হয়তো বরফ গলবে: সেলিম ওসমান, বরফ গলার প্রশ্নই আসেনা: এসপি হারুন

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জে সাম্প্রতিক সময়ে নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী এমপি একেএম শামীম ওসমানের লোকজন ও তার আত্মীয়স্বজন বিভিন্ন অভিযোগে যখন আইনের ফাঁদে জড়িয়ে যাচ্ছেন এবং তা নিয়ে যখন পুুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে প্রকাশ্য বিরোধ দেখা দিয়েছে তখন এমপি সেলিম ওসমান বলেছেন, এখন থেকে বরফ গলবে।’ তবে পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ বলেছেন বরফ গলার প্রশ্নই আসেনা।’

৯ এপ্রিল মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে বন্দরের লাঙ্গলবন্দে হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসব পূণ্য¯œান উদযাপন উপলক্ষ্যে আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৫(শহর-বন্দর) আসনের এমপি একেএম সেলিম ওসমান। ওই সভায় সভাপতিত্ব করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ।

প্রধান অতিথি এমপি সেলিম ওসমান বলেন, আমাদের চলে যেতে হবে। আমরা প্রশাসনে অনেক দেখেছি প্রয়োজনে তিন দিনেও চলে যেতে হয়েছে। প্রয়োজনে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আবার এমনও দেখেছি তিন বছর পার হয়ে গেছে আমরা যেতে দেইনি। আমরা জনপ্রতিনিধিরা আছি, ডিসি আছেন, এসপি আছেন, আমাদের আইনের মাধ্যমেই এগিয়ে যেতে হবে। আইনের মাঝে কোন রকম ঝগড়া বিবাদ হতে পারেনা। আমি যতক্ষন চেয়ারে থাকবো সেই চেয়ারকে সম্মান করতেই হবে। আজকে সাংবাদিকদের মাধ্যমেই হয়তো সাংবাদিকদের কলমেই বরফ হয়তো গলে যাবে। নয় হয়তো দেখবেন আগামীতে কোন মিটিং এ হয়তো আমি নাই, হয়তো ডিসি নাই, হয়তো এসপি নাই। যে কোন ঘটনা ঘটে যেতে পারে। কালকে ক্রু হয়ে যেতে পারে।

এমপি সেলিম ওসমানের বক্তব্যের পর এমন বরফ গলার বিষয়ে এসপি হারুন অর রশীদ বলেন, আমাদের মাঝে কোন বরফই নেই। বরফ গলার কোন প্রশ্নই আসেনা। আমরা উনারকে সম্মান করি উনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। সেই হিসেবে উনার প্রতি আমাদের অনেক ভক্তি শ্রদ্ধা থাকবে। উনার এলাকায় আইন শৃঙ্খলার বিষয়ে কাউকে গ্রেপ্তারের পর উনি যদি বলেন তাহলে অবশ্যই সেটা ভেরিফাই করব এবং ব্যবস্থা নিব।

এসপি আরও হারুন আরও বলেন, আপনার সংসদীয় এলাকা সদর থানার কালিরবাজারে আমরা এক দিনে ৪১ জন জুয়ারীকে গ্রেপ্তার করেছি। অনেকেই এঁটার সাথে জড়িত। আমরা চাই নারায়ণগঞ্জে একটা সুস্থ্য পরিবেশ বিরাজ করুক। আপনারা যারা আইন প্রেণতা রয়েছেন আমাদের কোন ভুল হলে বলবেন। আমাদের মধ্যে কোন বিরোধ নেই, কোন দ্বন্ধ নেই, কোন কথা কাটাকাটি হয় নাই।

এর আগে এমপি সেলিম ওসমান বলেন, শামীম ওসমান আমার ছোট ভাই। কিন্তু আমি যখন কোন অনুষ্ঠানে যাই তখন আমি মাননীয় সংসদ সদস্য, নারায়ণগঞ্জ-৪ বলেই অবহিত করি। টেবিলে এক, আর আমার বাসার ড্রয়িং রুমে আরেক। তাকে আমার সম্মানটা দিতেই হবে। সে করে আওয়ামীলীগ, আমি করি জাতীয়পার্টি। বাহিরে গেলে হয়তো দুজনে বিতর্কে অবস্থান নিতে পারি। আমি বলতে চাই যত বড় সমস্যাই হোক না কেন এক টেবিলে বসে সমাধান করা সম্ভব।

সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে এমপি সেলিম ওসমান বলেন, আমি নারায়ণগঞ্জের সাংবাদিকদের কাছে বিনীত অনুরোধ রাখবো যতক্ষন না ঘটে ততক্ষনে ঘটাই দিয়েন না। যতখানি রটে ততখানি ঘটে না। যত গর্জে তত বর্সায় না। সাংবাদিক ভাইয়েরা এত অস্থির হবেন না। আপনাদের অনেক আপন ভেবে কথাগুলো বলি। খোচাখুচি মাইরেন না। আমাদের নারায়ণগঞ্জে শান্তির ব্যবস্থা করেন। যদি আপনাদের কোন জিজ্ঞাসা থাকে আমি আছি, এসপি সাহেব আছেন, অন্যান্য যারা আছেন তাদেরকে জিজ্ঞাসা করবেন। সরাসরি কথা বলেন কথা না বলে কলম চালিয়েন না। আপনারা কিন্তু আজকে চেয়েছিলেন আজকে এমন একটা কিছু ঘটুক যাতে মিটিংটা বন্ধ হয়ে যায়।

তবে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে এসপি হারুন অর রশীদ বলেন, আজকে যে লক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জ থেকে নেতৃত্ব দিয়ে দেশটি স্বাধীন করেছি। মানুষ যেনো কোনভাবে কথা বলার সুযোগ না পায়, সেটা যেমন আমাদের দেখার দায়িত্ব তেমনি সাংবাদিক ভাইদেরও দায়িত্ব। আপনারা কোন বিষয়ে খোচা দিয়ে আমাদের মাঝে কারো সাথে কারো বৈরিতা সৃষ্টি করবেন না। তাহলে আপনাদের লেখনীর মাধ্যমে একটা সুন্দর নারায়ণগঞ্জ যেটা বলা যায় তাতে পুলিশ বাহিনীকে যেমন উৎসাহিত করবেন ্এবং যারা খারাপ লোক, সবচেয়ে খারাপ লোক মাদক ব্যবসায়ী, ভুমিদস্যূ, সন্তাসী চাঁদাবাজ তাদের বিরুদ্ধে আপনাদের লেখনীর মাধ্যমে পুলিশকে উৎসাহিত করবেন।

এমপি সেলিম ওসমান বলেন, আমাদের মধ্যে তর্ক বিতর্ক অনেক কিছুই হতে পারে। এমনও হতে পারে এখন পাশাপাশি বসে পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলছি, উনি আমার রাজনৈতিক দলের নেতাকে ধরে নিয়ে গেল। উনার সাথে অবশ্যই আমার কথাবার্তা হতে পারে। হতেই পারে। মিথ্যা ভুল তথ্যে ধরে ফেললেন তাতে উনার সাথে আমার ঝগড়াঝাটি হতেই পারে। এটা আমাদের কাজ। এসপি সাহেবের ভুল হলে আমার সঙ্গে ঝগড়া হতেই পারে। ঘরের ভাই বোনের যেমন ঝগড়া হয় সেভাবে হবে। এটাকে যেনো পুুজি করে নারায়ণগঞ্জকে যেনো ক্ষতিগ্রস্থ না করা হয়। আমরা কেউ চিরজীবনের জন্য আসি না। উনি (এসপি) হয়তো নারায়ণগঞ্জে ভাল করেছেন উনাকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া হবে। জাতীয় নির্বাচনে জরুরীভাবে উনাকে এখানে আনা হয়েছিল। আরেকজন এ রকম স্ট্রং এসপির প্রয়োজন আছে সেখানে নিয়ে যাওয়া হবে। উনার ট্রান্সফার হতেই পারে। আমরা হয়তো ব্যবসায়ী রাজনীতিক সবাই মিলে উনাকে হয়তো সেদিন বিদায় সংবর্ধনা দিব। এটা স্বাভাবিক ব্যাপার। ঝগড়াও হতে পারে আবার আমরা বিদায় সংবর্ধনাও দিতে পারি।

সেলিম ওসমান আরও বলেন, আমাদের ঝগড়া বিবাদে যেনো আমাদের উন্নয়ন বন্ধ না হয়। এ ধরনের যদি কোন পরিবেশ সৃষ্টি হয় তাহলে আমি সংসদ সদস্য থাকবোনা। আমি চাইনা আমার কারনে নারায়ণগঞ্জের মানুষের অশান্তির সৃষ্টি হোক।

সভায় পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ এমপি সেলিম ওসমানকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, আজকে যে প্রবলেমটা হয়ে যায় আমি যখন কাউকে ধরে আনি, তখন কিছু লোক থাকে যাদের কোন কাজকর্ম নেই। তারাই বলবে, দেখছেন আপনার লোকজনকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেল। তাকে পেয়েছে একটা জায়গায় হয়তো জুয়া খেলা ছিল, অথচা তেল চুরির সঙ্গে ছিল, অথবা মাদক ব্যবসায়ে জড়িত ছিল তাকে ধরে নিয়ে আসছে। এখন সেই লোকটা যদি কারো হয়ে যায়, তাহলে সমস্যা নেই। আপনি তাকে জামিন করাইয়া নিয়া আইসা পড়েন। তাহলে সমস্যা হতোনা কেউ জানলো না। আমি মনে করি উনি (সেলিম ওসমান) যে বক্তব্যটা রেখেছেন আইন সবার জন্য সমান। আমরা আদালতে পাঠাবো আপনারা নিয়া আসবেন।

