নির্যাতিত আইনজীবী ও তার পরিবারের পাশে জুয়েল মোহসীন

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সভাপতি অ্যাডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েল ও সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ মোহসীন মিয়া বলেছেন, আমরা নির্যাতিত আইনজীবী ও তার পরিবারের পাশে সব সময় দাড়াবো। কোন আইনজীবী ও তার পরিবারের উপর নির্যাতন হলে আমরা পাশে ছিলাম এবং থাকবো।

নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দীন আহাম্মদকে প্রকাশ্যে দিবালোকে কুপিয়ে হত্যার মামলার অন্যতম আসামি আলমগীরকে কারাগারে পাঠিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের একটি আদালত। এই মামলার শুনানি শেষে বার সভাপতি ও সেক্রেটারি এসব কথা বলেন।

এখানে উল্লেখ্যযে, নিহত চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দীন আহাম্মদ হলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট দবির উদ্দীনের ভাই ও অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দীনের বাবা।

বার সভাপতি অ্যাডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েল ও সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ মোহসীন মিয়া বলেন, আমরা আইনজীবীদের প্রয়োজনে আছি এবং থাকবো। আইনজীবীদের বিপদে পাশে আমরা সব সময় থাকবো। কোন আইনজীবী ও তার পরিবারের উপর নির্যাতন হলে আমরা পাশে দাড়াবো।

জানাগেছে, দীর্ঘ ১২ বছর পলাতক থাকার পর ১৯ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে নারায়ণগঞ্জ ২নং অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পন করে আসামি আলমগীর জামিনের আবেদন করলে আদালত আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আদালতে বাদীর পক্ষে শুনানিতে ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েল, সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ মোহসীন মিয়া, অ্যাডভোকেট দবির উদ্দীন, অ্যাডভোকেট আবুল বাশার রুবেল, অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দীন ও অ্যাডভোকেট দিলীপ বিশ্বাস সহ অর্ধশত আইনজীবী।

আসামি পক্ষের জামিনের আবেদনে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুর রশিদ ভূঁইয়া ও আইনজীবী সমিতির বর্তমান সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আলী আহম্মদ ভূঁইয়া সহ বেশকজন।

তবে এ বিষয়টি নিয়ে আদালতপাড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় অ্যাডভোকেট দবির উদ্দীন ভূঁইয়া ও অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দীনকে।

ঘটনা সূত্রে জানাগেছে, রূপগঞ্জের কায়েতপাড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দীন আহাম্মদ ২০০১ সালের ১৪ নভেম্বর বুধবার বিকেলে ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে উপজেলার ইছাখালী গ্রামে রাস্তায় রিক্সা থামিয়ে কিরিচ, চাকু, ছোড়া ও চাপাতি দিয়ে প্রকাশ্যে দিবালোকে কুপিয়ে হত্যা করে আলমগীর সহ স্থানীয় সন্ত্রাসীরা। লোমহর্ষক হামলায় ঘটনাস্থলেই নিহত হন আফতাব উদ্দীন আহাম্মদ।

এ ঘটনায় নিহতের ছোট ছেলে সোহেল রানা বাদী হয়ে ৯ জনের নাম উল্ল্যেখ করে আরও বেশকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ২১ জন স্বাক্ষীর মধ্যে ১৬ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত। এই মামলায় ৩নং আসামি আলমগীর দীর্ঘ ১২ বছর পলাতক ছিলেন।

মামলায় আসামি করা হয়- রূপগঞ্জের নগরপাড়া এলাকার আব্দুল করিমের ছেলে নূর আহাম্মদ ও নূর মোহাম্মদ, সোহরাব হোসেনের ছেলে আলমগীর ও জাহাঙ্গীর, অছিম উদ্দীনের ছেলে মিজান, মোতালেবের ছেলে হাশেম ও মান্নান, বাগবাড়ী এলাকার সিদ্দিীকের ছেলে ফিরোজ এবং বালুরপাড় এলাকার সাবু হাজীর ছেলে মোহাম্মদ ও আতিক সহ অজ্ঞাতনামা আরও ২ থেকে ৩ জন।