ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশকে এমপি শামীম ওসমানের গাড়ি উপহার

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা মডেল থানায় গাড়ি সংকটের কারণে পুলিশ ডিউটি করতে সমস্যার সৃষ্টি হওয়ায় সঠিক সময়ে অপরাধ দমন সহ জনগণকে সেবাদানে চরমভাবে ব্যাঘাত ঘটছে। এতে করে ফতুল্লার বিভিন্ন এলাকায় অপরাধ কর্মকান্ড হলেও পুলিশ সঠিক সময়ে ঘটনাস্থলে পৌছে পারছে না। যার কারনে অপরাধীরা অপরাধ করে নিরাপদ স্থানে চলে যেতে পারছে। এমন পরিস্থিতির কারনে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমান ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশকে একটি গাড়ি উপহার দেন। এই গাড়ি দিয়ে পুলিশ যাতে বিভিন্ন এলাকায় নিয়মিত টহল সহ অপরাধ দমনে ডিউটি করতে পারেন।

বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) বিকেলে এমপি শামীম ওসমানের দেয়া একটি গাড়ি উপহার হিসাবে গ্রহন করেন ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রিজাউল হক দিপু।

এদিকে গাড়ির সংকটের কারনে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ সিএনজি, ইজিবাইক দিয়ে ডিউটি করতে বাধ্য হচ্ছে। অনেক সময় পুলিশ অফিসার গাড়ির অভাবে ডিউটির টাইমের ওভার হওয়ার পরও তার নিজের এরিয়ায় যেতে পারে না। এতে জনগন একদিকে যেমন পুলিশের সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে অন্যদিকে পুলিশ না থাকার কারনে অপরাধীরা বীরদ্বর্পে অপরাধ কর্মকান্ড করতে পারছে না। অনেক সময় দেখা যায় পুলিশের একটি টিম থানা থেকে বের হওয়ার পর গাড়ি না থাকায় রাস্তায় দাড়িয়ে প্রাইভেট সিএনজি আটক করে তাকে দিয়ে ১২ ঘন্টা ডিউটি করাচ্ছে। এতে করে ঐ সিএনজি চালক শুধু মাত্র সরকারী ভাবে গ্যাসের খরচটা পাচ্ছেন। তিনি কোন বাড়তি মজুরী পাচ্ছে না। অনেক সময় সিএনজি চালকরা পুলিশের ভয়ে থানার আশে পাশের এলাকায় পুলিশের ডিউটির শুরুতে ঐ এলাকা থেকে সরে থাকে। যাতে করে পুলিশ সিএনজি আটক করে ডিউটি করাতে না পারে। আবার অনেক সময় পুলিশ অফিসারের নিজের পকেটের টাকা খরচ করে ইজিবাইক ভাড়া নিয়েও ডিউটি করতে হচ্ছে। গাড়ির অভাবে পুলিশ ডিউটি করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রিজাউল হক দিপু জানান, গাড়ির সংকটে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ ডিউটি করতে পারছে না। সরকারী ভাবে গাড়ি বরাদ্ধ না থাকার কারনে পুলিশ বাধ্য হয়ে সিএনজি যোগে ডিউটি করতে হচ্ছে। অনেক সময় সিএনজি না পাওয়ার কারনে ডিউটির কয়েক ঘন্টা ওভার হওয়ার পরও উক্ত অফিসার তার এরিয়ায় যেতে পারে না। থানায় সরকারী গাড়ি মাত্র দুইটা। আর অফিসার কতগুলো। গাড়ি সংকটের বিষয় নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমান সাহেবকে অবগত করা হলে তিনি ফতুল্লা মডেল থানার জন্য একটি গাড়ি উপহার দেন। আর কয়েকটি গাড়ি হলে মোটামুটি ভাবে কিছুটা হলেও পুলিশ অফিসার ডিউটি বাদ দিয়ে আগে গাড়ি ধরার মত টেনশন থেকে রেহায় পেতো।