ফতুল্লায় রাকিব হত্যা, গিয়ার মানিকের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় ফিল্মি কায়দায় এক বন্ধুকে তাড়িয়ে আরেক বন্ধু রাকিবকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মূলহোতা মানিক ওরফে গিয়ার মানিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারের কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে হত্যার দায় স্বীকার ১৬৪ ধারা আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছে গিয়ার মানিক।

১৬ আগস্ট শুক্রবার ভোরে ফতুল্লার পাগলা তালতলা এলাকা হতে গিয়ার মানিককে গ্রেপ্তারের পর শুক্রবার সন্ধায় নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাউছার আহম্মেদের আদালতে জবানবন্দি দেয়।

গ্রেপ্তারকৃত গিয়ার মানিক চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ থানার শাহাপুর রামদাসের বাগ এলাকার আবুল কালামের ছেলে। সে পাগলা কুসুমবাগ ৩নং গলির রেজাউল করিমের বাড়ীর ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে আসছিল।

ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের এসআই মঈনুল হক সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রাকিবের সাথে গিয়ার মানিকের পূর্বের বিরোধ নিয়ে পরিকল্পিতভাবে রাকিবকে হত্যার জন্য মানিক সহ আরো ৪/৫ জন মিলে রাস্তায় অবস্থান করে। রাতে রাকিক সহ তার বন্ধু আব্দুল্লাহ পাগলা হতে রিকশা যোগে বাড়িতে ফেরার জন্য রওনা দেয়। পূর্ব পরিকল্পিতভাবে গিয়ার মানিক গংরা পাগলার নন্দলালপুর রোডে অবস্থান করে। তখন রাকিবদের রিকশা গতিরোধ করে ধারালো ছোরা দিয়ে এলোপাথারীভাবে রাকিকে কুপিয়ে হত্যা করে রাস্তায় ফেলে চলে যায়। রাকিবকে হত্যা করার পরিকল্পনা ছিল ৫/৬ জন। আর হত্যার কিলিং মিশনে ছিল গিয়ার মানিক সহ ৪জন।

তিনি আরো জানান, রাকিব হত্যার ঘটনায় নিহতের বাবা নওশাদ বেপারী বাদী হয়ে গিয়ার মানিককে প্রধান আসামী করে অজ্ঞাতনামা আরো ৭/৮ জনকে আসামী করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করে। এ মামলার প্রধান আসামী গিয়ার মানিককে গ্রেপ্তার করা হয়। আর শুক্রবার সন্ধায় মানিক হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। হত্যাকান্ডে আরো যারা জড়িত রয়েছে খুব শীঘ্রই তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হবে।

প্রসঙ্গত, গত রবিবার গভীর রাতে ফতুল্লার পাগলা এলাকায় পরিকল্পিতভাবে ফিল্মি কায়দায় এক বন্ধুকে তাড়িয়ে আরেক বন্ধু রাকিবকে কুপিয়ে হত্যা করে রাস্তায় ফেলে যায় গিয়ার মানিক সহ তার সাঙ্গপাঙ্গরা।

নিহত যুবক রাকিব ফতুল্লার নয়ামাটি মুসলিমপাড়া এলাকার মজিদ হাওলাদারের বাড়ির ভাড়াটিয়া নওশেদ বেপারীর ছেলে। তার গ্রামের বাড়ি শরিয়তপুর জেলার নড়িয়ায়। সে ফতুল্লার নয়ামাটি এলাকায় কাদিরের ভাংগারির দোকানের কর্মচারী।

হত্যাকান্ডের সময় রাকিবের সঙ্গে থাকা তার বন্ধু আব্দুল্লাহ জানান, রাত সাড়ে ৩টার সময় পাগলা বাজার থেকে কেনাকাটা করে একটি রিকশায় রাকিবের সঙ্গে বাসায় ফিরছিলেন সে। এসময় পাগলা রেলষ্টেশন এলাকায় আসলে একই এলাকার গিয়ার মানিক সহ ৪/৫ জন পথরোধ করে রিকশাটি আটকায়। তখন দূর্বৃত্তরা আব্দুল্লাহকে রিকশা থেকে নামিয়ে চোর চোর বলে ধাওয়া দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। এর কিছুক্ষণ পর আব্দুল্লাহ এসে দেখতে পায় রাকিবের রক্তাক্ত মরা দেহ রাস্তায় পড়ে রয়েছে।