আড়াইহাজারে পুলিশের দুই সদস্য অবরুদ্ধ

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজারে ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের লস্করদী এলাকায় একটি গাড়ী সংক্রান্ত অভিযোগে তদন্ত করতে গিয়ে ২৭ এপ্রিল শনিবার রাতে পুলিশের দুই সদস্যকে অবরুদ্ধ করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। পুলিশের এএসআই আমিনুল ও কনস্টেবল সাইদুরকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়।

স্থানীয় দুই গ্রুপের চরম উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে তারা রোষানলের শিকার হন। গাড়ী নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে উভয় পক্ষের প্রায় ৩ থেকে ৪শত লোক লাঠিসোটা নিয়ে ঝড়ো হয়। পরে আড়াইহাজার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আক্তার হোসেন ও টহল পুলিশের দায়িত্বে থাকা এসআই নাজমুল সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে পুলিশের দুই সদস্যকে উদ্ধার করেন।

অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা এএসআই আমিনুল বলেন, লস্করদী এলাকার ফারুক ও জাইদুলের মধ্যে একটি পিকআপ গাড়ী নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল। জাইদুল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিলে তিনি তদন্তে যান। পরে অভিযুক্ত ফারুকের কাছে গাড়ীর কাগজপত্র দেখতে চাইলে তিনি উপযুক্ত কোন কাগজ দেখাতে পারেনি। এরই মধ্যে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়ে পড়ে। এ সময় কিছু লোক পুলিশের ওপর অহেতুক চওড়া হয়ে ওঠেন। পরে ওসি স্যার ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। তবে পুলিশের হামলার কোন ঘটনা ঘটেনি।

এদিকে এসআই নাজমুল বলেন, ‘আমি টহল পুলিশের দায়িত্বে ছিলাম। লস্করদী এলাকায় কিছু লোকজনের মধ্যে উত্তেজনার খবর পেয়ে ওসি স্যারকে বিষয়টি অবহিত করলে স্যার আমাকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। পরে পুলিশের দুই সদস্যকে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে উদ্ধার করা হয়। তবে তাদের ওপর হামলার কোন ঘটনা ঘটেনি।’

আড়াইহাজার থানা পুলিশের ওসি আক্তার হোসেন বলেন, এএসআই আমিনুল লস্করদী এলাকায় একটি গাড়ী সংক্রান্ত অভিযোগের তদন্তে গিয়েছিলেন। সেখানে স্থানীয় দুই গ্রুপের মধ্যে হঠ্যাৎ উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে পরস্পরের ওপর হামলা করতে ৩ থেকে ৪শত মানুষ ঝড়ো হয়। দুইজন পুলিশ সদস্যের পক্ষে এতো লোককে সামাল দেওয়া সম্ভব ছিল না। খবর পেয়ে আমিসহ আরো বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করি। পরে অপ্রীতিকর কোন ঘটনা ঘটেনি। সময় পুলিশ হাজির না হলে দুইগ্রুপের লোকজনের মধ্যে হামলার ঘটনা ঘটতে পারতো। তবে ঘটনাস্থলে পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলার কোন ঘটনা ঘটনা ঘটে। পুলিশ সদস্যরা আহত হলেতো তারা চিকিৎসা নিতো।

তিনি আরও বলেন, ‘কিছু লোকের সঙ্গে পুলিশ সদস্যদের ভুলবুঝাবুঝির ঘটনা ঘটে। তবে হামলা হয়নি। এনিয়ে কিছু সংবাদমাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা আড়াল করে উল্টো ভুয়া সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। এতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করা হয়েছে।’