নারায়ণগঞ্জে ৪ মামলায় আসামি যারা

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের তিনটি থানায় পৃৃথক ৪টি নাশকতার মামলায় বিএনপি জামাতের ২২১জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। এসব মামলায় ১০৯ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ৪টি মামলায় আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা সরকার উৎখাত করার ষড়যন্ত্রে নাশকতার পরিকল্পনা করেছিল।

থানা পুলিশ সূত্রে জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশ বাদী হয়ে ৩৯ জনকে আসামী করে নাশকতার মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলায় মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল, সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ুন কবির, হাজী নূরউদ্দীন আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আওলাদ হোসেন, মনিরুল ইসলাম সজল, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক অহিদুল ইসলাম ছক্কু, মহানগর শ্রমিকদলের প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক গোলাম কাদের, শহর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি এমএইচ মামুন সহ ৩৯জনকে আসামী করা হয়।

শনিবার শীতলক্ষ্যা ফাঁড়ির এসআই আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন। এ মামলায় গ্রেপ্তারকৃত ১৪জনকে আসামী করা হয়। এ মামলায় অভিযোগ করা হয় আসামীরা সরকার উৎখাতে ষড়যন্ত্র করে নাশকতার পরিকল্পনা করেছিল। আসামীদের কাছ থেকে ২টি অবিস্ফোরিত ককটেল ও ৫টি ইটের টুকরো উদ্ধার দেখানো হয়।
এদিকে ফতুল্লা মডেল থানায় পৃথক দুটি মামলায় বিএনপি জামাতের ১৩১ জনকে আসামী করা হয়েছে। এ দুটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে ৬৩ জনকে।

শনিবার সকালে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের এসআই কামরুল হাসান ও এসআই আব্দুল শাফিউল আলম বাদী হয়ে পৃথক দুটি নাশকতার মামলা দায়ের করেন। নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা নয়ামাটি পাগলা হাইস্কুল, প্রাইমেরী স্কুলের পাশের গলি ও মাসদাইরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠ সংলগ্ন নারায়ণগঞ্জ ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসা থেকে আসামীদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

এ মামলায় নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন থেকে প্রাথমিকভাবে বিএনপির মনোনিত মহানগর যুবদলের সভাপতি মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হাসান রোজেল, মহানগর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক রশিদুর রহমান রশু সহ ১৩১ জনকে দুটি মামলায় আসামী করা হয়। এছাড়াও মোল্লা সল্ট ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেডের মালিক খবির উদ্দীন মোল্লা, সুপার স্টার বাল্প লিমিটেডের মালিক ইব্রাহীম, ডা. আলী আশরাফ, সৈয়দ নূরউদ্দীন আহমেদ খুশি, ডা.মানিক ও খুলিলুর রহমানকে নাশকতার পরিকল্পনায় পৃষ্টপোষকত ও অর্থযোগানদাতা হিসেবে আসামী করা হয়। দুটি মামলায় মুল অভিযোগ আসামীরা সরকার উৎখাতে ষড়যন্ত্র করে নাশকতার পরিকল্পনা করেছে। মামলায় ১৮টি অবিস্ফোরিত ককটেল ও ৩০টি জিহাদী বই উদ্ধার দেখানো হয়।

অন্যদিকে বন্দর থানা পুলিশের এসআই হানিফ বাদী হয়ে আরেকটি নাশকতার মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় ৫১জনকে আসামী করা হয়। গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে ৩২ জনকে। বন্দরের গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ থেকে আটক করা হয় তাদের। গ্রেপ্তারকৃত ৩২জনকে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে আসামীদের আদালতে প্রেরণ করেছে থানা পুলিশ।