‌’সাবেক এমপি আবুল কালামের ছবি ব্যবহার করে লাঙ্গল মার্কার পক্ষে কাজ করছে তারা’

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আওতাধীন ১৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সম্মেলনের প্রধান বক্তার বক্তব্যে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি’র সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেছেন, আমরা শহীদ জিয়ার আদর্শের সৈনিক। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপির রাজনীতি করবো। কোনো নৌকা মার্কা লাঙ্গল মার্কার গোলামী করবো না। যারা বিএনপিতে থেকে সরকারি দলের দালালি করবেন তাদের স্থান বিএনপিতে হবে না। আগামী দিনে শহীদ জিয়ার বিএনপি খালেদা জিয়ার বিএনপি এবং তারেক রহমানের বিএনপি থাকবে, কোনো দালাল মার্কা বিএনপি নারায়ণগঞ্জে থাকবেনা। আমরা অতীতে দেখেছি বিএনপি’র কমিটিতে থেকে অনেকে সরকারি দলের গোলামী করেছেন। তাদেরকে হুশিয়ার করে দিয়ে বলতে চাই, অনেক হয়েছে আর না, আপনাদের দিন শেষ। শহীদ জিয়ার সৈনিকেরা জেগে উঠেছে। যে কোনো মূল্যে তারা বিএনপিকে দালাল মুক্ত করবে। আগামী দিনের আন্দোলন সংগ্রামে বিএনপির নতুন নেতৃত্বকে স্বাগত জানাচ্ছি।

তিনি প্রয়াত নেতা জালাল হাজীর প্রতি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে বলেন, বিএনপির নামদারী একটি গ্রুপ যারা নৌকা-লাঙ্গল মার্কার পক্ষে কাজ করে আসছেন, তারা জালাল হাজীর নাম ব্যবহার করে নিজেদের সম্পদের পাহাড় গড়েছেন, এখন তারা বিএনপির সাবেক এমপি আবুল কালামের ছবি ব্যবহার করে নৌকা-লাঙ্গল মার্কার পক্ষে কাজ করছেন। আবুল কালাম বিএনপির সকলের এমপি ছিলেন। তিনি কখনো নৌকা-লাঙ্গল মার্কার দালালদের হতে পারেন না।

সম্মেলনের প্রধান অতিথি নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বিএনপির নিজ দলের কিছু দালাল শ্রেণীর লোকজন নিয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে সরকারি দলের এমপিরা চক্রান্ত করছে বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এই স্বৈরাচারী হাসিনা সরকার আবারো একটি পাতানো নির্বাচনের পাঁয়তারা করছে‌ কিন্তু আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলে দিতে চাই, শেখ হাসিনার অধীনে বাংলাদেশের কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে না, হতে দেয়া হবে না‌ আমরা রাজপথে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলে এই প্রহসনের নির্বাচনকে প্রতিরোধ করবো।

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আওতাধীন সদর থানা বিএনপির অন্তর্গত ১৭নং ওয়ার্ড বিএনপি’র দ্বিবার্ষিক সম্মেলন ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন। রবিবার (১৩ এপ্রিল) ১৭নং ওয়ার্ডস্থ পাইকপাড়া এলাকায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত বলেন, আগামী ঈদের পরে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে সরকার পতনের আন্দোলনকে বেগবান করতে সারাদেশের প্রতিটি ইউনিট কমিটিকে শক্তিশালী করে গড়ে তোলার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সে নির্দেশনা মোতাবেক আমরা নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আওতাধীন প্রতিটি ইউনিট কমিটিতে সম্মেলনের মাধ্যমে সকলের মতামতের ভিত্তিতে একটি গ্রহণযোগ্য নেতৃত্ব তৈরি করার চেষ্টা করছি যাতে করে আগামী দিনে রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে পারে। এখানে কোনো ভাইয়ের লোক কোনো ব্যক্তির লোক প্রাধান্য পাবে না, যারা রাজপথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে তাদেরকেই কমিটিতে স্থান দেয়া হবে। ইতিমধ্যে আমরা সম্মেলনের মাধ্যমে অনেকগুলো কমিটি গঠন করেছি। আজকে ১৭ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই সম্মেলনে যারা নেতৃত্বে আসবেন তাদের প্রতি শুভেচ্ছা এবং শুভকামনা থাকলো। সেই সাথে এই নতুন নেতৃত্ব রাজপথের আন্দোলনে সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দেবে সেই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি ।

সম্মেলন শেষে ফারুক আহমেদের সভাপতি ও কাজী জিয়াউল হাসান নাঈমকে সাধারণ সম্পাদক, সালাউদ্দিন মোল্লাকে সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং পলাশ প্রধানকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে নারায়ণগঞ্জ মহানগর ১৭নং ওয়ার্ড বিএনপির কমিটি ঘোষণা করেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু।

 

মহানগর ১৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সমন্বয়ক ফারুক আহমেদের সভাপতিত্বে ও সহ- সমন্বয়ক কাজী জিয়াউল হাসান নাঈমের সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু, উদ্বোধক প্রবীন বিএনপি নেতা কাজী বোরহান উদ্দিন, বিশেষ অতিথি মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আহ্বায়ক মনির হোসেন খান, ফতেহ রেজা রিপন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ডা. মজিবুর রহমান, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির আহ্বায়ক মাসুদ রানা, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট এইচ এম আনোয়ার প্রধান।

এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাহমুদুর রহমান, মাকিদ মোস্তাকিম শিপলু, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম সরদার, শেখ সেলিম আহমেদ, চঞ্চল মাহমুদ, নাজমুল হক, আল আমিন প্রধান, মো. মোহসীন, মহসীন উল্লাহ, মন্টু মিয়া, বিএনপি নেতা হিরা সরদার, মো. শিপলু, মাহবুবুর রহমান, মহানগর ছাত্রদল নেতা নাজমুল হাসান রাব্বী প্রমুখ।