তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলা, আওয়ামী লীগ দেউলিয়া: কাউন্সিলর খোরশেদ

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদ জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সভাপতি কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে খোরশেদ বলেন, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে সরকার প্রমাণ করেছে আওয়ামীলীগ রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া।

এক বিবৃতিতে দাবি করেন- তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত অযৌক্তিক মামলা দায়ের ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানিয়েছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদল।

নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সভাপতি মাকছুদুর আলম খন্দকার খোরশেদ ও সাধারণ সম্পাদক মমতাজ উদ্দিন মন্তু প্রতিবাদ বার্তায় বলেন, আওয়ামী লীগ দূর্নীতির মহা সাগরে ডুবে গেছে। তাদের হাতে চুরি করা ছাড়া আর কোন কাজ নাই। বিএনপি, শহীদ জিয়া, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কথা বলার মাধ্যমে আওয়ামী লীগ রাজনীতিতে টিকে থাকার চেষ্ঠা করছে। যার অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জের অপরিচিত মুখ দিয়ে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে তথা কথিত মামলা দায়ের করেছে। যা আওয়ামী লীগের দেউলিয়াত্ব প্রমান করছে। নেতৃবৃন্দ আবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানিয়েছেন।

এদিকে লন্ডনে থাকা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে একটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন নারায়ণগঞ্জের একটি আদালত। মামলায় লন্ডনে বসবাসকারী আরও দুজনকে আসামি করা হয়েছে।

৯ সেপ্টেম্বর সোমবার দুপুরে জ্যেষ্ঠ বিচারিক আদালত (‘ক’) অঞ্চল আমলী আদালতে আওয়ামীলীগের ধর্ম বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ও জয়বাংলা মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মলীগের কার্যকরী কমিটির আহ্বায়ক আকরাম হোসেন বাদল মামলাটি দায়ের করেন।

পরে এই আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মিল্টন হোসেন অভিযোগ আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

মামলায় তারেক জিয়া সহ যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি শায়েস্তা চৌধুরী কুদ্দুস ও সাধারণ সম্পাদক কওছর এম আহমেদকেও আসামি করা হয়।

বাদী তার মামলায় অভিযোগ করেন, লন্ডনের একটি অনুষ্ঠানের সংবাদ গত ১৯ আগস্ট ২০১৯ এনটিভি, নিউজ টুয়েন্টিফোর ও বিডিনিউজে মামলার ২ ও ৩ নং বিবাদীর সহায়তায় প্রচারিত হয়। এতে দেখা যায়, ১ নং বিবাদী তারেক রহমান তার বক্তব্যে সেদিন বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটাক্ষ এবং স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃত করে মানহানিকর কথাবার্তা বলেন।

‘তিনি বলেছেন, শেখ মুজিব প্রেসিডেন্ট আর নজরুল ইসলাম ভাইস প্রেসিডেন্ট থাকলে সংবিধান গঠিত না হওয়া পর্যন্ত। শেখ মুজিব ১০ তারিখে আসলেন আর ১২ তারিখে প্রধানমন্ত্রী হয়ে গেলেন কোন সংবিধান নাই। তাহলে আমরা কি বলতে পারি শেখ মুজিব স্বাধীনতার ঘোষণা দেননি। বলতে গেলে শেখ মুজিব স্বাধীনতা চাননি।
আমরা কি এটাও বলতে পারি না যে, শেখ মুজিব এসে দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে গেলেন সেটা অবৈধ প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ১৯৭২ সালে এসে শেখ মুজিব প্রধানমন্ত্রী হয়ে গেলেন আর আজকে তার কন্যা যেভাবে অবৈধভাবে নির্বাচিত শেখ মুজিবও সেদিন অবৈধভাবে জোর করে প্রধানমন্ত্রী হয়ে গেলেন। যেভাবে আজকে জোর করে প্রধানমন্ত্রী হয়ে গেছেন শেখ হাসিনা। ’

বাদী পক্ষের আইনজীবী ও জেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরুল হুদা বলেন, বিবাদীগণ বঙ্গবন্ধু ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে মিথ্যা বানোয়াট ও মানহানিকর বক্তব্য দিয়ে ৫০০ ও ৫০১ ধারায় অপরাধ করেছেন।

তিনি আরও জানান, আদালত তিন আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। মামলার আগামী শুনানি আগামী ১০ ডিসেম্বর নির্ধারণ করেছেন আদালত। এমামলায় বাদীসহ আরো ৩ জন্য স্বাক্ষী রয়েছেন।