পরকীয়ার জেরে বন্দরের মাসুম হত্যাকান্ড: র‌্যাবের রহস্য উদঘাটন ও আসামি গ্রেপ্তার

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে ক্লু-লেস “অটোচালক মাসুম হাওলাদার” হত্যা মামলার রহস্য উৎঘাটন করেছে র‌্যাব-১১। এই হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী মোঃ সালাউদ্দিন ওরফে সনিকে র‌্যাব-১১ গ্রেপ্তার করেছে। ১৫ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে এ তথ্য জানান র‌্যাব-১১ এর কোম্পানী কমান্ডার, স্কোয়াড্রন লিডার একেএম মুনিরুল আলম।

তিনি জানান, চলতি বছরের গত ৫ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানাধীন খান বাড়ীর মোড় এলাকা হতে অটোচালক মাসুম হাওলাদার নিখোঁজ হন। পরবর্তীতে ৭ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানাধীন কুশিয়ারা এলাকা হতে অটোচালক মাসুম হাওলাদারের লাশ পাওয়া যায়। উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের স্ত্রী মোছাঃ শিরিন বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং-৫/৪৩২, তারিখ-০৭/১১/২০২২ইং। ঘটনাটি স্থানীয় ও জাতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ আকারে প্রকাশিত হয় যা এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে।

উল্লেখিত বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি সংগ্রহ সহ উক্ত হত্যা মামলার অজ্ঞাতনামা আসামীদের গ্রেপ্তাররের জন্য র‌্যাব-১১, নারায়ণগঞ্জ ছায়া তদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৪ ডিসেম্বর বুধবার রাতে র‌্যাব-১১, সিপিএসসি ও সিপিসি-১ কোম্পানীর যৌথ আভিযানেমূল পরিকল্পনাকারী আসামী “মোঃ সালাউদ্দিন ওরফে সনিকে সদর মডেল থানাধীন ডিআইটি মসজিদ এলাকা হতে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।

র‌্যাব আরো জানায়, ভিকটিম পেশায় একজন অটোচালক। ভিকটিমের স্ত্রী ধৃত আসামীর হোসিয়ারিতে কাপড় প্রসেসিং এর কাজ নেয় মাস কয়েক আগে। কাজের সুবাদে আসামীর সাথে ভিকটিমের স্ত্রীর পরিচয় হয় এবং অল্প সময়ে তাদের মধ্যে প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাদের সম্পর্কের মাস তিনেক যেতেই বিষয়টা জানাজানি হয়। পরবর্তীতে ভিকটিম তার স্ত্রীকে কাজে যেতে নিষেধ করেন এবং এ নিয়ে ভিকটিম ও তার স্ত্রীর মধ্যে অশান্তির সৃষ্টি হয়। আসামির হোসিয়ারিতে ভিকটিমের স্ত্রী কাজ বন্ধ করলে আসামী ভিকটিমের প্রতি ক্ষিপ্ত হয় এবং আসামী ভিকটিমকে নানাভাবে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছিল। এক পর্যায়ে আসামী ভিকটিমকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে এবং সেই কাজে আসামী তার অপর সহযোগী রানাকে কাজে লাগায়। পেশায় রানাও একজন অটো চালক। নিখোঁজের দিন রানা ভিকটিমকে ঘটনাস্থলে ডেকে নিয়ে যায়। ভিকটিম নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই রানা এবং সনি মোবাইল ফোনে ঘন ঘন যোগাযোগ রক্ষা করছিল এবং যেদিন লাশ পাওয়া যায় সেদিন থেকে রানা এবং সনি একসাথে আত্মগোপনে চলে যায় এবং তাদের ব্যবহৃত ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামী মোঃ সালাউদ্দিন ওরফে সনি উক্ত হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করে।