ছাত্রলীগ নেতার বেদখল থেকে স্বামী পরিত্যাক্তা বৃদ্ধার জমি উদ্ধারে গেলেন এমপি

ডেস্ক রিপোর্ট

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে স্বামী পরিত্যক্ত এক নারীর জমি জাল দলিলের মাধ্যমে দখলের অভিযোগ উঠেছে অব্যাহতি পাওয়া এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে।

সোনারগাঁ পৌরসভার ছাত্রলীগের অব্যাহতি পাওয়া সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার খান সাজু ও তাঁর লোকজনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে। বায়না সূত্রে মালিক দাবি করে সাইনবোর্ড টানিয়ে ৮ শতাংশ এ জমি দখল করে তারা। এ নিয়ে সালিশে ভুক্তভোগী নারী মায়া রানী বিশ্বাসের পক্ষে রায় হয়।

গত ২৬ মার্চ মঙ্গলবার বিকেলে মায়া রানী বিশ্বাস বিষয়টি নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁ) আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাতকে জানান। কায়সার সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু, সাধারণ সম্পাদক আলী হায়দারকে সঙ্গে নিয়ে ওই নারীর বাড়িতে গিয়ে দখলের প্রমাণ পান। ওই নারীকে তাঁর জমি বুঝিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন। পরে রাতে ছাত্রলীগ নেতার টানানো সাইনবোর্ড তারা নিজেরাই সরিয়ে নেন।

মায়া রানী বিশ্বাস জানান, সোনারগাঁ পৌরসভার দরপত পশ্চিমপাড়া গ্রামে তাঁর মায়ের ওয়ারিশ সূত্রে তিনি ১২ শতাংশ জমির মালিক হন। সেখানে আরও ৬ শতাংশ জমি কিনে ভোগদখল করে আসছেন। কয়েক বছর ধরে হরিশপুর গ্রামের জহিরউদ্দিন ও রাইজদিয়া গ্রামের ইসমাইল হোসেন ওই জমি জয়চন্দ্র বিশ্বাসের কাছ থেকে কিনেছেন এমন অজুহাতে দখলের চেষ্টা করেন। এ নিয়ে বিচার সালিশ হয়। সেখানে জমির কাগজপত্র পর্যালোচনা করে জানা যায় ওই জমি আবুল হোসেনের কাছে জয়চন্দ্র বিক্রি করেন। ফলে জহিরউদ্দিন ও ইসমাইলের বিপক্ষে রায় যায়।

সম্প্রতি জহিরউদ্দিন মারা যাওয়ার পর তাঁর ছেলে জাহিদ হাসান সোনারগাঁ পৌরসভার ছাত্রলীগের অব্যাহতিপ্রাপ্ত নেতা সাজুর কাছে তা বায়নায় বিক্রি করে দেন। সাজু ওই জমিতে সাইনবোর্ড সাঁটিয়ে দখলের চেষ্টা করেন। এ নিয়ে এক সপ্তাহ আগে মায়া রানীর বাড়িঘরে ভাঙচুর করে সাজু বাহিনী। সাজু নারীর বাড়িতে গিয়ে মাপজোখ করে সীমানা খুঁটি দেন।

সোনারগাঁ পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর জসিমউদ্দিন মিয়া বলেন, এ জমি উভয় পক্ষের কাগজপত্র পর্যালোচনা করে মায়া রানীর কাগজপত্র সঠিক পাওয়া গেলেও সাজু জমি দখল করেন।

অভিযুক্ত শাহরিয়ার খান সাজু দাবি করেন, তারা একজন ওয়ারিশের কাছ থেকে ক্রয়সূত্রে মালিক হয়ে দখলে গিয়েছেন। তাদের কাগজ সঠিক রয়েছে। তবে সালিশের রায় তাদের বিপক্ষে ছিল।

সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত বলেন, ভুক্তভোগী নারীর জমি জাল দলিলের মাধ্যমে দখলচেষ্টার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক তাঁর বাড়িতে গিয়ে সাইনবোর্ড পাওয়া যায়।

সূত্র: দৈনিক সমকাল পত্রিকা