লুটেরা সরকারের লুটপাট, বালিশের বিল ৫ হাজার, ভবনে তুলতে ৭’শ টাকা: সাখাওয়াত

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, কৃষক হচ্ছে দেশের মানুষের মুল চালিকাশক্তি। সেই কৃষকের ধানের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেনা। আজকে সেই জমির ধানের মধ্যে কৃষক আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলছে। কত কষ্ট থেকে কৃষক এমন অবস্থায়।

এই সরকার ভোটে নির্বাচিত নয় তাই এদেশকে লুটেপুটে খাচ্ছে এমনটা দাবি করে তিনি বলেন, তার প্রমাণ হলো রূপপুর পারমানুবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। যেখানে একটি বালিশের মূল্য ধরেছে ৫হাজার ৭’শ টাকা। ব্লিডিং এর নিচ থেকে বালিশ উপরে তুলতে ৭’শ টাকা বিল করেছে। একটি টেলিভিশন উপরে তুলতে ১৮ হাজার টাকা বিল করেছে। এভাবে মানুুষের কষ্টের টাকাকে সরকার লুটেপুটে খাচ্ছে। তাই লুটেরা সরকারকে এদেশের মানুষ আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না।

তিনি বলেন, দেশের মানুষ ঈদ পালন করতে পারছেনা। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি অথচ কৃষক তাদের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেনা। দেশের মানুষ দূর্বিষহ জীবন যাপন করছে। দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য, ভোটের অধিকার প্রতিষ্টার জন্য আরেকটি যুদ্ধে আমাদের ঝাপিয়ে পড়তে হবে। এই সরকারের কারাগার থেকে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাহআল্লাহ।

নারায়ণগঞ্জের আলোচিত এই আইনজীবী নেতা আরও বলেন, এদেশে গণতন্ত্র নাই। আজকে গণতন্ত্রকে হত্যা করে আওয়ামীলীগ গায়ের জোরে ক্ষমতায় এসেছে। তাদের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার জন্য এদেশের গণমানুষের নেত্রী, তিন বারের প্রধানমন্ত্রী, ৭৪ বছরের এক মহিলাকে আদালতের উপর বন্দুক রেখে সাজানো মামলায় মিথ্যা সাজা দিয়ে তাকে দেড় বছর যাবত জেলে রাখা হয়েছে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া জেলে অত্যন্ত অসুস্থ্য। তার সু-চিকিৎসা পর্যন্ত এই সরকার দিচ্ছেনা।

তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে তিলে তিলে হত্যা করার জন্য সরকার নীল নকশা করছে। বেগম খালেদা জিয়ার যদি কিছু হয় তাহলে এদেশের মানুষ এই সরকারের অবৈধ গতি থেকে তাদের নামিয়ে ছাড়বে ইনশাহআল্লাহ।

গত ২৯ মে বুধবার নারায়ণগঞ্জ শহরের একটি অভিজাত কমিউনিটি সেন্টারে নারায়ণগঞ্জ জেলা মৎস্যজীবী দলের উদ্যোগে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান।

নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক এই সভাপতি বলেন, এই সরকার মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করেছে। হত্যা খুন গুম ধর্ষণ দেশকে ছেয়ে গেছে। ৩০ ডিসেম্বর এদেশের মানুষ ভোট দিতে পারে নাই। ৩০ তারিখে কোন ভোট হয় নাই। ৩০ তারিখের পূর্বেই এই সরকারের পেটুয়া বাহিনী, এই সরকারের প্রশাসনের ক্রু এর মাধ্যমে ২৯ তারিখেই ভোট চুরি করে জনগণের বিনা ভোটের এই সরকারকে জনগণ মেনে নেয়নি। তাই এই সরকারকে পদত্যাগ করে অবিলম্বে পদত্যাগ তরে নিরপেক্ষ সরকারের হাতে হস্তান্তর করতে হবে।

নারায়ণগঞ্জ জেলা মৎস্যজীবী দলের কমিটি গঠনের বিষয়ে তিনি বলেন, ইতিপূর্বে মহানগর মৎস্যজীবী দল ব্যাতিত জেলা মৎস্যজীবী অত্যন্ত দূর্বল ছিল। সারা দেশে কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী দল যেখানেই সফর করবেন আমি মনে করি আপনারা নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর মৎস্যজীবী দল নিয়ে প্রাউট ফিল করতে পারবেন। অচিরেই আরো শক্তিশালী মৎস্যজীবী দল হিসেবে তৈরি করা হবে।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে তিনি বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের গড়া রাজনৈতিক দল বিএনপি। এই বিএনপি বাংলাদেশে এখন সর্ববৃহত দল। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এদেশে স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন। এদেশে ১৯৭৫ সালে যে সময় এদেশকে একটি অন্ধকারে নিয়ে গিয়েছিল তখণ সেই সময় সিপাহি বিপ্লবের মাধ্যমে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ট করেছিল। সেই তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে একটি পর্যায় নিয়ে আসার পর ৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রামের সার্কিট হাউজে দেশী বিদেশী চক্রান্তের মাধ্যমে তাকে নিশৃংসভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছিল। বিএনপির বিরুদ্ধে সেই ৮০ সাল থেকে চক্রান্ত শুরু হয়েছে। সেই চক্রান্ত আজ পর্যন্ত শেষ হয় নাই।

