ফতুল্লায় শিশু অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবির অভিযোগে স্বামী স্ত্রী গ্রেপ্তার

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ৬ বছরের এক শিশু কন্যা সানজিদাকে অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায় করার ঘটনায় অপহরনকারী স্বামী স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় পুলিশের দীর্ঘ সময়ের অভিযানের পর অপহৃত শিশুকে উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) রাত দেড়টার দিকে ফতুল্লার বিসিক ভাঙ্গা ক্লাব এলাকা হতে শিশুকে উদ্ধার করে অপহরণকারী স্বামী স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো ফতুল্লার পশ্চিম দেওভোগ নুর মসজিদ এলাকার শাহ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবিরের পুত্র শাহ মোঃ আজমির (২৪) ও তার স্ত্রী ইমু আক্তার (২২)।

শিশু উদ্ধারে অভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছেন ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোস্তফা কামাল খান। তাহার দক্ষতার কারণে অক্ষতা অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়।

এ ঘটনায় অপহৃত শিশুটির বাবা আব্দুল হক বাদী হয়ে অপহরনকারী স্বামী আজমির ও তার স্ত্রী ইমু আক্তারের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছে।

মামলার সূত্র এবং পুলিশ জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে পাগলা শান্তি নিবাস এলাকাস্থ বাসার সামনে খেলার সময় বাদীর ৬ বছর বয়সী শিশু মেয়ে সানজিদাকে কৌশলে অপহরণ করে আজমির। শিশুকে না পেয়ে তার পরিবারের লোকজন বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজির একপর্যায়ে রাত সাতটার দিকে গ্রেফতারকৃত আজমির শিশুর বাবার মোবাইল নাম্বারে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করে। পরে স্থানীয় ফ্যাক্সি লোডের দোকান মালিক আরিফের ফোনের একটি বিকাশ নাম্বার দিয়ে ২০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। শিশুর বাবা ফতুল্লা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। পরে ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোস্তফা কামাল খান বিকাশ নাম্বার ট্র্যাকিং করে ফ্যাক্সি লোডের দোকান সনাক্ত করে। এরআগে কৌশলে ঐ বিকাশ নাম্বারে দুই হাজার টাকা পাঠিয়ে বলে বাকী টাকা দিচ্ছি৷ এই বলে সময় নেয়া হয়। পরে দোকানদারের মাধ্যমে আজমিরকে বলে বিকাশে টাকা আসছে এসে নিয়ে যান। আজমির মুক্তিপনের টাকা নিতে এসে পুলিশের হাতে আটক হয়। পরে তাকে নিয়ে এসআই মোস্তফা কামাল খান শিশু উদ্ধারে অভিযানে বের হয়। আজমির পুলিশকে হয়রানি করতে একেক স্থানে নিয়ে যায়। পরে আজমিরের বাবা মা এবং মামা ও নানীকে পুলিশের কব্জায় নিয়ে আজমিরের ভাড়াটিয়া বাসা বিসিক ভাঙ্গা ক্লাব এলাকা থেকে শিশুকে উদ্ধার করা হয়। এসময় আজমিরের স্ত্রীকে আটক করা হয়।

এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোস্তফা কামাল খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানায়, শিশু অপহরনের ঘটনায় স্বামী- স্ত্রী সহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শিশুটির বাবা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। তবে শিশুকে উদ্ধারে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। কয়েক ঘন্টার অভিযানে শিশু উদ্ধারে সফল হওয়ায় আল্লাহর দরবারে লাখ লাখ শুকরিয়া আদায় করছি।