টার্গেট জাতীয় নির্বাচন: সোনারগাঁয়ের রাজনীতির মাঠ ত্রিপক্ষীয় দখলে!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁয়ের রাজনীতির মাঠ আওয়ামীলীগ, বিএনপি ও জাতীয়পার্টি সমানতালে দখলে রেখেছে। জাতীয় কর্মসূচি কিংবা নিজ নিজ কর্মসূচিগুলো সক্রিয়ভাবে পালন করছে দেশের বৃহত্তর তিনটি রাজনৈতিক দলই। একুশে ফেব্রুয়ারি, স্বাধীনতা দিবস কিংবা বিজয় দিবস সহ প্রায় সকল জাতীয় দিবসগুলোর কর্মসূচিতে নিজ নিজ দলের শক্তির জানানি দিচ্ছে আওয়ামীলীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টি। একই সঙ্গে তিনটি দলের অঙ্গ সহযোগী সংগঠনগুলোও রাজপথে বেশ সক্রিয় ওঠে ওঠেছে। ভিন্ন কিছু না ঘটলে আগামী জানুয়ারি মাসেই জাতীয় নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, গত ২০১৪ সাল থেকে নারায়ণগঞ্জ-৫ (সোনারগাঁ) সংসদীয় আসনে আওয়ামীলীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের শরীক দল জাতীয় পার্টি থেকে এমপি হিসেবে রয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা। মুলত জোটগত কারনে ২০১৪ সালে এই আসনটি জাতীয়পার্টিকে ছেড়ে দেয় আওয়ামীলীগ। সেই থেকে দিনকে দিন এখানে জাতীয় পার্টিকে শক্তিশালী করার কাজটি খুব ভালোভাবেই করেন যাচ্ছেন এমপি খোকা। একইভাবে এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালনের সুবাধে সোনারগাঁয়ের নানা উন্নয়ন কর্মকান্ডে সাধারণ মানুষের মাঝেও জাতীয়পার্টিকে নিয়ে গেছেন তিনি। সোনারগাঁও উপজেলা জাতীয় পার্টি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরাও উন্নয়নমুলক কাজে সযোগীতা করে জনগণের আস্থা অর্জনে কাজ করছেন।

এদিকে গত ২০০৮ সালের নির্বাচনে তৎকালীন ঘঠিত নারায়ণগঞ্জ-৩(সিদ্ধিরগঞ্জ-সোনারগাঁ) আসনে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকে এমপি নির্বাচিন হোন আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত। কিন্তু তার দায়িত্ব থাকাকালীন সময়ে বিভিন্ন কারনে দিনকে দিন তার জনপ্রিয়তা হ্রাস পায়। যার ফলশ্রুতিতে ২০১৪ সালে এই আসনটি আওয়ামীলীগের হাতছাড়া হয়। তবে সেই ২০১৪ সাল থেকে এখানে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আনার চেষ্টা করেও বারবার ব্যর্থ হচ্ছে আওয়ামীলীগ। শুধু সোনারগাঁও আওয়ামীলীগই নয়, জেলা আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতারাও বারবার দাবি তুলেছেন সোনারগাঁয়ের নৌকার প্রার্থীর জন্য। কিন্তু সোনারগাঁয়ের আওয়ামীলীগের একটি অংশ আবার জেলার প্রভাবশালী এক নেতার তাবেদারীতে ব্যতিব্যস্ত থাকেন। যে কারনে আওয়ামীলীগ ঘুরে দাঁড়াতে গিয়ে হোচট খাচ্ছে বারবার। তবে কয়েক মাস হলো উপজেলা আওয়ামীলীগের নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে সেক্রেটারি নির্বাচিন হোন কায়সার হাসনাত। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনগুলো নৌকার দাবিতেই জোরালো রাজপথে সক্রিয় ভুমিকা পালন করে আসছে।

অন্যদিকে বিএনপি মনে করে নির্দলীয় তত্ত্বাধায়ক সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে সোনারগাঁও আসনটিতে বিএনপির ধীনের শীষ প্রতীকের প্রার্থী নির্বাচিত হবেন। কারন এখানে দীর্ঘদিন বিএনপির এমপি ছিলেন। বিএনপির ঘাটি হিসেব মনে করা হতো সোনারগাঁওকে। যদিও জাতীয় পার্টির এমপি থাকার সুবাধে এখানে বিএনপির বহু নেতাকর্মী জাতীয় পার্টিতে ঘা ভাসিয়েছেন। কেউ কেউ জাতীয়পার্টিতে গিয়েছেন, আবার বিএনপিতে ফেরত এসেছেন।তবে জাতীয় দিবসগুলোতে সোনরগাঁও উপজেলা বিএনপিকে সক্রিয় দেখা যাচ্ছে। উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নানের নেতৃত্বে সোনারগাঁয়ে বিএনপি বেশ ঘুছানো এবং শক্তিশালী। আওয়ামীলীগ সরকার আমলেই সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন মান্নান। গত নির্বাচনে তিনি ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করলেও সারাদেশের মত উনারাও একই দশা হয়। তবে সামনের নির্বাচনে আশা ছাড়ছেনা বিএনপি। রাজপথে আন্দোলনের পাশাপাশি জাতীয় দিবসগুলোতে বেশ শোডাউন করে বিএনপির অবস্থান জানানি দিয়ে যাচ্ছে সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপি।