সোনারগাঁয়ে সিএনজি চাপায় শিক্ষার্থী আহত, সড়ক অবরোধ

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের হাড়িয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাবিহা আক্তার রাস্তা পার হওয়ার সময় দ্রুতগতিতে আসা সিএনজি চাচায় আহত হওয়ার করার ঘটনায় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী সড়ক অবরোধ করেছেন।

২ মে বৃহস্পতিবার দুপুরে দুই ঘন্টা ব্যাপী সড়ক অবরোধ করে রাখে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী। এ সময় অবরোধকারীরা রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে গাছের গুড়ি ফেলে অবরোধ করেন। এর আগে সিএনজি চালককে এলাকাবাসী মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন। এ ছাড়াও শিক্ষার্থীকে চাপা দেয়া সিএনজিটি ভাংচুর করে পার্শ্ববর্তী পুকুরে ফেলে দেয় বিক্ষুদ্ধরা।

এদিকে এলাকাবাসী আহত শিক্ষার্থী সাবিহাকে উদ্ধার করে সোনারগাঁ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। আহত শিক্ষার্থী সাবিহা হাড়িয়া বৈদ্যপাড়া গ্রামের সেলিম মিয়ার মেয়ে।

এলাকাবাসী জানান, মোগারাপাড়া চৌরাস্তা থেকে বারদী রুটে চলাচলরত সিএনজি অটোরিক্সা নিয়ম নীতি উপেক্ষা করে দ্রুত গতিতে গাড়ি চালিয়ে থাকে। ফলে বিভিন্ন সময়ে এ পথে পথচারী ও যাত্রীরা দূর্ঘটনার শিকার হন। তারাই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার দুপুরে ছুটির পর পঞ্চম শ্রেণির স্কুল ছাত্রী সাবিহা রাস্তা পারাপারের সময় দ্রুত গতিতে এসে একটি সিএনজি সাবিহাকে চাপা দেয়। এসময় ওই শিক্ষার্থী গুরুত্বর আহত হয়। শিক্ষার্থীর অবস্থা আশংকাজনক বলে জানিয়েছেন তার চাচা তৌহিবুর রহমান শ্যামল।
এলাকাবাসী আরো জানান, বৈদ্যেরবাজার এনএএম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ও হাড়িয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ স্থানেই রাস্তা পারাপার হয়ে থাকে। স্কুল কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব নিয়ে সড়কে গতিরোধক তৈরী করার কথা থাকলেও তা হয়নি। তাই তারা প্রশাসনের প্রতি প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে গতিরোধক তৈরির অনুরোধ করেছেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী বিক্ষোভ করছে। এসময় রুটে সকল প্রকার যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। যাত্রীদের পাঁয়ে হেঁটে তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে দেখা যায়। সিএনজি চালককে এলাকাবাসী মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। চাপা দেয়া সিএনজিটি ভাংচুর করে পার্শ্ববর্তী পুকুরে ফেলে রাখে তারা।

আহত স্কুল ছাত্রী সাবিহার চাচা তৌহিবুর রহমান শ্যামল বলেন, স্কুল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারনে এ দূর্ঘটনা ঘটেছে। স্কুলের সামনে প্রশাসনের কাছে আবেদন করে গাড়ির জন্য গতিরোধক স্পীড বেকার তৈরি করেনি। আমার ভাতিজী সাবিহার অবস্থা আশংকাজনক।

সোনারগাঁ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান মনির বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীদের শান্ত রয়েছে।