ফতুল্লায় বিএনপি নেতাদের নোংরা রাজনীতি!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নোংরা রাজনীতির চরম পর্যায়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানা বিএনপি নেতারা। সরকারি দল আওয়ামীলীগের সঙ্গে কোনো বিরোধে না জড়ালেও নিজ দলের নেতাদের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে তুমুল সমালোচনার সৃষ্টি করেছেন বিএনপি নেতারা। থানা বিএনপির শীর্ষ নেতা থেকে শুরু করে সকল পর্যায়ে এই নোংরামী নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে। কিন্তু জেলা বিএনপি কিংবা কেন্দ্রীয় বিএনপি এসব নোংরামির কোনো সুরাহ করছেন না। দল ক্ষমতায় না আসতেই নিজেদের মধ্যে প্রভাব বিস্তার নিয়ে নোংরা রাজনীতিতে মেটে ওঠেছে বিএনপি নেতারা।

স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী ও জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনিকে নিয়ে চরম নোংরা রাজনীতি শুরু হয়েছে।সান নারায়ণগঞ্জকে অনেকে জানান ১/১১ এর সময় রিয়াদ চৌধুরীর গ্রেপ্তারের ছবি দিয়ে ফতুল্লা জুড়ে পোস্টার করে কুৎসা রটানো হয়েছে। এর দুদিনের মাথায় মশিউর রহমান রনির ও বাবা, শ্বশুর সহ পরিবারের লোকজনের ছবি দিয়ে পোস্টার করে ফতুল্লা ছেয়ে ফেলা হয়। পোস্টার লাগানোর সময় দুজনকে আটকে করে রনি জানতে চাইলে এই পোস্টারের পেছনে রিয়াদ চৌধুরীর নাম বলে দেয়। নোংরা রাজনীতির দৃষ্টান্ত দেখাচ্ছেন রিয়াদ ও রনি।

এনায়েতনগর ওয়ার্ড বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সভাপতি মোখলেছুর রহমানকে হত্যা করা হয় কয়েক বছর পূর্বে। মুলত জুট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকান্ডে হয় যা গণমাধ্যমে প্রকাশিত। কিন্তু রনি কয়েক বছর যাবত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঈদ উপহার সেই বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ নেতার পরিবারে তুলে দিচ্ছেন। কারন মোখলেছুর রহমান রনির বোন জামাতা ছিলেন। এই ঘটনার বিষয়ে কেন্দ্রীয় বিএনপির কার্যালয়ের সামনে রনির ছবি বিকৃত করে ব্যানার নিয়ে রনির বিরুদ্ধে রনির শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেন ছাত্রদলের নেতাকর্মী পরিচয়দানকারীরা।

অন্যদিকে ফতুল্লা থানা বিএনপির আহ্বায়ক জাহিদ হাসান রোজেলের বিরুদ্ধে একটি ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা বিএনপি। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি গোপালগঞ্জ টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর মাজার জিয়ারত করতে গিয়েছেন। তবে তিনি গণমাধ্যমে দাবি করেছেন- বন্ধুদের সাথে তিনি পদ্মাসেতু দেখতে গিয়েছিলেন। তার আওয়ামী ঘরণার বন্ধুরা পদ্মাসেতু দেখে বঙ্গবন্ধুর মাজার জিয়ারত করেন। কিন্তু রোজেল সেখানে যাননি। এই বিষয়টি নিয়েও নোংরা রাজনীতিতে মেতেছে বিএনপি।

তবে ফতুল্লা থানা বিএনপির কমিটি গঠনের পর থেকেই আহ্বায়ক জাহিদ হাসান রোজেল ও সদস্য সচিব শহিদুল ইসলাম টিটু পৃথকভাবে রাজনীতি করছেন। কয়েক মাস পেরিয়ে গেলেও ফতুল্লা থানা বিএনপি এখন কমিটির সকলকে নিয়ে একটি মিটিং করতে পারেনি। উল্টো বেশকটি কর্মসূচি টিটু সাবেক এমপি গিয়াসদ্দীনকে নিয়ে করেছেন। ইউনিয়ন কমিটি গঠনের কোনো উদ্যোগ নিতেও পারেনি নতুন কমিটি। এরি মাঝে একটার পর একটা বিতর্কে জড়িয়ে যাচ্ছেন বিএনপির নেতারা।