণের নাশকতামূলক কর্মকান্ড করার অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।