নেতৃত্ব হারাতে যাচ্ছেন রনি, সুযোগ নিচ্ছেন সজীব

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদে অংশগ্রহণ করেছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মশিউর রহমান রনি। নির্বাচনে তিনি ভোটে ১৯ জন প্রার্থীর মধ্যে ১৯তম হয়েছেন।

১৪১ দিন কারাভোগ করলেও ছাত্রদলের নেতৃত্বে তাকে ভোট দেয়নি সারাদেশের ছাত্রদলের শীর্ষ নেতারা। কেন্দ্রীয় সম্মেলনে ভরাডুবির কারনে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সভাপতির পদটিতেও বহাল থাকা তার জন্য দূরহ হয়ে পড়েছে।

কারন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের নতুন কমিটি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারতে নারায়ণগঞ্জ থেকে জেলা ছাত্রদলের সেক্রেটারি খায়রুল ইসলাম সজীবের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা ঢাকায় শোডাউন করেছেন। তবে রনি ওই অনুষ্ঠানে যোগদান করলেও তার সঙ্গে নেতাকর্মীর সংখ্যা ছিল খুব কম।

এদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের কমিটি গঠন করা হলেও প্রায় দেড় যুগের বেশি সময় ধরে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় যেখানে নেই কমিটি সেখানে তারা কমিটি গঠন করতেও পারেনি। যার দায়ভার সভাপতি ও সেক্রেটারির। এমন অভিযোগ নেতাকর্মীদের। ছাত্রদলের অনেক নেতাকর্মীরা যুগ ধরে রাজনীতি করলেও ছাত্রদলের একটি সদস্য পদে পাননি। অনেক আশা আকাঙ্খা দেখিয়েছিলেন রনি ও সজীব। কিন্তু তারাও সেই প্রত্যাশা পুরণ করতে পারেননি। কমিটি গঠনের সভাপতি ও সেক্রেটারির মধ্যে দেখা দেয় সমন্বয়হীনতা। যদিও দুজনই জেল খেটেছেন দীর্ঘদিন।

কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের জাতীয় কাউন্সিলে মশিউর রহমান রনি ১ ভোট পেয়েছেন, কেউ বলছে ৯ ভোট পেয়েছে আবার কেউ বলছে ১৫ ভোট। আর এসব ফলাফলে রাজনৈতিক অঙ্গনে রনি এখন হাসির খোরাকে পরিনত হয়েছেন। এমন সুযোগ নিতে যাচ্ছেন সজীব।

এখানে উল্লেখ্যযে, বিএনপির জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ভোটের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন ফজলুর রহমান। সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন ইকবাল হোসেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের শাহজাহানপুরের বাসায় ছাত্রদলের শীর্ষ দুই পদের জন্য কাউন্সিলরদের ভোট হয়। ভোটের ফলাফল পরদিন বৃহস্পতিবার ভোরে প্রকাশ করা হয়। ফজলুর রহমান ১৮৬ ভোট পেয়ে সভাপতি হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি কাজী রওনকুল ইসলাম পেয়েছেন ১৭৮ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে ইকবাল হোসেন পেয়েছেন ১৩৯ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি জাকিরুল ইসলামের ভোট ৭৪। সাধারণ সম্পাদক পদে লড়তে গিয়ে নারায়ণগঞ্জের এক মাত্র প্রার্থী রনি নিজের ভোট ছাড়া জেলার আর কারো ভোট পায়নি বলে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় একটি সূত্রে জানাগেছে। ফলে নারায়ণগঞ্জের ১০ জন ভোটারের মধ্যে ৯জনই রনিকে ভোট দেননি।