এদিকে নারায়ণগঞ্জে যখণ দীর্ঘদিন যাবত জেলা মৎস্যজীবী দলের অস্তিত্বই খুজে পাওয়া যায়নি। শুধুমাত্র সংগঠনটির আহ্বায়ক গিয়াসউদ্দীন প্রধানকেই জেলা মৎস্যজীবী দল হিসেবে চেনা যেতো। চরম ব্যর্থতার পর নারায়ণগঞ্জ জেলা মৎস্যজীবী দলের নেতৃত্ব তুলে দেয়া হয় নারায়ণগঞ্জের একজন প্রতিষ্ঠিত আইনজীবী এইচএম আনোয়ার প্রধানের হাতে। তার নেতৃত্বে নতুন কমিটি গঠনের পর এবার ব্যাপক আয়োজনে জাগানিয়া দিয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলা মৎস্যজীবী দল। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৩৮তম শাহাদাত বার্ষিকী এবং কারাগারে থাকা বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি ও তার সুস্থ্যতা কামনায় আলোচনা সভা, ইফতার ও দোয়া মাহফিলের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জ জেলা মৎস্যজীবী দল নতুন রূপে আভির্ভূত হয়েছে। শুরুতেই নেতৃত্বে যোগ্যতার প্রমান রাখলেন অ্যাডভোকেট এইচএম আনোয়ার প্রধান।

জানাগেছে, ২৯ মে বুধবার নারায়ণগঞ্জ শহরের একটি অভিজাত কমিউনিটি সেন্টারে ওই আলোচনা সভা, ইফতার ও দোয়া মাহফিলে শত শত নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণে নারায়ণগঞ্জ জেলা মৎস্যজীবী দল জাগানিয়া দিল। জেলার আওতাধীন রূপগঞ্জ, আড়াইহাজার, সোনারগাঁও, ফতুল্লা, বন্দর এলাকা থেকে পৃথক পৃথকভাবে শীর্ষ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা যোগদান করেন। এর আগে জেলা মৎস্যজীবী দলের এমন আয়োজন বিগত এক যুগেও চোখে দেখেনি বলে মন্তব্য করেছেন উপস্থিত অতিথিরা। যার পেছন থেকে কাজ করেছেন নারায়ণগঞ্জের আলোচিত আইনজীবী নেতা ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান।

নারায়ণগঞ্জ জেলা মৎস্যজীবী দলের এই আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির আমলের সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান।

এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এইচএম আনোয়ার প্রধান ও পরিচালনায় ছিলেন সদস্য সচিব আমিনুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে আকর্ষণীয় সঞ্চালনা করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি পারভেজ মল্লিক।

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ুন কবির, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম মোল্লা, সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহামুদুল হক আলমগীর, কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিলন মেহেদী, মহানগর বিএনপি নেতা মনির হোসেন খান, গোলজার হোসেন, হাজী ইসমাইল হোসেন, ছাত্রদলের সাবেক নেতা মহানগর বিএনপি নেতা এমএইচ মামুন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মশিউর রহমান রনি, কেন্দ্রীয় শহীদ জিয়া আইনজীবী পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট একেএম ওমর ফারুক নয়ন, জেলা মহিলা দলের সদস্য সচিব রহিমা শরীফ মায়া, জেলা শ্রমিকদলের সভাপতি মন্টু মেম্বার, মহানগর মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম রতন, বন্দর থানা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মহিউদ্দীন শিশির সহ কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী দলের শীর্ষ পর্যায়ের অন্যান্য নেতারা।

এ ছাড়াও অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা মৎস্যজীবী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আনজুম আহমেদ রিফাত, মহানগর মৎস্যজীবী দল নেতা অ্যাডভোকেট রাজীব মন্ডল, আইনজীবী ফোরাম নেতা অ্যাডভোকেট সারোয়ার জাহান, অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি স্বপন চৌধুরী, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাকিব হাসান রাজ, মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম আহমেদ বাবু, লিংরাজ খান, মহানগর মৎস্যজীবী দল নেতা লিংকন খান প্রমূখ।

অন্যদিকে জানাগেছে, গত ১৪ মে অ্যাডভোকেট এইচএম আনোয়ার প্রধানকে আহ্বায়ক ও আমিনুল ইসলামকে সদস্য সচিব করে নারায়ণগঞ্জ জেলা মৎস্যজীবী দলের ৩১ সদস্যের আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করেছে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির আহবায়ক রফিকুল ইসলাম মাহতাব ও সদস্য সচিব আব্দুর রহিম। আগামী এক মাসের মধ্যে নারায়ণগঞ্জ জেলার সকল উপজেলা ও পৌরসভা কমিটি গঠন করে জেলা মৎস্যজীবী দলের সম্মেলন করার নির্দেশনাও দিয়েছেন কেন্দ্রীয় কমিটি।

কমিটিতে যুগ্ম আহবায়ক হিসেবে রয়েছেন শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন, অ্যাডভোকেট শেখ আঞ্জুম আহমেদ রিফাত, দেলোয়ার হোসেন দিলীপ, এইচএম হোসেন, ফাহিম হোসেন, আজিজুল হক চৌধুরী রয়েল, আওলাদ হোসেন, উজ্জল মিয়া, ডা. হামিদুল্লাহ, সদস্য গিয়াসউদ্দিন প্রধান, অ্যাডভোকেট কামাল হোসেন, মফিজুল ইসলাম, শামসুজ্জোহা খান, নাজিমুদ্দিন ভূইয়া, জিয়াউল হক রিপন, হাফিজুর রহমান, তাইজুল ইসলাম তাজু, মাহবুবুল হক লিটন, নজরুল ইসলাম মোল্লা, রুহুল আমিন, মইনুল হোসেন, আল আমিন মোল্লা, হারুন উর রশিদ, মাসুদ শিকারী, মফিজুল ইসলাম, শাহা আলী, আরফান, কিরন ভূইয়া ও আরিফুল ইসলাম জুয়েল।