সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার সাবেক কমিশনার, তৎকালীন শহর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও বিশিষ্ট হোসিয়ারী ব্যবসায়ী মরহুম শেখ নিজাম আলমের ৩০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর দেওভোগ এলাকায় মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৯৯৪ সালের ২৫ রমজান মৃত্যুবরণ করেন আওয়ামীলীগের এই স্বচ্ছ রাজনীতিক।
৫ এপ্রিল শুক্রবার ২৫ রমজানে নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর দেওভোগ বায়তুস শরীফ জামে মসজিদে বাদ জুম্মা মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনায় মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এসময় মরহুমের চার সন্তান শেখ নাজমুল আলম সজল, মাহাবুবুল আলম চঞ্চল, সাইফ উল আলম টুটুল ও শেখ সাফায়েত আলম সানি সহ স্থানীয় এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও মুসল্লীগণ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও মরহুমের মৃত্যুবার্ষিকীতে দিনব্যাপী কোরআন খতম ও দেওভোগ আজহারুল কোরআন একাডেমীর কোরআন শিক্ষার্থীদের জন্য খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
এখানে উল্লেখ্য, মরহুম শেখ নিজাম আলম তার জীবদ্দশায় সমাজের ব্যাপকভাবে সেবা করে গেছেন। শুধু রাজনীতির মাধ্যমেই নয় তিনি সামাজিক কার্যক্রমে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন আমৃত্যূ পর্যন্ত। তেমনিভাবে তিনি জীবদ্দশায় নব সন্ধানী চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের আজীবন সদস্য, লক্ষ্মী নারায়ণ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পূন:নির্মাণকারী, দেওভোগ মৎস খামার বহুমুখী সমবায় সমিতির সাবেক চেয়ারম্যান, নারায়ণগঞ্জ চিত্তবিনোদন সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, ঐতিহ্যবাহী দেওভোগ ক্লাবের পূন:নির্মানকারী ও সভাপতি এবং ৭১ এর ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সদস্য ছিলেন।
তিনি সর্বদা নিজেকে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে জড়িত রেখে সমাজসেবা করে গেছেন। তাছাড়া, সবচেয়ে বড় বিষয় হোসিয়ারী শিল্পের উন্নয়নে মরহুম শেখ নিজাম আলমের ছিলো ব্যাপক ভূমিকা ও অবদান। যার ফলে হোসিয়ারী শিল্পে তার অবদানের কথা আজো মনে রেখেছেন এই শিল্পের ব্যাবসায়ীরা। সততা ও ন্যায়পরায়ণ একজন মানুষ হিসেবে আজো নারায়ণগঞ্জের সকল শ্রেণী ও পেশাজীবি মানুষের কাছে সমাদৃত একটি নাম। তার সেই পথ অনুসরন করে তার সন্তানরাও সমাজে সুনামের সাথে কাজ করে যাচ্ছেন।
তার চার ছেলের মধ্যে শেখ নাজমুল আলম সজল নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ছিলেন, মাহাবুবুল আলম চঞ্চল মহানগর আওয়ামীলীগের সদস্য ও ওয়ার্ড কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন। শেখ সাফায়েত আলম সানি দুই মেয়াদে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদে সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করে ব্যাপক সুনাম কুড়িয়েছেন।
