নৌকার প্রভাবশালী প্রার্থীদের সঙ্গে লড়াই করে আলোচিত ‌’তৃণমুল বিএনপি’

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার ৫টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ৪টি আসনেই প্রার্থী দিয়েছিলো তৃণমুল বিএনপি। ৪টি আসনেই আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকে শক্তিশালী প্রার্থী ছিলেন। যেখানে নারায়ণগঞ্জ-২(আড়াইহাজার) আসনে তৃণমুল বিএনপির প্রার্থী নির্বাচনের দুদিন আগে ভোট বর্জন ঘোষণা দেন। তবে বাকি তিনটি আসনে ভোটের লড়াইয়ে অটল ছিলেন তৃণমুল বিএনপির তিনজন প্রার্থী। নির্বাচনে ফলাফল যাই হোক নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় ছিলেন তৃণমুল বিএনপির প্রার্থীরা।

জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জ-১(রূপগঞ্জ) আসনে তৃণমুল বিএনপির মহাসচিব অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার প্রতিদ্বন্ধিতা করেছেন। তিনি এখানে নির্বাচন করলেও দেশব্যাপী আলোচিত ছিলেন। তার প্রতিদ্বন্ধি ছিলেন নৌকার প্রার্থী পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী। সেই সঙ্গে কেটিল প্রতীকে মাঠে ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান ভুঁইয়া। কিন্তু তাদের চেয়েও বেশি আলোচিত প্রার্থী ছিলেন তৈমূর আলম খন্দকার।

অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে ব্যাপক সাহস দেখিয়েছেন অ্যাডভোকেট আলী হোসাইন। পুরো নির্বাচনে তিনি ভোটের মাঠ চষে বেড়িয়েছেন নির্বাচনী এলাকায়। সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত তিনি ভোট প্রার্থনা করেছেন। এ আসনে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ছিলেন দেশব্যাপী আলোচিত আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী প্রতাপশালী নেতা একেএম শামীম ওসমান। এই শামীম ওসমানের সঙ্গে ভোটের মাঠে নির্বাচন করে আলোচিত হয়েছেন অ্যাডভোকেট আলী হোসাইন। তার নির্বাচনী প্রচারণায় মাইক ও অটো ভাংচুর করায় তিনি শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করে আরো আলোচনায় আসেন।

এ ছাড়াও ওসমান পরিবারের আরেক সন্তান ব্যবসায়ী নেতা ও নারায়ণগঞ্জ-৫(সদর-বন্দর) আসনের একাধিকবারের এমপি একেএম সেলিম ওসমানের সঙ্গে ভোটের মাঠে লড়াই করে আলোচিত হয়েছেন তৃণমুল বিএনপির প্রার্থী অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ ভাসানী ভুঁইয়া। সকাল সন্ধা তিনিও এ আসনের বিভিন্ন এলাকায় ভোট প্রার্থনা করেছেন। তিনি বিভিন্ন এলাকায় দিনভর লিফলেট বিতরণ করেন এবং স্থানীয়দের সঙ্গে পথসভাও করেছেন।