সোনারগাঁয়ে আ’লীগের কমিটিতে মাদক ব্যবসায়ী, মাদকসেবীদের স্থান হয়েছে: মোশাররফ

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামীলীগের কমিটিতে মাদক ব্যবসায়ী, বিতর্কিত ব্যক্তি, মামলার আসামীদের ও মাদকসেবীদের স্থান হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন উপজেলার কাঁচপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা মোশাররফ ওমর। তিনি এও অভিযোগ করেছেন- ত্যাগীদের কমিটিতে স্থান দেয়া হয়নি। যারা নৌকা না পেলেই নৌকা পুড়িয়েছেন তাদেরকেও রাখা হয়েছে।

২৩ জুন শুক্রবার বিকেলে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুর এলাকায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কাঁচপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা মোশারফ ওমর এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, কমিটিতে আওয়ামীলীগের কর্মীদের এ কমিটিতে মূল্যায়ণ করা হয়নি। ৭২ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে একই ইউনিয়ণের ৫৪জনকে রাখা হয়েছে। এটি কমিটি নাকি পারিবারতন্ত্র? অবিলম্বে এই কমিটি বাতিল করে ত্যাগী নেতাদের নিয়ে কমিটি করার আহবান জানান তিনি।

তিনি বলেন, আমার বাবা মরহুম ওমর আলী মিস্ত্রি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহচর হিসেবে আওয়ামীলীগের রাজনীতি করেছেন। তার উত্তরসূরী হিসেবে আমরাও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামীলীগের রাজনীতি করে আসছি। রাজনীতি করতে গিয়ে বাড়ি ঘর ছাড়া হয়েছি, মামলা খেয়েছি, জেল খেটেছি, তবুও দল থেকে একবিন্দুও সরে যাইনি। বাকী জীবনেও দলের বিরুদ্ধে কখনো অবস্থান নিবো না। কিন্তু উপজেলার একটি ঐতিহ্যবাহী আওয়ামী পরিবারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, অনেক নেতারা আওয়ামীলীগের মনোনয়ণ না পেয়ে নৌকা ডুবিয়েছেন, নৌকাতে আগুন দিয়েছেন।

সম্প্রতি মোগড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচন না করে স্বতন্ত্র প্রার্থীকে পাশ করিয়েছেন ওই নেতারা। ওনার কেন্দ্রে নৌকার পরাজয় হয়েছে। তিনি আবার কিভাবে নৌকার মনোনয়ন চান, এসকল ব্যক্তিদের থেকে নেতাকর্মীদের দূরে থাকার আহবান জানান তিনি।

তিনি আরো বলেন, আমরা আওয়ামীলীগের রাজনীতি করি স্বার্থের জন্য নয়, নৌকাকে ডুবাতে নয়। আমি মনোনয়ণ না পেলেও যাকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নৌকার মনোনয়ন দিবেন আমি তার পক্ষেই কাজ করব। সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কাধে কাধ রেখে আসুন সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে একসাথে দলের জন্য কাজ করি। যাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আবারো ক্ষমতায় বসাতে পারি। যদি নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ থাকে তাহলে কারো পায়ের নীচে মাটি থাকবে না বলে তিনি হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন।