বন্দরেও শক্তির জানানি দিলো সাখাওয়াত-টিপুর নেতৃত্বে মহানগর বিএনপি!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৭টি ওয়ার্ড, ৭টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির কমিটি। যেখানে সদরে রয়েছে দুটি ইউনিয়ন ও সিটি কর্পোরেশনের ৮টি ওয়ার্ড। বন্দরের ৯টি ওয়ার্ড ও ৫টি ইউনিয়ন। এর মধ্যে বন্দরের ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে বন্দর থানা বিএনপির কমিটি গঠিত হয়েছে। যে কোনো সময় ৫টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত হবে বন্দর উপজেলা বিএনপির কমিটি। একইভাবে সদরের এলাকাগুলো নিয়ে গঠিত হয়েছে সদর থানা বিএনপির কমিটি।

গত সেপ্টেম্বর মাসে অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানকে আহ্বায়ক ও অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপুকে সদস্য সচিব করে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির কমিটি গঠিত হওয়ার পর কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় সকল কর্মসূচি পালনে ধাবিয়ে বেরিয়েছে সাখাওয়াত ও টিপুর নেতৃত্বে মহানগর বিএনপি। মহানগরীর মুল এলাকার রাজপথে জাতীয় দিবসে কিংবা বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচিগুলোতে শোডাউন করে সারা জাগিয়েছেন সাখাওয়াত ও টিপু। কমিটি গঠনের সরকারি দলের ছত্রছায়ায় থাকা বেশকজন নামদারী বিএনপি হুংকার ছাড়েন যে, বন্দরে সাখাওয়াত ও টিপুর নেতৃত্বে মহানগর বিএনপির কর্মসূচি পালন করতে দিবে না।

কেউ কেউ বলছিলো-বন্দরে সাখাওয়াত ও টিপুর নেতৃত্বে মান্য করার মত বিএনপির নেতাকর্মী নেই! কিন্তু মহানগর বিএনপির কমিটি গঠনের পর থেকেই বন্দরে নিয়মিত ছোট ছোট কর্মসূচি পালন ও কমিটি গঠন নিয়ে কর্মীসভা করে আসছেন। এবার কেন্দ্র ঘোষিত বন্দর থানা বিএনপির আয়োজনে পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি। বন্দর থানা বিএনপির কমিটি গঠনের ১৫দিনের মাথায় কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে কয়েক হাজার নেতাকর্মীদের নিয়ে বন্দর নগরী পদযাত্রায় চষে বেরিয়েছেন সাখাওয়াত হোসেন খান ও আবু আল ইউসুফ খান টিপু।

জানাগেছে, বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও সরকারের দমন-পীড়নের প্রতিবাদে বিএনপির ১০ দফা দাবিতে সরকার বিরোধী যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আওতাধীন বন্দর থানা বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত পদযাত্রা কর্মসূচিতে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের ঢল নেমেছিলো। ৪ মার্চ শনিবার বিকেল ৩টায় বন্দরের সোনাকান্দা এলাকায় সংক্ষিপ্ত পথসভা শেষ করে পদযাত্রা কর্মসূচি শুরু হয় এবং বন্দরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে এসে তৃতীয় শীতলক্ষা সেতুর নীচে এসে শেষ হয়।

এসময় পদযাত্রায় মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা ফেস্টুন- ব্যানারে সুসজ্জিত হয়ে কারাবন্দি বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই এবং সরকারের পদত্যাগ ও গ্যাস, বিদ্যুৎ ও নিত্যপণ্যের দাম কমানোসহ ১০দফা দাবিতে শ্লোগান দেন।

এদিকে কেন্দ্র ঘোষিত পদযাত্রা কর্মসূচিকে সফল করার লক্ষ্যে দুপুর থেকেই নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, শ্রমিকদল, মহিলা দলসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা ব্যানার ফেস্টুন সুসজ্জিত হয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই শ্লোগানে শ্লোগানে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে বন্দও সোনাকান্দা এলাকায় এসে জড়ো হতে থাকে।

বন্দর থানা বিএনপির আহবায়ক নুর মোহাম্মদ পনেছের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব নাজমুল হক রানার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত পথসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা এডভোকেট ফজলুর রহমান।

