সিটি কর্পোরেশনের উদাসিনতা: বন্দর শাহী মসজিদ এলাকা ময়লায় সয়লাব

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নকর্মীদের উদাসিনতায় নাসিকের ২১নং ওয়ার্ডের বন্দরের শাহীমসজিদ এলাকাটি যেন ময়লা-আবর্জনা একমাত্র স্থান হয়ে দাড়িয়েছে। নাসিকের পরিচ্ছন্নকর্মীদের একাধিকবার বললেও তারা কোন কর্ণপাত করেনি বলেও অভিযোগ ওঠেছে। যে কারনে শাহী মসজিদের প্রধান সড়কে ড্রেনের পাশে বিভিন্ন দোকান ও বাসাবাড়ীর ময়লায় সয়লাভ হয়ে যায়।

স্থানীয়রা বলছেন, সড়কের পাশে ময়লা-আবর্জসনা অপসারন না করার কারনে স্কুলগামী শিক্ষার্থী, মুসল্লী ও পথচারীরা দুর্গন্ধে ওই সড়ক দিয়ে চলাচলে মারাত্মকভাবে স্বাস্থ্যঝুকিতে পড়ছে। আর প্রধান সড়কের মোড় এলাকায় লোভী বাড়িওয়ালারা মুরগীর দোকান ভাড়া দেওয়ায় আরো অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে।

আর এই মুরগীর দোকানীরা বেশি বেচাকেনার লোভে প্রধান সড়কে দোকান দিয়ে মুরগীর কাটা রক্ত, বর্জ্য সড়কের ড্রেনের পাশে ফেলে রাখে। নাসিকের পরিচ্ছন্নকর্মীরা প্রতিদিন না আসায় এ আবর্জনা আরো নোংরা হয়ে দূর্গন্ধ ছড়াতে থাকে। ফলে ওই পথ দিয়ে শিশু শিক্ষার্থী, পথচারী ও মুসল্লী সহ সাধারণ মানুষের চলাচলে চরম ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়। এতে করে বিভিন্ন রোগের প্রার্দুভাব দেখা দিয়েছে। গত ৩০ জুলাই বুধবার দুপুরে নাসিক ২১নং ওয়ার্ড শাহী মসজিদ এলাকায় গিয়ে এ চিত্র পরিলক্ষিত হয়।

এ ব্যাপারে শাহীমসজিদ এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে নামকাওয়াস্তে পরিচ্ছন্ন অভিযান করলেও পরিচ্ছন্নকর্মীরা সবসময় উদাসিনভাবে কাজ করে। তারা সঠিকভাবে ময়লা অপসারণ করেনা। যার কারনে জনসাধারণকে বিপাকে পড়তে হয়।

এ ব্যাপারে স্থানীয় কাউন্সিলর হান্নান সরকার বলেন, ‘আমি সব সময় নাসিকের পরিচ্ছন্নকর্মী দিয়ে আমার ওয়ার্ডকে পরিস্কার রাখার চেষ্টা করি। গত মঙ্গলবার আমি নিজেই রাস্তা পরিস্কার ও মশক নিধণ করতে নেমে পড়েছি। আসলে পরিচ্ছন্নকর্মী চাহিদার তুলনায় কম থাকায় সাময়িক সমস্যাগুলো হচ্ছে। আমার ওয়ার্ডবাসীকে ধৈর্য্য ধারন করার অনুরোধ করছি। তবে ওয়ার্ডবাসীদের চাহিদা শতভাগ পূরণ করতে হয়তো পারবনা তবে ওয়ার্ডবাসী অচিরেই নাসিকের সকল প্রকার সুবিধা ভোগ করবে ইনশাআল্লাহ।’