রূপগঞ্জের কামাল হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী গ্রেপ্তার

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

র‌্যাব-১১ এর অভিযানে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জে কামাল হোসেন হত্যার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামী সাদ্দামকে গ্রেপ্তার করেছে। ২৯ মার্চ শুক্রবার সন্ধ্যায় এ তথ্য জানান র্যাব-১১ এর মিডিয়া অফিসার এএসপি সনদ বড়ুয়া।

তিনি জানান, গত ২৪ মার্চ রবিবার নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালত নারায়ণগঞ্জ আদালতের বিচারক উম্মে সরাবন তহুরা ৬ জন আসামীকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।

এর মধ্যে ৪ জন আসামী আদালতে রায় প্রদানকালে জেল হাজতে আটক রয়েছে। যাহার মধ্যে ৫নং আসামী শরীফ এবং ৬নং আসামী সাদ্দাম পলাতক রয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে বর্ণিত বিষয়ে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামীকে গ্রেপ্তারে র‌্যাব গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করা শুরু করে। এক পর্যায়ে র‌্যাব-১১ একটি গোয়েন্দা দল গোপন তথ্যের মাধ্যমে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৬নং আসামী সাদ্দাম এর অবস্থান শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। ফলশ্রুতিতে র‌্যাব উক্ত আসামীকে গ্রেপ্তারের উদ্দেশ্যে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।

এরই ধারাবাহিকতায় সদর কোম্পানি, র‌্যাব-১১ অভিযানে গত ২৯ মার্চ যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী সাদ্দামকে ডিএমপি, ঢাকার ধানমন্ডি থানাধীন জিগাতলা এলাকা হতে গ্রেপ্তার করা হয়।

মামলার বিবরণ সুত্রে জানা যায়, রূপগঞ্জ উপজেলার গুতিয়াব গ্রামের ভিকটিম কামাল হোসেন জমির কেনা-বেচার ব্যবসা করতেন। সেই সুবাদে জমি বিক্রয়ের শর্তে ভিকটিম তার নিজ এলাকার মাহবুব রহমানের কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা বায়না গ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মাহবুব জমির টাকা দিতে না পারায় কামাল হোসেন বায়নার টাকা ফেরত দিবেন বলে আশ্বস্ত করেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে চরম বিরোধ ও প্রায় সময় কথা-কাটাকাটি চলছিল। সেই বিবাদের সূত্র ধরে ২০১৪ সালের ২৪ জুন আসামী সাদ্দাম ও আরও ৫ জন সহযোগী মিলে ভিকটিমকে টার্গেট করে রাস্তার মধ্যে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। এক পর্যায়ে ভিকটিম নিজের জীবন বাঁচাতে দৌঁড়ে তার বাড়িতে উঠলে সেখানেও আসামী ও তার সহযোগিরা ঘরের দরজা বন্ধ করে ভিকটিমকে মারধর করে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে।

উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় ১৮৬০ সালে দ-বিধি আইনের ৩০২/৩৪ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-৩৮(০৬)১৪। পরে এই মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে আসামির বিরুদ্ধে ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধি আইনের ৩০২/৩৪ ধারায় অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে বিজ্ঞ আদালত ২৪ মার্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ৫০,হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।

এই নির্মম হত্যাকান্ডের ঘটনায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রাপ্ত পলাতক আসামীকে র‌্যাব-১১ এর আভিযানিক গোয়েন্দা দল কর্তৃক গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।