প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সহ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আশরাফউদ্দিন বকুল ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু।

কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্যে বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল হক হিরণের নেতৃত্বে নেতাকর্মীদের মিছিল করে যোগদান করেন। এ ছাড়াও বন্দর উপজেলা বিএনপির সেক্রেটারি প্রার্থী শাহিন আহমেদ ও হারুন অর রশিদ লিটনের নেতৃত্বে পৃথকভাবে মিছিল করে যোগদান করেন। শোডাউন করে যোগদান করেন ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির সমন্বয়ক জাহিদ খন্দকারও, যেখানে তার সঙ্গে শোডাউনে ছিলেন উপজেলা বিএনপির নেতা রফিকুল ইসলাম।

এ ছাড়াও থানা বিএনপি নেতা সোহেল খান বাবু, উপজেলা বিএনপি নেতা পারভেজ খান, বিএনপি নেতা মোশারফ হোসেন মশুর নেতৃত্বে পৃথক মিছিল নিয়ে পদযাত্রায় যোগদান করেন নেতাকর্মীরা। অনুষ্ঠানের আয়োজকে ছিলেন বন্দর থানা বিএনপির আহ্বায়ক নূর মোহাম্মদ পনেছ ও সদস্য সচিব নাজমুল হক রানা। সঞ্চলনায় সহযোগীতা করতে দেখা যায় উপজেলা বিএনপি নেতা মহিউদ্দীন শিশিরকেও। মিছিল করে যোগদান করেছেন বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম ও শাহাদুল্লাহ মুকুলও। এ ছাড়াও সদর থানা বিএনপি, মহানগর যুবদল, মহানগর ছাত্রদল, মহানগর শ্রমিকদল, মহিলা দল সহ স্বস্ব ইউনিটের নেতাকর্মীরা থানা ও উপজেলা শাখার নেতাকর্মীরা যোগদান করেছেন।

পদযাত্রা কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ূন কবির, মনির হোসেন খান, আনোয়ার হোসেন আনু, শাহ ফতেহ মো: রেজা রিপন, সদস্য অ্যাডভোকেট রফিক আহমেদ, মাসুদ রানা, অ্যাডভোকেট এইচএম আনোয়ার প্রধান, মাহমুদুর রহমান, রাশিদা জামাল, বরকত উল্লাহ, হাবিবুর রহমান দুলাল, হাবিবুর রহমান মিঠু, শাহিন আহমেদ, কামরুল হাসান চুন্নু সাউদ, মাকিদ মোস্তাকিম শিপলু, ফারুক হোসেন।

এছাড়াও মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মমতাজ উদ্দিন মন্তু, সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম সজল, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাগর প্রধান, যুগ্ম আহ্বায়ক শাহেদ আহমেদ, বিএনপি নেতা মহি উদ্দিন শিশির, হারুন উর রশিদ লিটন, নজরুল ইসলাম সরদার, আবুল হোসেন রিপন, মহানগর যুবদল নেতা সহিদুল ইসলাম, বিএনপি নেতা নাসির উদ্দিন টিপু, বাবু খান, সাইফুল ইসলাম বাবু, হিরা সরদার, আলীরটেক ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, গোগনগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আক্তার হোসেন, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সমন্বয়ক শাহাদুল্লাহ মুকুল, ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির সমন্বয়ক জাহিদ খন্দকার, মদনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সমন্বয়ক মামুন ভূইয়া, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মমিনুর রহমান বাবু, মহানগর শ্রমিকদলের আহ্বায়ক এস এম আসলাম, সদস্য সচিব ফারুক হোসেন, মহানগর মহিলা দলের সভানেত্রী দিলারা মাসুদ ময়না, সাধারণ সম্পাদক আয়েশা আক্তার দিনা, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুর রহমান সাগর, সাধারণ সম্পাদক রাহিদ ইসতিয়াক শিকদার, কৃষক দল নেতা আক্তার হোসেন সবুজ, মনোয়ার হোসেন সোহেল, মহানগর ওলামা দলের সভাপতি হাফেজ মামুনসহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।