এসএসসি পরীক্ষার্থীর অভিভাবকদের জন্য সোহাগ রনির ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

ডেস্ক রিপোর্ট, সান নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে এসএসপি পরীক্ষার্থীর অভিভাবকদের জন্য ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছেন সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী শাহ মোহাম্মদ সোহাগ রনি। পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকদের জন্য ছাউনী তৈরি করে দিয়েছেন তিনি, যেখানে অভিভাবকেরা পরীক্ষা কেন্দ্রের পাশে বসে বিশ্রাম নিতে পারেন।

মুলত প্রতিটা শিক্ষার্থীর জন্য এসএসসি ও সমমানের মুল্যায়ন পরীক্ষা একটি গুরুত্বপুর্ণ অধ্যায়। এই অধ্যায়টি সাফল্যের সাথে পার করতে চান প্রতিটি শিক্ষার্থী ও তার অভিভাবকগণ। এই শিক্ষা জীবনে এসএসসি পরীক্ষা একটি গুরুত্ব অধ্যায় হিসেবে পরিক্ষা কেন্দ্রে প্রতিটি পরীক্ষার্থীদের এক দুই জন অভিভাবক থাকেন। বিশেষ করে প্রথম পরীক্ষার দিন অভিভাবকরা বেশী থাকার চেষ্টা করেন তার ছেলে মেয়ে ও আত্মীয় স্বজনেরর সাথে থাকতে। পরীক্ষা কেন্দ্রের ২’শ গজ আশপাশে যেহেতু তারা থাকতে পারেন না সেজন্য এসব অভিভাবক বিভিন্ন মাঠেঘাটে মার্কেট ও অন্যের বাড়িতে আশ্রায় নেন। এতে সবচেয়ে বেশী সমস্যায় পড়েন পরীক্ষার্থীর সাথে আশা মা-খালারা। সেসব মা ও মহিলাদের কথা চিন্তা করে সোহাগ রনির উদ্যোগে মোগরাপাড়া এইচজিজিএস স্মৃতি সরকারি বিদ্যালয় ও চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয় এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রের পাশে দুটি ছাউনী তৈরী করে দিয়েছেন।

সূত্রে, চলতি বছরের সোনারগাঁয়ে মোট ৪৯৫৬ জন এসএসসি ও সমমানের পরিক্ষায় অংশগ্রহন করছেন। উপজেলার ৮টি কেন্দ্রে ও একটি ভেন্যুতে তারা পরীক্ষায় অংশগ্রহন করছেন। এর মধ্যে মোগরাপাড়া এইচজিজিএস স্মৃতি সরকারী বিদ্যায়তন ও চৌধুরীগাঁও উচ্চ বিদ্যালয় দুটি। এখানে প্রায় দেড় হাজারের বেশী পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করছেন। এসকল পরিক্ষার্থীদের সাথে একের অধিক অভিভাবক আসেন পরীক্ষার্থীদের মনোবল শক্ত রাখতে ও তাদের আসা নেয়ার কাজে অংশ নিতে। এসব অভিভাবকরা দেখা যায় বসার জায়গা না পেয়ে কেন্দ্রে আশপাশের রাস্তাঘাটে ভীড় করেন। বিশেষ করে মহিলা অভিভাবকরা পড়েন বিপাকে।

এছাড়া যদি প্রচন্ড রোদ কিংবা বৃষ্টি হলে তাদের বিলম্বনার শেষ নেই। এসব মহিলা অভিভাবকদের কথা চিন্তা করে বেসরকারী পর্যায়ে এবারই প্রথম কোন কেন্দ্রের বাহিরে তাদের বসার জন্য বিশ্রামাগার নির্মাণ করে দিয়েছেন হাজী শাহ মো: সোহাগ রনি। অভিভাবকরা গরমে যাতে কষ্ট না করতে হয় সে জন্য সেজন্য তাদের কয়েকটি বড় ফ্যানের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। দীপের নির্মানাধীন বিশ্রামাগারে বিশ্রাম নিতে পেরে অভিভাবকরাও মহাখুশি।

পরীক্ষার্থীর সাথে আসা এক অভিভাবকরা বলেন, আমাদের ছেলে মেয়েদের পরীক্ষা কেন্দ্রে এসে আমরা বসার জায়গা না পেয়ে রোদে বৃষ্টিতে ভীজে অনেক কষ্ট করি। বসার জায়গা না পেয়ে কেন্দ্রের আশপাশের রাস্তা, বাগান ও বাড়িঘরে ভীড় করি। এবার মোগরাপাড়া কেন্দ্রে এসে দেখলাম আমাদের বসার জন্য উপরে তেড়পার দিয়ে ছাউনি করে বসার বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে যা অন্য কোন সময় দেখিনি। ধন্যবাদ জানাই এ রকম একটি ব্যতিক্রমধর্মী বসার ব্যবস্থা করার জন্য।

হাজী শাহ মোহাম্মদ সোহাগ রনি গণমাধ্যমকে বলেন, পরীক্ষার্থীদের সাথে অভিভাবকরা আসেন। কিন্তু আমাদের বাড়ির স্কুলে সে রকম ভাবে অপেক্ষা করার কোন জায়গা নাই। প্রচন্ড গরম অথবা বৃষ্টিতে যাতে তাদের সমস্যা তৈরি না হয় সেজন্য প্রশাসনের সাথে কথা বলে এটা করা হয়েছে। বিগত বছরেও এটা লক্ষ্য করেছি কিন্তু উদ্যোগটা নেওয়া হয়নি। আলহামদুলিল্লাহ যে এই বছর এটা করতে পেরেছি। আশা করি প্রশাসন অনুমতি দিলে প্রতি বছর প্রতিটি কেন্দ্রে করার চেষ্টা করবো।

সূত্র: নিউজ সোনারগাঁও