যুবদলের ইফতার পার্টি ভণ্ডুল: রাজীবের দাবি, ‌’নারায়ণগঞ্জ বিএনপিরও ব্যর্থতা’!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

গত ২৮ মার্চ বিএনপির অন্যতম অঙ্গ সংগঠন জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতাদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় নারায়ণগঞ্জে যুবদলের ঢাকা বিভাগীয় ইফতার পার্টি অনুষ্ঠিত হবে। সেই লক্ষ্যেই পরদিন ২৯ মার্চ কেন্দ্রীয় যুবদলের নেতারা নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন স্পট পরিদর্শন করেন। এরপর মহানগরীতে আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়। সেটা বাতিল করে ফতুল্লায় করার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু শেষতক কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য আজহারুল ইসলাম মান্নানের সোনারগাঁয়ের বাড়ির সামনে আয়োজন করা হয়। প্যান্ডেল সহ যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন মান্নান।

স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানান, মান্নানের ছেলে জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খাইরুল ইসলাম সজীব জেলা যুবদলের নেতৃত্ব প্রত্যাশি হওয়ার সুবাদে মান্নানের আগ্রহের কমতি ছিলো না। যে কারনে ব্যাপক আয়োজন করেন মান্নান। কিন্তু প্রশাসনের বাধার মুখে পড়ে ইফতার পার্টির একদিন আগে ১৩ এপ্রিল প্যান্ডেল ভেঙ্গে ফেলতে হয়। ১৪ এপ্রিল শুক্রবার এই ইফতার পার্টি অনুষ্টিত হওয়ার কথা ছিলো।

এমন পরিস্থিতিতে আগামীতে জেলা যুবদলের কমিটি গঠন নিয়ে নেতৃত্বের প্রতিযোগীতায় দলের ভেতর ও বাহিরের ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে নেতাকর্মীদের অনেকের অভিমত থাকলেও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির অন্যতম যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীব মনে করছেন এটা পুরো নারায়ণগঞ্জ বিএনপির ব্যর্থতা।

১৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে রাজীব লিখেছেন, ইফতার মাহফিল করতে না দেয়া যেমন সরকার আর প্রশাসনের দেউলিয়াত্ব প্রমাণ করে, ঠিক তেমনি এটা না করতে পারার ব্যর্থতা শুধু অঙ্গ সংগঠনের নয়, পুরো নারায়ণগঞ্জ বিএনপির।

জানাগেছে, গত ২৮ মার্চ যুবদলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা বিভাগীয় ইফতার মাহফিল সফল করার লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ঢাকার আশেপাশে জেলার সভাপতি সাধারণ সম্পাদক ও মহানগরের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত ছিলেন। সভায় বক্তব্য রাখেন যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন।

সভায় ঢাকা বিভাগীয় যুবদলের ইফতার মাহফিলের জন্য নারায়ণগঞ্জকে বেছে নেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। ১৪এপ্রিল নারায়ণগঞ্জে ঢাকা বিভাগীয় যুবদলের ইফতার মাহফিল সম্ভাব্য ভেন্যু হিসেবে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ঢাকা বিভাগীয় যুবদলের সকল ইউনিটের পাশাপাশি বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি এবং জেলা ও মহানগর বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দকে উপস্থিত রাখার সিদ্ধান্ত হয়।