শামীম ওসমানকে ইঙ্গিত করে সাখাওয়াত: আবারো বোরকা পড়ে পালাতে হবে

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা ও নারায়ণগঞ্জ-৪( ফতুলা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য একেএস শামীম ওসমানকে ইঙ্গিত করে নারায়ণগঞ্জের আলোচিত আইনজীবী নেতা ও
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, নারায়ণগঞ্জের আওয়ামীলীগ নেতারা আবোল তাবোল কথা বলতে শুরু করেছেন। তারা এ ধরনের উল্টাপাল্টা কথা বলে যখন তাদের পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে যায়। তাই তাদের এই হুমকি ধামকিতে আর মানুষ ভয় পায় না। কারণ নারায়ণগঞ্জের মানুষ জানে সময় এসেছে তাদের আবারো বোরকা পরে পালিয়ে যাওয়ার। ২০০১ সালের মতো আবারো তাদেরকে বোরকা পরে পালাতে হবে।

জ্বালানী তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, বিদ্যুতের নজিরবিহীন লোডশেডিং, গণপরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধি, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং ছাত্রদলনেতা নুরে আলম ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আব্দুর রহিম হত্যার অভিযোগ তুলে প্রতিবাদে বিএনপি’র কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আওতাধীন ১৬নং ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সোমবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে মর্গান শেখ রাসেল নগর পার্কের সামনের রাস্তায় এই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুুষ্ঠিত হয়। ১৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আওলাদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মনিরুল ইসলাম রবি।

এডভোকেট সাখাওয়াত বলেন, আওয়ামীলীগ সরকার এদেশের গণতন্ত্র হরণ করে বাকশাল কায়েম করেছিলো। তখন সকল রাজনৈতিক দল বিলুপ্ত করে দেয়া হয়েছিলো এমনকি আওয়ামীলীগও তখন ছিলো না। সংবাদপত্রের অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছিলো। আজ আবারো সেই বাকশালের প্রতিধ্বনি শুনতে পাচ্ছি। কিন্তু এবার আর তাদের সে সুযোগ দেয়া হবে না। বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলে এদেশকে এই সরকারকে বিদায় করে এদেশের গণতন্ত্র পুন:প্রতিষ্ঠা করা হবে। সেজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রস্তুত থাকতে। নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আওতাধীন ১৬নং ওয়ার্ড বিএনপি ও সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা অতীতের মতো ভবিষ্যতেও রাজপথে তাদের অবস্থান ধরে রাখবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

বিক্ষোভ সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু, সহ- সভাপতি এড. সরকার হুমায়ূন কবির, সাংগঠনিক সম্পাদক এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, স্বাস্থ্য বিষয় সম্পাদক ডা. মজিবুর রহমান, জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মাসুকুল ইসলাম রাজিব, মহানগর যুবদলের আহবায়ক মমতাজউদ্দিন মন্তু, সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম সজল, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাগর প্রধান, যুগ্ম আহ্বায়ক মোয়াজ্জেম হোসেন মন্টি, যুবদল নেতা মাজহারুল ইসলাম জোসেফ, মহানগর যুবদলের সাবেক প্রচার সম্পাদক রাসেল আহমেদ মনির, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম মুসা, জেলা যুবদলের সাবেক সহ সভাপতি পারভেজ মল্লিক, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়সহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।

সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল ১৬নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন এললাকা প্রদক্ষিণ করে। এ সময় গ্যাস, বিদ্যুত ও জ্বালানী তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য কমানো এবং বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে শ্লোগান দেন নেতাকর্মীরা।