সান নারায়ণগঞ্জ
নারায়ণগঞ্জ বন্দরে শোডাউন করেছেন মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি ও নাসিকের ৪বারের নির্বাচিত কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নারায়ণগঞ্জ-(সদর-বন্দর) আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী খোরশেদ বলেন, বিএনপি একটি রাজনৈতিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শহীদ জিয়ার কর্ম জীবন আমাদের সিলেবাস আর দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান আমাদের শিক্ষক। এখানে শতশত ছাত্র। শিক্ষকের মুল্যায়নে যারা উপযুক্ত বিবেচিত হবে তারাই জাতীয় নির্বাচন থেকে শুরু করে সব নির্বাচনে দলীয় প্রতিনিধিত্ব করবে। এখানে কাঁদা ছোড়াছুড়ি বা কোন্দলের কোন সুযোগ নাই। আমাদের খেয়াল রাখতে হবে নিজেদের লাভের জন্য দলকে যেন দুর্বল বা বিভক্ত না করে ফেলি। আমরা কোন ভাইয়ের লোক হতে চাই না।
‘অমুক ভাই তমুক ভাইয়ের লোক হয়ে রেশারেশি, কাদা ছুড়াছুড়ি করে মুখ দেখা দেখি বন্ধ করলে অমুক ভাই বা তমুক ভাইয়ের কোন ক্ষতি হবেনা। ক্ষতি হবে দলের, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের। আমরা সবাই বিএনপির লোক হতে চাই, শহীদ জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমানের লোক হতে চাই। একজন কর্মীর তার দলে সর্বোচ্চ মূল্যায়ন হলো দলের মনোনয়ন। আমাদের বড় দল অনেকেই মনোনয়ন প্রত্যাশী হতেই পারেন। শেষ পর্যন্ত দল যাকে মনোনয়ন দিবেন আমরা তার পক্ষেই কাজ করবো। সর্বোপরি দল এবং ধানের শীষের জন্য কাজ করবো।’
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আজকে আপনার আপনাদের দেখে আমার ভাল লাগছে। আপনারা যাদের গত ১৬ বছরে আন্দোলন সংগ্রামে অবদান রেখেছেন, মামলা হামলার শিকার হয়েছে, ৫ আগস্টের পর আপনারা নিস্ক্রিয় হয়ে ছিলেন তারাও আজকে দলের জন্য রাজপথে নেমে এনেছেন। আপনাদের এই ঐক্য ধরে রাখতে হবে। আমাদের নেতা তারেক রহমান বলেছেন আগামী ফেব্রæয়ারিতে যে নির্বাচন হতে যাচ্ছে খালি চোখে সে নির্বাচন সাদা মনে হলেও এই নির্বাচনে অনেক হিসাব নিকাশ রয়েছে। তাই আমাদেরকে ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে কাজ করতে হবে। আমাদের প্রত্যেকটি মানুষের ঘরে ঘরে যেতে হবে। আগামী নির্বাচনে ১৫ শতাংশ ভোট জেনারেশন-জেড এর যাদের আমরা জেনজি বলে থাকি।
‘গত ১৭ বছর তারা কোন ভোট দিতে পারেনি। কারণ দেশে ভোটের নামে নাটক হয়েছে। তাদের কাছ থেকে আমাদের ভোট আদায় করতে হবে। আমরাও যদি পতিত আওয়ামী লীগে মত কাজ করি তাহলে জনগণ যেমন তাদের ছুড়ে ফেলে দিয়েছে তেমনি আমাদেরকেও ছুড়ে ফেলে দিতে সময় নিবে না। তাই আসুন আমরা নিজেরা কোন ভাইয়ের লোক বা কোন গ্রæপের লোক না হয়ে দলের জন্য কাজ করি প্রতিটি মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে তারেক রহমানের ৩১ দফার বার্তা পৌছে দিয়ে আগামীর বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করি।’
২০০৯ সালে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর নারায়ণগঞ্জে বিএনপির রাজনীতিকে সচল রেখেছিলেন যে পরিবারটি সেই পরিবারের অন্যতম সদস্য মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। দীর্ঘ ১৭টি বছর রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করে নিজেদের জাত চিনিয়েছিলেন তিনি। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সর্ববৃহত্তর ওয়ার্ড ১৩নং ওয়ার্ডে ৪বারের নির্বাচিত কাউন্সিলর তিনি। তিনি মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি। একাধারে এক দশক মহানগর যুবদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন। ছিলেন কেন্দ্রীয় যুবদলের কমিটিতেও।
নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর রাজনীতিতে একমাত্র খোরশেদের প্রতিটি ওয়ার্ডে ত্যাগী নেতাকর্মী রয়েছেন। কর্মবান্ধব ও যোগ্য নেতৃত্ব হলেও রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের কাছে হেরেছে বারবার। তুবও থেমে থাকেননি তিনি। ব্যাপক জনপ্রিয়তা নিয়ে ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৫(সদর-বন্দর) আসনে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে প্রাথমিকভাবে মনোনয়ন পান খোরশেদ। কিন্তু জোটগত কারনে নাগরিক ঐক্যের উপদেষ্টা প্রয়াত এসএম আকরামকে ধানের শীষ প্রতীক তুলে দেয়া হয়। এবারো তিনি নির্বাচনী মাঠে নেমেছেন।
বন্দর থানা ও উপজেলা বিএনপি, যুবদল, কৃষকদল ও শ্রমিক দলের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে নাসিকের অন্তর্গত বন্দরের ২১ ও ২২নং ওয়ার্ডে মিছিল, গণসংযোগ ও ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ করেছেন মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি ও ১৩নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। এ সময় তিনি নিজেই বাংলাদেশ ও বিএনপির নামে শ্লোগান ধরে নেতাকর্মীদের মিছিলে উজ্জীবিত করেন।
বন্দর খেয়াঘাট এলাকা থেকে মিছিল বের করে রূপালী আবাসিক এলাকা হয়ে শাহ মসজিদ এলাকা ঘুরে আবারো বন্দর খেয়াঘাটে এসে মিছিল ও গণসংযোগ সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।