“সামাজিক ও চিকিৎসা নিরাপত্তা প্রাপ্তি প্রবীণদের রাষ্ট্রীয় অধিকার”

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

আনন্দধামের উদ্যোগে ১ অক্টোবর আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস ২০২৩ উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমি সেমিনার কক্ষে রাস্ট্রের প্রবীন নাগরিকদের সামাজিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত জনসচেতনতা বৃদ্ধি কল্পে ও তাদের মানবাধিকার নিশ্চিত করনে “প্রবীন নাগরিকদের মানবাধিকার নিশ্চিতে সমাজ ও রাস্ট্রের দায়িত্ব ও কর্তব্য” – শীর্ষক এক সেমিনার ও প্রবীন নাগরিকদের সম্বর্ধনা সভার আয়োজন করা হয়।

আনন্দধামের নির্বাহী চেয়ারম্যান হাসিনা রহমান সিমুর সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আনন্দধামের উপদেষ্টা প্রাক্তন পাবলিক প্রসিকিউটর প্রবীন আইনজীবী এডভোকেট ওয়াজেদ আলী খোকন, মানবাধিকার কাউন্সিল নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি ফয়েজউদ্দিন আহমেদ লাভলু ও মাজহারুল ইসলাম কিছলু প্রমুখ।

আনন্দধামের অতিরিক্ত চেয়ারম্যান মোঃ শাহ আলম ও অতিরিক্ত মহাসচিব এডভোকেট শেখ মোঃ জসিমের যৌথ সঞ্চালনায়, আনন্দধামের মহাসচিব বিশ্বজিৎ সাহার সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও আনন্দধামের অতিরিক্ত চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলাম বাবুর ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত এই সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আনন্দধামের ভাইস চেয়ারম্যান শ্যামল দত্ত, শাহ রিয়ার মো: মারুফ, যুগ্ম মহাসচিব বিপ্লব ঘোষ, মোতালেব সানি, অর্থ পরিচালক খোকন গাজী, সাংগঠনিক পরিচালক আবদুল কাইয়ুম আল আমিন, সাহিত্য পরিচালক এনামুল হক প্রিন্স, ক্রীড়া পরিচালক আশরাফুল ইসলাম রোমান, পলাশ আহমেদ, আনন্দধাম প্রবীণ সংঘের সভাপতি আবদুর রহমান বাচ্চু ও সম্পাদক বাহাউদ্দীন শাহ।

এখানে উল্লেখ্য যে, আনন্দধামের পক্ষ থেকে প্রতি বৎসর সভা সমাবেশ ও সিম্পোজিয়ামের মাধ্যমে প্রবীন দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করে থাকে।

আনন্দধাম সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয় যে, আজকের অনুষ্ঠানে যে কয়েকজন প্রবীন ব্যক্তিকে ফুলেল সংবর্ধনা দেওয়া হচ্ছে, মুলত তাদের মাধ্যমে আনন্দধাম সমাজে বসবাসকারী সমস্ত প্রবীন নাগরিকদের প্রতিই সম্মান প্রদর্শন করলো। আনন্দধামের পক্ষ থেকে বলা হয় যেহেতু সামাজিক ও চিকিৎসা নিরাপত্তা প্রাপ্তি প্রবীনদের রাস্ট্রীয় অধিকার, সেহেতু আমাদের সবাই মিলিত ভাবে কাজ করে প্রবীন নাগরিকদের অধিকার সুনিশ্চিত করতে হবে।

সেমিনারে বক্তরা প্রবীণ দিবসের গুরুত্ব উল্লেখ্য করে বলেন, আমাদের সমাজ, সংসার, রাষ্ট্র এমনকি পৃথিবীটা বাসযোগ্য হয়েছে যুগে যুগে এই প্রবীণ মানুষগুলোর পরিশ্রমে, তাদের প্রজ্ঞা, বুদ্ধিমত্তায়। আজ যখন বার্ধক্যের কারনে তারা তাদের কর্মক্ষমতা ও উপার্জন ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে তখন আমাদের সমাজের দায়বদ্ধতা থাকে প্রবীন নাগরিকদের সমস্থ নাগরিক অধিকার সুনিশ্চিত করতে।

বক্তারা আরও বলেন, জীবন চক্রের সর্বশেষ ধাপ বা পরিণতি হলো বার্ধক্য বা প্রবীণ। বার্ধক্য হচ্ছে জীবনের সবচেয়ে নাজুক ও স্পর্শকাতর অবস্থা। শুধু বয়সের বার্ধ্যকের কারণে প্রবীণরা গুরুত্বহীন অবস্থায় অবমূল্যায়নের জীবন ধারণ করবেন, তা এই সচেতন ও সভ্যসমাজে হতে পারে না।

সভার সভাপতি হাসিনা রহমান সিমুর বক্তব্যের পর আনন্দধামের পক্ষ থেকে প্রবীনদের সম্মানে রাতের খাবারে উপস্থিত সবাইকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।