সোনারগাঁয়ে শ্রমিকলীগ নেতার মামলায় বিএনপির ৪৫ নেতাকর্মী আসামি!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলায় আওয়ামীলীগের সমর্থিত সংগঠন জাতীয় শ্রমিকলীগ নেতা আব্দুল হালিমের দায়েরকৃত মামলায় সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির বেশকজন শীর্ষ নেতা সহ ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে ৪৫ জন বিএনপি নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। যদিও স্থানীয়রা জানান, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল জলিল ও শ্রমিক লীগ নেতা আব্দুল হালিমের ব্যক্তিগত বিরোধের জের ধরে মারামারির ঘটনায় রাজনৈতিক রূপ দেয়া হয়েছে। বিএনপি নেতারা জানান- শ্রমিকলীগ নেতা হালিমের লোকজনের হামলায় আব্দুল জলিল মারাত্মক জখম হয়ে আইসিওতে ভর্তি রয়েছেন। অথচ তাকেই মামলায় আসামি করা হয়েছে।

এদিকে উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় বিএনপির ৪৫ নেতাকর্মীকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছে জাতীয় শ্রমিকলীগ মেঘনা শিল্পাঞ্চল শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল হালিম।

১৬ নভেম্বর বুধবার রাত ৮টায় পিরোজপুর ইউনিয়নের আষাড়িয়ারচর এলাকায় হামলার ঘটনায় আওয়ামীলীগ ও বিএনপির ৭ নেতাকর্মী আহত হয়। পরে বৃহস্পতিবার ২৫ জনের নাম উল্লেখসহ আরো১৫/ ২০জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে। মামলায় প্রধান আসামী করা হয়েছে উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রউফকে।

এছাড়াও জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী নজরুল ইসলাম টিটু, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক সেলিম হক রুমি, সোনারগাঁও পৌর বিএনপির আহ্বায়ক শাহজাহান মেম্বার, সদস্য সচিব মোতালিব মিয়া, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক শহিদুর রহমান স্বপন, পৌর বিএনপি নেতা সাদিকুল ইসলাম সেন্টু, উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি জাকারিয়া ভূঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম জনি, আব্দুল জলিল সহ মোট ২৫ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়।

মামলায় বাদী অভিযোগ করেন, স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা বেশ কয়েকদিন যাবত ওই এলাকার আওয়ামীলীগপন্থি সাধারণ মানুষকে আগামী ১০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় বিএনপির সমাবেশে যোগ দেয়ার জন্য নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করে আসছিল। এ ঘটনা জানার পর জাতীয় শ্রমিকলীগ মেঘনা শিল্পাঞ্চল শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল হালিম এর প্রতিবাদ করেন। পরে বুধবার রাতে পিরোজপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের আওয়ামীলীগ অফিসে এ বিষয়ে নেতাকর্মীদের সাথে আলাপকালে বিএনপি নেতাকর্মীরা পরিকল্পিতভাবে তাদের উপর হামলা করে। এ সময় অফিসে আসবাবপত্র ব্যাপক ভাংচুর করে এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবিও ভাংচুর করে। এ সময় হামলাকারীরা ইমন ও আরিফ নামে দুজনকে কুপিয়ে ও আব্দুল হালিমকে পিটেয়ে আহত করে। পরে তারা আব্দুল হালিমের সাথে থাকা ৫০,৫০০ টাকা লুট করে নিয়ে যায়।

এদিকে উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রউফ দাবি করেন, দীর্ঘদিন যাবত এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জন্য আব্দুল হালিম আমাদের বিরোধীতা করে আসছিল। বুধবার তার লোকজন আমাদের উপর হামলা চালিয়ে আব্দুল জলিল, বাবুল মিয়া, সবুর খান ও মেহেদী হাসানকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে। আব্দুল জলিল বর্তমানে মুমুর্ষ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছে।