সান নারায়ণগঞ্জ
প্রার্থী যেই হোক ধানের শীষে ভোট চাই, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের জন্য দোয়া চাই, এই স্লোগানে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২৪ ও ২৫নং ওয়ার্ডে ধানের শীষ মার্কার পক্ষে গণসংযোগ ও ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ করেছেন মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি ও ১৩নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ।
২৮অক্টোবর মঙ্গলবার বিকাল ৪টা থেকে ২৫ নং ওয়ার্ডের উত্তর লক্ষণ খোলা থেকে শুরু করে নবীগঞ্জ খেয়াঘাট পর্যন্ত এসে গণসংযোগ সমাপ্ত করেন তিনি।
এ সময় তিনি প্রতিটি দোকানপাট, মসজিদে আসা সাধারণ মুসুল্লি, তরুণ ভোটার সহ সকলের হাতে তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফার লিফলেট তুলে দেন।
সেই সাথে তিনি সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, আমাদের বড় দল, আমাদের দল থেকে অনেক যোগ্য ব্যক্তি সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আছেন। সবাই আপনাদের কাছে আসবে। আমাদের দাবি ব্যক্তি যেই হোক ধানের শীষ প্রতীক যার হাতে থাকবে তাকেই আপনার মূল্যবান ভোটটি দিয়ে বিএনপিকে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দিবেন। আমি খোরশেদ আলম, অ্যাডভোকেট আবুল কালাম সাহেব, মাসুদুজ্জামান মাসুদ ভাই, বাবুল ভাই, সাখাওয়াত ভাই, টিপু ভাই যাকেই দল থেকে ধানের শীষ প্রতীক দেওয়া হবে তাকেই আপনারা ভোটটা দিবেন। এছাড়াও আপনাদের মধ্যে যদি এমন কেউ থাকেন যারা এখানে বসবাস করেন কিন্তু ভোটার হয়েছে গ্রামের বাড়িতে সেখানেও ধানের শীষের প্রার্থীকে আপনার ভোটটা দেওয়ার জন্য অনুরোধ রইলো।
তিনি আরো বলেন, আমাদের নেতা তারেক রহমান বলেছেন বিএনপি ক্ষমতা চায়না। বিএনপি চায় রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নিতে, আপনাদের জনগণের সেবার দায়িত্ব নিতে। একটি সুখী সুন্দর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আপনাদের সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন। আমরা বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আপনাদের ঘরে ঘরে সেই বার্তাই পৌছে দিতে এসেছি।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি একটি বৃহৎ গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। এই দলে গণতান্ত্রিক চর্চা করা আমাদের অধিকার। একজন কর্মীর কাছে দলের মনোনয়ন একটি বিরাট প্রাপ্তি। একজন কর্মী তারা সারা জীবনের শ্রমের মাধ্যমে দলীয় স্বীকৃতি হিসেবে এই মনোনয়নকে চিন্তা করে। তাই আমাদের মধ্যে অনেকেই দলীয় মনোনয়নের জন্য প্রতিযোগিতা করছি কিন্তু আমাদের মধ্যে কোন বিভেদ নাই। আমরা আমাদের দলের যে কোন সম্ভাব্য প্রার্থী ভোট চাইতে আসলে তাকে সহযোগিতা করবেন, অনুপ্রেরণা দিবেন। আল্লাহর সম্মতি থাকলে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের মাধ্যমে যার হাতে ধানের শীষের প্রতীক থাকবে আমরা সবাই তার নির্বাচন করবো। মনে রাখতে হবে এখানে ব্যক্তি কোন বিষয় না। আমাদের নেতা শহীদ জিয়াউর রহমান বলেছেন ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে দেশ বড়। আমাদের নেতা তারেক রহমান ঘোষণা দিয়েছেন সবার আগে বাংলাদেশ। বাংলাদেশে শান্তি হবে, যেখানে কোন রাজনৈতিক দল অন্য রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের গুম করবে না। এদেশের রাষ্ট্রীয় পুলিশ বাহিনীর মত কোন বাহিনী ক্রয় ফায়ারে কোন মায়ের সন্তানকে গুলি করবে না এরকম একটি বাংলাদেশ আমরা চাই।
বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর সন্ত্রাস দমনে অপারেশন ক্লিনহার্ট পরিচালনা করেছিলেন। সেখানে স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার সাথে নিজেদের দলের কর্মীদেরও ছাড় দেয়নাই যারা সীমা লঙ্গন করেছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের কাছে আমরা সেই বিচার পাই নাই। আওয়ামী লীগ নিজ দলের সন্ত্রাসীদের উৎসাহিত করেছে। পুলিশ বাহিনীকে শুধুমাত্র খুন গুম করার কাজে ব্যবহার করেছে। আমরা ওয়াদা করতে পারি যদি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব আপনারা বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের হাতে তাহলে কারো সন্তান খুন হবেনা, গুম হবেনা পুলিশ বাহিনীর হাতে, বিএনপির কোন নেতাকর্মীর হাতে সেই নিশ্চয়তা আমি আপনাদের দিতে পারি। আপনারা যে যেখানকার ভোটার হোন না কেন আপনার ভোটটা আপনারা ধানের শীষে দিবেন।
তিনি আরো বলেন, আমাদের নেতা স্পষ্ট মেসেজ দিয়েছেন আগামীতে যে নির্বাচন হতে যাচ্ছে সেই নির্বাচনে বিএনপির বিজয় নিশ্চিত জেনে নির্বাচনকে ঠেকানোর জন্য দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক ভাবে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আগে আমরা আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী দল আওয়ামী লীগ সেটা জানতাম আমাদের লড়াইটা ছিলো তাদের বিরুদ্ধে। এখন আমাদের লড়াইটা একটি অদৃশ্য শক্তির বিরুদ্ধে। সেই অদৃশ্য শক্তি কে, তাদের গডফাদার কে, তাদের শেল্টার দাতাকে কিছুই আমরা জানিনা। তাই আমাদেরকে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা সজাগ থাকতে হবে। মাঠে লড়াই করতে হবে।
গণসংযোগকালে আরো উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুল হক চৌধুরী দিপু, বন্দর থানা যুবদলের সাবেক সভাপতি আমির হোসেন, মুছা মিয়া, মো. মিঠু, বন্দর থানা যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ন কবির, মনির হোসেন সহ ২৪ ও ২৫ নং ওয়ার্ড বিএনপি ও যুবদলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


