সোনারগাঁয়ের সেই আল-মোস্তফার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের ‘ভূমিদস্যূতায়’ অভিযুক্ত সোনারগাঁবাসীর আতংক আল-মোস্তফার বিরুদ্ধে এবার চাঁদাবাজির দায়ে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন এক ভুক্তভোগী। উপজেলার সাহাপুর এলাকার মৃত হাজী আবদুর গফুরের ছেলে আবদুল আজিজ বাদী হয়ে আল মোস্তফা সহ আরও বেশকজনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন।

১৭ জুলাই বুধবার নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত মামলাটি গ্রহণ করে সোনারগাঁ থানা পুুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলা সূত্রে, সোনারগাঁও উপজেলার সাহাপুর গ্রামের মৃত হাজী আবদুর গফুরের ছেলে আবদুল আজিজ বাদী হয়ে সোনারগাঁয়ের চিহ্নিত ভূমিদস্যূতায় অভিযুক্ত আল-মোস্তফাকে হুকুমের আসামী করে এবং উপজেলার সাতভাইয়াপাড়া এলাকার মৃত আমিন উদ্দিনের ছেলে মো. হামিদুল্লাহ ও একই এলাকার আবদুল হামিদের ছেলে শ্যামল হোসেনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, আসামিরা গত ২০১৯ সালের জুলাই মাসের ১২ তারিখে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে আবদুল আজিজের বাড়ীতে এসে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। দাবিকৃত চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে আল-মোস্তফার নেতৃত্বে অন্যন্য আসামিরা আব্দুল আজিজকে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে।

এদিকে আব্দুল আজিজ আরও অভিযোগ করেন- ‘আল-মোস্তফা সোনারগাঁয়ের চিহ্নিত নদীখেকো। তার বাহিনীর ভয়ে এলাকায় কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। আল-মোস্তফার বাহিনী প্রতিনিয়ত প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিচ্ছে। চাঁদা না পেলে জোড়পূর্বক এলাকার শত শত কৃষকের কৃষি জমি দখল করে ও নদী দখল করে। আশা করি মামলা করে ন্যায় বিচার পাবো।’

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদী আব্দুল আজিজের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ কামাল হোসেন জানায়, আল-মোস্তফা সহ তিনজনকে আসামি করে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী ‘ঘ’ অঞ্চল আদালতে মামলাটি দায়ের করেন বাদী। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে গুরুত্বসহকারে সোনারগাঁ থানার অফিসার ইনচার্জকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। যার মামলা নং- ১৫৩/২০১৯।

এদিকে স্থানীয়রা জানিয়েছেন এই আল মোস্তফা স্থানীয় প্রশাসন ও বিশেষ পেশার ব্যক্তিদের ম্যানেজ করে নিরীহ মানুষের জমি জোরপূর্বক দখল, নদী দখল করেই আসছে। এর আগে বিআইডব্লিউটিএ নদী দখল করে তার ভবন নির্মাণ করা হলে সেটো ভেকু দিয়ে ভেঙ্গে দেয়। তার বিরুদ্ধে কেউ সাহস করে মুখ খুলতে চায় না। তার বিরুদ্ধে মুখ খুললেই ভুক্তভোগীদের মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয় বলেও অভিযোগ রয়েছে।