ফতুল্লার কাশীপুরে আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানাধীন কাশীপুর আওয়ামীলীগ ও যুবলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষের ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে পুলিশ পরিস্থিতি অনেকটা নিয়েন্ত্রনে নিয়ে এসেছে।

হামলায় ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক শফিউল্লাহ শফি ও তার ছেলে খায়রুল্লাহ সনম সহ ৪ জন আহত হয়েছেন।

১৪ জুন শুক্রবার দুপুরে উত্তর কাশীপুর এলাকায় এঘটনা ঘটে। হামলায় আহত শফি ও তার ছেলে সনম নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

স্থানীয় সূত্র জানাগেছে, দুপুরে ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক শফিউল্লাহ শফি ও কাশীপুর ২নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি শাহীন আলমের সাথে বাকবিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। শফি ও তার ছেলে সনম সহ শাহীন গ্রুপের সৈকত ও কবির নামে দুইজন আহত হয়েছেন।

স্থানীয় সূত্র আরো জানাগেছে, দীর্ঘদিন ধরেই শফি ও শাহীন গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। অতীতে তারা এক সাথে রাজনীতি করলেও গত কয়েক বছর আগে বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। একে অপরকে ঘায়েল করতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করতে থাকেন।

এ বিষয়টি নিয়ে থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও কাশীপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এম সাইফ উল্লাহ বাদল বার বার মিমাংসা করে দেয়ার আশ্বাস দিলেও তা না করার কারণেই এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এছাড়াও গত রমজানে শাহীন আলমকে বেকায়দায় ফেলতে ফতুল্লা মডেল থানা বিশেষ এক ব্যক্তির সহযোগীতায় চাঁদাবাজী মামলা করেন শফি। ঐ মামলায় ১০দিন কারাভোগ করেন শাহীন আলম। এতেই ক্ষিপ্ত হন শাহীন আলম। শুক্রবার এই ক্ষোভের কারণেই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এ ব্যাপারে শফি অভিযোগ করেন- দেড় মাস আগে শাহীন আমার কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছিল। এর প্রেক্ষিতে আমি মামলা করেছি। মামলায় জামিনে এসে আমার উপর এই হামলা চালিয়েছে।

শাহীন আলম দাবি করেন- আমি মানুষের কল্যাণে রাজনীতি করি। তাই স্থানীয় সাধারণ মানুষ আমাকে ভালবাসে। এতে ঈর্ষান্বিত হয়ে শফি আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদাবাজীর মামলা করেছে। মামলায় আমি জেলও খেটেছি। তবুও শান্ত ছিলাম। কিন্তু শুক্রবার আমাকে দেখে উস্কানীমূলক মন্তব্য করে শফি। সেই সূত্রেই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আমার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজী মামলার সুষ্ঠু তদন্ত করতে পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এ ব্যাপারে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম হোসেন জানান, সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। পরিবেশ এখন শান্ত আছে। হামলাকারীদের গ্রেফতারে আমাদের অভিযান চলছে।