গণতন্ত্র মুক্তির লড়াইয়ে সাখাওয়াত যেনো ‘দাগী আসামি’!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

বাংলাদেশ জাতীয়তবাদী দল বিএনপির দাবিমতে দেশে গণতন্ত্র নাই, বাকস্বাধীনতা নাই, ভোটের অধিকার নাই, মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নাই, বিচার নাই, লাগামহীন দ্রব্যমূল্যের কারনে গরীবের দু‘বেলা দুমুঠো পেট ভরে ভাত খাওয়ার সামর্থ নাই। এমন পরিস্থিতিতে ১৫ বছর যাবত ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার’ আন্দোলনে নেমেছে বিএনপি। এই আন্দোলনে রাজপথে ব্যাপক ভুমিকা রাখায় মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক পদে দায়িত্ব পেয়েছেন নারায়ণগঞ্জের আলোচিত আইনজীবী নেতা অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান। শুধুমাত্র রাজপথেই নয় আদালতপাড়ায় মামলার শিকার বিএনপির নেতাকর্মীদের ভরসাস্থলও তিনি।

২০১৪ সালে আইনজীবী চন্দন সরকার সহ সাতখুনের ঘটনায় নিজের জীবন বাজি রেখে আন্দোলন করেছিলেন এবং আইনি ল।ড়াই চালিয়েছিলেন। নারায়ণগঞ্জে একজন স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতিক হিসেবে সর্বমহলে সমাদৃত সাখাওয়াত হোসেন খান। নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতিতে সভাপতি পদে একাধিকবার নেতৃত্ব দিয়েছেন। ২০১৬ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে মেয়র পদে নির্বাচন করে নানা প্রতিবন্ধকতার মাঝেও তিনি ৯৬ হাজার ভোটও পান। সেই সাখাওয়াত হোসেন খান গণতন্ত্র মুক্তির লড়াইয়ে রাজপথে আন্দোলন করতে গিয়ে পুলিশের হাতে একাধিকবার লাঠিপেটার শিকার হোন এবং একাধিকবার গ্রেপ্তার হয়ে কারাভোগ করেন। রাজপথে পুলিশের হাতে নির্মমভাবে নাজেহাল ও নির্যাতনের শিকার হোন তিনি।

মাটিতে লুটিয়ে গড়াগড়ি খাচ্ছে ‘গণতন্ত্র’

গত ২৯ জুলাই বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অবস্থান কর্মসুচি পালন করতে গেলে সাখাওয়াত হোসেন খানকে পুলিশ বেদম লাঠিপেটা টানাহেছড়া করে আটক করে নিয়ে যায়। সাখাওয়াত মাটিতে লুটিয়ে পড়লেও অমানবিকভাবে তাকে টেনে হেছড়ে পুলিশ নাজেহাল করেন। সেদিন যেভাবে সাখাওয়াতকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায় তা দেখে নেতাকর্মীরা বলেছেন, গণতন্ত্র মুক্তির লড়াইয়ে সাখাওয়াত যেনো দাগী আসামি। গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করতে গিয়েও পুলিশের হাতে নাজেহাল হোন তিনি। ওইদিন যুবদল নেতা শাওন প্রধান নিহত হোন। সেদিন শাওন প্রধানের রক্তে সাখাওয়াতের পাঞ্জাবী লাল হয়ে ওঠে। তবে রাজপথ ছাড়ছেন না সাখাওয়াত।

অন্যদিকে নেতাকর্মীরা বলছেন, ২০০৮ সালে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী ডজন ডজন মামলায় আসামি হয়েছেন। জেলা ও মহানগর বিএনপির শীর্ষ নেতাদের দাবি- গত ১৫টি বছর ধরে প্রায় ৫০ হাজারের বেশি নেতাকর্মী বিভিন্ন রাজনৈতিক মামলায় আসামি হয়েছেন। যেসব মামলায় নিয়মিত আদালতে হাজিরা দিয়ে আসছেন। সপ্তাহের প্রতিটি দিনেই আদালতে উপস্থিত হতে হচ্ছে জেলার বিভিন্ন থানা/উপজেলা বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীদের।

গত ১০ ডিসেম্বরকে ঘিরে আন্দোলন সংগ্রাম ইস্যুতে প্রতিটি থানায় দুটি একটি করে মামলা দায়ের হয়েছে, যেসব মামলায় বিএনপির নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়। গত ১ সেপ্টেম্বর বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় দুটি মামলা হয় বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। ওইদিন যুবদল নেতা শাওন প্রধান নিহত হোন। কেন্দ্র ঘোষিত প্রায় অধিকাংশ কর্মসূচি পালন করতে গেলেই মামলার শিকার হোন নেতাকর্মীরা। নির্বাচন নাগাদ সেই মামলার সংখ্যা আরো বেড়ে যায়।

এমন পরিস্থিতিতে জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীদের জন্য এক আস্থা ও ভরসাস্থল হয়ে ওঠেছিলেন অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান। আদালতপাড়ায় বিএনপি নেতাকর্মীদের জন্য আরো বড় শক্তি হিসেবে আইনি সহায়তায় ভুমিকা রেখে আসছেন সাখাওয়াত হোসেন খান। কোর্টপাড়ায় আইনি সেবায় সাখাওয়াত হোসেন খান আছেন- এমনটা ভেবে বিএনপি নেতাকর্মীরাও মামলায় হাজিরা দিতে ও জামিন আবেদন করতে সাহস পান। বিএনপির মামলার শিকার নেতাকর্মীদের জন্য সাখাওয়াত হোসেন খান বিরাট শক্তি হিসেবে কাজ করে আসছেন।

নেতাকর্মীরা আরো জানান, সাখাওয়াত হোসেন খান মহানগর বিএনপির রাজনীতি করলেও তিনি আড়াইহাজার, রূপগঞ্জ, সোনারগাঁ, ফতুল্লা, সিদ্ধিরগঞ্জ সহ সাতটি থানার নেতাকর্মীদের মধ্যে কেউ গ্রেপ্তার হয়েছেন সেই খবর তাকে দেয়া হলেই কোর্টে আইনি সেবা দিতে ছুটে গেছেন। নেতাকর্মীরা গ্রেপ্তার হয়েছেন কখনো কখনো এমন খবর জানতে পেরেও নিজ উদ্যোগে নেতাকর্মীদের আইনি সেবা দিতে ছুটে গেছেন তিনি। বিএনপি নেতাকর্মীদের কোনো রাজনৈতিক মামলায় আইনি সেবা দিতে কার্পন্য করেননি।