শুরু হয়েছে গণঅভ্যুত্থান, সরকারের কাপুনি ধরেছে, ১০ই ডিসেম্বর তাদের বিদায়: সাখাওয়াত

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, এই বর্তমান সরকার আজকে ১৫ বছর ধরে বাংলাদেশের মানুষকে শোষণ করছে। আজকে দ্রব্যমূল্যের যে অবস্থা, এ অবস্থা থেকে বাংলাদেশের মানুষ মুক্তি চায়। এদেশের মানুষ ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চায়। এদেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। সুতরাং সেই নির্বাচন করতে হলে আমাদেরকে আবার এদেশে ৭ই নভেম্বরের মতো এদেশের সকল সিপাহী জনতাকে নিয়ে একটি দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। আজকে সারা বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থান শুরু হয়ে গেছে। গণঅভ্যুত্থান শুরু হয়েছে চট্টগ্রামে, ময়মনসিংহে, বরিশালে, খুলনায় হয়ে গেছে। আরো কয়েকটি বিভাগে গণঅভ্যুত্থান হবে।‌ চূড়ান্ত গণঅভ্যুত্থান হবে সেই গণঅভ্যুত্থানের জন্য আমাদের সবাইকে প্রস্তুতি নিতে হবে। সেই গণঅভ্যুত্থান হলো আগামী ১০ই ডিসেম্বর ঢাকাতে। সেই সমাবেশকে সফল করতে হবে এবং ঢাকাকে জনগণের নিয়ন্ত্রণে আনে সেই ৭ই নভেম্বরের মতন এদেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে এই সরকারকে বাধ্য করা হবে ইনশাল্লাহ।

৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।সোমবার (৭ নভেম্বর) বিকেল ৩টায় নগরীর মিশনপাড়া হোসিয়ারি সমিতিতে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

তিনি আরো বলেন, জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে আমাদের যে শিক্ষা দেয় সে শিক্ষা হলো সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর শিক্ষা দেয়। সেদিন সিপাহী জনতা ওই সাম্রাজ্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে একত্রিতভাবে রুখে দাঁড়িয়ে ছিল বলেই শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে মুক্ত করতে পেরেছিলেন। সেদিন কিন্তু যে অবস্থা দেশে হয়েছিল তখন কিন্তু আওয়ামী লীগকেও নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। আজকে অঘোষিতভাবে এদেশে বাকশাল কায়েম করা হয়েছে। তাই নব্য বাকশাল থেকে আমাদেরকে মুক্ত হতে হবে। সেই মুক্ত হওয়ার একটি পথ সেটি হল আন্দোলন। সে আন্দোলনের জন্য আজকে সারা বাংলাদেশের মানুষ অগ্নি।

তিনি আরও বলেন, এদেশের মানুষ পশ্চিমা শাসক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ হয়েছিল এদেশের মানুষের গণতন্ত্র জন্য এবং মোটা ভাত ও মোটা কাপড়ের জন্য। কিন্তু ১৯৭৪ সালে এ আওয়ামী লীগ এদেশে দুর্ভিক্ষ উপহার দিয়েছিল। এদেশের বাসন্তীরা জাল করে লজ্জা নিবারণ করেছিল। ১৯৭৫ সালের ২৫শে জানুয়ারি বর্তমান আওয়ামী লীগ এ দেশে কবর রচনা করেছিল। সেই সময় সকল রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। শুধুমাত্র চারটি পত্রপত্রিকা ছাড়া সকল পত্রপত্রিকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এবং এদেশে একটিমাত্র দল ঘটনা করা হয়েছিল সে দলের নাম হলো বাকশাল। সে বাকশালরা দেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসে বিদেশি প্রভুদের ইন্দনে এদেশকে একটি তোলা বিহীন ঝুড়িতে পরিণত করেছিল। সে সময়ে ভারত ও রাশিয়ার ইন্দনে ৩রা নভেম্বর শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে বন্দী করা হয়েছিল। কিন্তু এদেশের সাধারণ মানুষ এই বিষয়টি মেনে নিতে পারিনি। সেই সময় ৭ নভেম্বর এ দেশে সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল। এবং সেনাবাহিনী সিপাহী ও পুলিশের সিপাহীরা সেইদিন মিলে ক্যান্টনমেন্ট থেকে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে মুক্ত করে এদেশের শাসন ক্ষমতায় অতিষ্ঠ করেছিল। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের যখনই ক্ষমতায় পেয়ে দেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রের দিকে নিয়ে যেতে চেয়েছিল ঠিক তখনই ১৯৮১ সালে দেশী বিদেশী চক্রান্তরা মিলে হত্যা করেছিল।

আগামী ১০ই ডিসেম্বর ঢাকার ঐতিহাসিক গণসমাবেশকে সাফল্যমন্ডিত করার জন্য নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি অঙ্গ সংগঠনের সকল নেতাকর্মীদের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী ১০ই ডিসেম্বরের গণসমাবেশের মাধ্যমে আমরাই দেশে জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করব ইনশাআল্লাহ। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের দলকে আবারো ক্ষমতায় আনতে হলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ আছি এবং ঐক্যবদ্ধ থাকব। আগামী দিনে আমাদের একটাই স্লোগান চল চল ঢাকা চল। আজকে থেকে আমরা সারা মহানগরের থানা ও ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে এই শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত করে তুলবো।

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপুর সঞ্চালনায় এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনির হোসেন খান, আনোয়ার হোসেন আনু, শাহ ফতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপন, এম এইচ মামুন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ডা. মজিবুর রহমান, মাসুদ রানা, নাজমুল হক রানা, শাহিন আহমেদ, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মমতাজ উদ্দিন মন্তু, সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম সজল, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাগর প্রধান, যুগ্ম আহ্বায়ক মোয়াজ্জেম হোসেন মন্টি, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি শাহেদ আহমেদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি রাফি উদ্দিন রিয়াদ, সাধারণ সম্পাদক মমিনুর রহমান বাবু, মহানগর যুবদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ অপু, যুবদল নেতা সম্রাট হাসান সুজন, মহানগর শ্রমিক দলের আহ্বায়ক এস এম আসলাম, সদস্য সচিব ফারুক হোসেন প্রমূখ।