এই সরকার জনগণের সরকার নয়: সাখাওয়াত হোসেন খান

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচনকে পাতানো নির্বাচন দাবি করেছেন নারায়ণগঞ্জের আলোচিত আইনজীবী নেতা অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান। তিনি বলেছেন, এই পাতানো নির্বাচনে আমরা তো দুরের কথা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরাও ভোট দিতে পারেনি। ৩০ তারিখের ভোট ২৯ তারিখে রাতেই বাক্স ভরে দেয়া হয়েছে। এভাবে তারা ক্ষমতায় আসছে। এই সরকার জনগণের সরকার নয়। এদেশের মানুষের উপরে জগদ্দল পাথরের মত বসে আছে সরকার। এই দেশের জনগণ চায় একটি সুষ্ঠ অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন। ভোটের অধিকার, গণতন্ত্রের অধিকার, ভাতের অধিকার, নিরাপত্তার অধিকার ফিরে পেতে চায়।

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি তার বক্তব্যে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি করে আরও বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার ৫ বছরের সাজা হয়েছিল। আমরা আইনজীবী আমরা জানি নি¤œ আদালতে ৫ বছরের সাজা হলে আমরা জজ কোর্টে জামিন পাই। হাইকোর্টে গেলে সাথে সাথে জামিন হয়ে যায়। কিন্তু সারাদেশের মানুষের জন্য আইন এক অথচ বেগম খালেদা জিয়ার জন্য আইন ভিন্নপথে। আইনকে সঠিক পথে পরিচালিত হতে দিচ্ছেনা এই সরকার।

৩০ জুলাই মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ায় বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি ও তার সু-চিকিৎসার দাবিতে আয়োজিত এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সাখাওয়াত হোসেন খান আরও বলেন, এই সরকার দেশে গণতন্ত্রহীনতার সৃষ্টি করেছে, বিচারহীনতার সৃষ্টি করেছে। এখন ডেঙ্গু মহামারি আকার ধারণ করেছে। দেশে হত্যা খুন গুম ধর্ষণে আজকে দেশ ছেয়ে গেছে। সরকারের পেটুয়া বাহিনীর ধর্ষণের কারনে মা বোনেরা রাস্তায় বের হতে পারেনা। নিরাপত্তা নেই। নিত্যপণ্যের দাম মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে চলে গেছে।

আদালতের উপর বন্দুক রেখে বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় ফরমায়েশী রায় দেয়া হয়েছে বলে দাবি করে অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, এই সরকার আদালতের উপর বন্দুক রেখে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়েছে। বিরোধী দলের দলমতকে ধংস করার জন্য ফরমায়েশী রায় দিয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে জেলখানায় রাখা হয়েছে।

এর আগে তিনি বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তার সু-চিকিৎসার জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের আয়োজিত এই মানববন্ধন। আজকে তিন বারের প্রধানমন্ত্রী স্বাধীনতার ঘোষকের স্ত্রী এশিয়া মহাদেশে সর্বপ্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী সেই ৭৪ বছর বয়সী নারী চরম অসুস্থ্যাবস্থায় বিনা চিকিৎসায় আজকে জেলখানায় বেগম খালেদা জিয়া।

জানাগেছে, গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে থাকা বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি ও তার সু-চিকিৎসার দাবিতে নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ায় মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন বিএনপির আইনজীবীরা। ৩০ জুলাই মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ায় জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের ব্যানারে এই মানববন্ধন করেন বিএনপির আইনজীবীরা।

মানববন্ধন ও আইনজীবীদের সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জের আলোচিত আইনজীবী নেতা ও মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান। সমাবেশে কয়েকশত আইনজীবী অংশগ্রহণ করেন।

নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম মোল্লা ও শহীদ জিয়া আইনজীবী পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট একেএম ওমর ফারুক নয়নের সঞ্চালনা মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সাবেক পিপি অ্যাডভোকেট নবী হোসেন, সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট সীমা সিদ্দিকী, অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান হান্টু, অ্যাডভোকেট মশিউর রহমান শাহিন, অ্যাডভোকেট রাকিবুল হাসান শিমুল, অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ জাকির, অ্যাডভোকেট এইচএম আনোয়ার প্রধান সহ সিনিয়র আইনজীবীরা।

এ ছাড়াও মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন- অ্যাডভোকেট ইব্রাহীম মিয়া, অ্যাডভোকেট ফাতেমা বেগম, অ্যাডভোকেট কাজী আব্দুল গাফ্ফার, অ্যাডভোকেট বেনজীর আহাম্মদ, অ্যাডভোকেট মানিক মিয়া, অ্যাডভোকেট মোঃ শাহআলম খান, অ্যাডভোকেট মোজাম্মেল হক কাজল, অ্যাডভোকেট আয়াতুল বোরহান, অ্যাডভোকেট মোঃ মঞ্জরুল হক খান, অ্যাডভোকেট গিয়াসউদ্দিন মিয়া, অ্যাডভোকেট আলম খান, অ্যাডভোকেট মোঃ সালাউদ্দিন সবুজ, অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান মুকুল, অ্যাডভোকেট মাহমুদুল হক, অ্যাডভোকেট মাসুদা বেগম সম্পা, অ্যাডভোকেট আলমগীর, অ্যাডভোকেট হেলাল উদ্দিন সরকার, অ্যাডভোকেট কায়সার আলম চৌধুরী, অ্যাডভোকেট রোকন উদ্দিন, অ্যাডভোকেট আব্দুর রহিম, অ্যাডভোকেট জাহিদুর রহমান, অ্যাডভোকেট শেখ আনজুম আহাম্মদ রিফাত, অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান ফাহিম, অ্যাডভোকেট মোঃরাসেল মিয়া, অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মোজাম্মেল হক শিপলু মল্লিক, অ্যাডভোকেট আহসান হাবিব, অ্যাডভোকেট মামুন মাহামুদ মিয়া ও আইন ছাত্র ফোরাম নেতা অ্যাডভোকেট কে এম সুমন প্রমূখ।