ভোট প্রার্থনার আড়ালে নিজেদেরও ঘুছিয়েছেন মেয়র প্রার্থীরা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আওয়ামীলীগ সরকার গঠন করেছে। ইতিমধ্যে শপথ নিয়েছে মন্ত্রী পরিষদও। যাহোক নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁ) আসনে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকে নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত। ওই নির্বাচনে ভোটের আগে সোনারগাঁও পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডের প্রতিটা অলিগলিতে ভোটের মাঠ চষে বেড়িয়েছিলেন আওয়ামীলীগের ৬জন নেতা, বিশেষ করে যারা সোনারগাঁও পৌরসভা নির্বাচনে সম্ভাব্য নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন প্রত্যাশি মেয়র প্রার্থী।

স্থানীয়রা জানান, জাতীয় নির্বাচনে নৌকার ভোট প্রার্থনার আড়ালে তারা নিজেদের মাঠও গুছিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেছেন। প্রতিটি এলাকার প্রতিটি ঘরে ঘরে প্রতিটা মানুষের কাছে দৌড়ে গিয়েছেন এসব মেয়র প্রার্থীরা। সকাল সন্ধা দিন কি রাত ভোট প্রার্থনায় ঘরে ঘরে গিয়েছেন মেয়র প্রার্থীরা। সোনারগাঁও পৌরসভায় যেভাবে নৌকার পক্ষে প্রচারণা ছিলো সেভাবে বাকি দশটি ইউনিয়নের কোথাও দেখা যায়নি।

মুলত এসব নৌকা প্রতীকে মেয়র প্রার্থীদের লক্ষ্য ছিলো নৌকার প্রার্থী কায়সার হাসনাত বিজয়ী হলেই সোনারগাঁও পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেক্ষেত্রে যেই নৌকার প্রার্থী হোক মেয়র তো হতে পারবেন। সে কারনে মেয়র প্রার্থীরা একজোট হয়েই কখনো বা একসাথেই ভোট প্রার্থনা করেছেন। একই সঙ্গে নৌকার আশাতেই নিজেদের ভোটের মাঠও ঝালাই করে নিয়েছেন তারা। সকলের কাছে পরিচিতি পেয়েছেন। ফলে পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে তাদের ভোট প্রার্থনা এগিয়ে রাখলেন।

জানাগেছে, প্রায় দুই বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেছে সোনারগাঁও পৌরসভার পরিষদের মেয়াদ। এরি মাঝে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। ফলে পৌরসভার যেই গতি সেই গতি এখন আর নাই। তবে পৌরসভাবাসী আশা দেখছেন নৌকার প্রার্থী বিজয়ী হওয়ায় এখানে অচিরেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং একজন নির্বাচিত মেয়র পাবে পৌরবাসী।