সান নারায়ণগঞ্জ
রীতিমত খোশমেজাজে চাপমুক্তভাবে বিএনপির ধানের শীষের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করছেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সভাপতি নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁ-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে বিএনপির মনোনিত প্রার্থী আজহারুল ইসলাম মান্নান। তিনি মনোনিত হওয়ার পর বিভিন্ন বলয়ের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা বলয়ভিক্তিক রাজনীতি ছেড়ে দলের সিদ্ধান্ত মেনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী মান্নানের পক্ষে মাঠে নামতে শুরু করে দিয়েছেন।
গত ৩ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে আজহারুল ইসলাম মান্নানের নাম ঘোষণা করেছে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার আগে থেকেই সোনারগাঁও উপজেলা ও সিদ্ধিরগঞ্জের ১০টি ওয়ার্ডের শীর্ষ নেতারা মান্নানের পক্ষে কাজ করে আসছিলেন।
তবে মনোনিত হওয়ার পর মনোনয়ন না পাওয়া অপর ৭ জন নেতার বলয় থেকে বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা মান্নানের পক্ষে জোটবদ্ধ হতে শুরু করেছেন।
সেই ধারাবাহিকতায় ২৪ নভেম্বর সোমবার সাবেক প্রতিমন্ত্রী রেজাউল করিম বলয়ে রাজনীতি করা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব সালাউদ্দীন সালু প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ধানের শীষের প্রার্থী মান্নানের যেভাবে সুবিধা হয় সেই নির্দেশত জেলা ও সোনারগাঁও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা কাজ করবেন।
এ সময় একে অপরকে খেজুর খাইয়ে দিয়ে মিষ্টিমুখ করান এবং একে অপরকে জড়িয়ে ধরেন। যদিও একজন পূর্বে ২৩ নভেম্বর সালু কাঁচপুরে অপর ৫জন মনোনয়ন বঞ্চিত নেতাদের নিয়ে সভা করেছিলেন।
একইভাবে ২৪ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আক্তারুজ্জামান মৃধা, সদস্য শহিদুল ইসলাম ও জুয়েল রানা বিএনপির মনোনিত প্রার্থী আজহারুল ইসলাম মান্নানের সোনারগাঁয়ের বাসভবনে গিয়ে সৌজন্য সাক্ষাত করে ফুলেল শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন।
যদিও এর একদিন পূর্বেও মান্নানের মনোনয়ন বাতিল চেয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বিক্ষোভ মিছিল করেছিলেন শহিদুল ইসলাম। ১৮ নভেম্বর মান্নানের মনোনয়ন বাতিল চেয়ে মানববন্ধন করার পর কেন্দ্রীয় যুবদল শহিদুল ইসলামকে শোকজ করেছিল। তিনি সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীন বলয়ে রাজনীতি করতেন।
এ ছাড়াও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মামুন মাহামুদের একনিষ্ঠ কর্মী আক্তারুজ্জামান মৃধা ও জুয়েল রানাও মান্নানের ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
এদের ছাড়াও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুনও বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী মান্নানের পক্ষে সিদ্ধিরগঞ্জের সভা সমাবেশে অংশগ্রহণ করেছেন। তিনিও গিয়াসের বলয়ে রাজনীতি করতেন।
একইভাবে গিয়াসউদ্দীনের এক সময়কার অন্যতম সহযোগী সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও সিদ্ধিরগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইমাম হোসেন বাদল শুরু থেকেই মান্নানের পক্ষে সিদ্ধিরগঞ্জে কাজ করে চলেছেন।
এদের ছাড়াও মনোনয়নবঞ্চিত ৭ নেতার আশপাশে থাকা বহু নেতাকর্মীরা মান্নান ও তার ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে ভেতরে ভেতরে যোগাযোগ শুরু করে দিয়েছেন। তারাও ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে কাজ করবেন বলেও জানাচ্ছেন।