এর আগে এসপি বলেন, নারায়ণগঞ্জে আমার আড়াই হাজার পুলিশ এখানে কাজ করছে। সেখানে কাজ করতে গিয়ে একটা দুইটা তিনটা পুলিশ ভুল করে ফেলতে পারে। সেই ভুলটা যদি আমি জানি তাহলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে আমি ব্যবস্থা নিব। ব্যবস্থা নিয়েছিও। অনেক পুলিশ সদস্যকে চাকুরীচুত্য করেছি। অনেক পুলিশ সদস্যকে আমি ক্লোজড করে রেখেছি কারন তাদের বিরুদ্ধে যখন কমপ্লেন আসছে। এটা নিয়ে ভুল বুঝাবুঝির কোন অবসান নেই।

পুলিশ সুপার আরও বলেন, উনি (সেলিম ওসমান) ব্যবসা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের বিষয়ে বলেছেন। আমি আরেকটা উনার সঙ্গে করতে চাই সেটা হলো মাদকটা নারায়ণগঞ্জ থেকে নির্মূল করতে হবে। এটার সঙ্গে যদি আপনি থাকেন তাহলে এখন যেভাবে মাদকের বিরুদ্ধে পুুলিশ অভিযান পরিচালনা করছে আগামীতে আরও দিগুণভাবে অভিযান পরিচালনা করবে। এখন মাদক ব্যবসায়ীদের পাওয়া যায়না,ইয়াবা ব্যবসায়ীদের পাওয়া যায়না, আমরা খুজছি। তেল চোরদের এখন আর পাওয়া যায়না। কারন ১৬৪ ধারায় জবানবন্ধি দিয়ে পালিয়েছে।

এসপি বলেন, আমি কাজ করতে চাই। আমরা কাজের সুযোগ চাই। আশা করি নারায়ণগঞ্জ যে একটা প্রাচ্যের ডান্ডি, যে নারায়ণগঞ্জে আওয়ামীলীগের জন্ম হয়েছে, যে নারায়ণগঞ্জে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু এসেছেন। সারা পৃথিবীর মানুষ নারায়ণগঞ্জে ব্যবসা বানিজ্য করেছেন, সেই নারায়ণগঞ্জকে যদি সুন্দর শহর গড়তে চাই তাহলে অবশ্যই মাদকের বিরুদ্ধে কাজ করতে হবে। সেই কাজটিই আমরা করছি। এখানে অনেক চাঁদাবাজ আছে, অনেক মাদক ব্যবসায়ী আছে, অনেক ভূমিদস্যূ আছে, সাধারণ মানুষ তাদের কাছে জিম্মি হয়ে আছে। আমরা শুধু সেগুলো দেখতে চাই। আপনি শুধু আমাদের সঙ্গে শেয়ার করবেন কারা ভুমিদস্যূতায় জড়িত, কারা তেল চুরির সাথে জড়িত, আপনি যেহেতু বলেছেন এগুলোর বিষয়ে আইনী ব্যবস্থা নিতে, আমরা পুলিশ বাহিনী আরও দিগুণ উৎসাহিত হয়ে এগুলোর বিরুদ্ধে কাজ করব। তবে অবশ্যই কোন নিরীহ মানুষ যেনো হয়রানি না হয়। কোন পুলিশ কর্মকর্তার দ্বারা সাধারণ মানুষ হয়রানির শিকার হলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এসপি আরও বলেন, এখন আমাদের পুলিশকে কোন দিকে ফেলানোর কেউ যেনো চেষ্টা না করে। আমরা আমাদের ওয়ে থেকে আমরা সঠিক পথে থেকে কাজ করতে চাই।’
সেলিম ওসমানকে ধন্যবাদ জানিয়ে এসপি বলেন, উনি পবিত্র মক্কা থেকে উনি আমাকে রিং দিয়েছেন যে, আমার সঙ্গে এক কাপ চা খাবেন। উনি আমাকে ¯েœহ করেন আদর করেন। এ কারনেই করেন উনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা।

এখানে উল্লেখ্যযে, গত ২৯ মার্চ শামীম ওসমানের ঘনিষ্ঠ কর্মী মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহনিজামের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় জিডি করেছিলেন ওই থানার ওসি শাহ মোহাম্মদ মঞ্জুর কাদের। জিডির একদিন পর ভারতে চলে গেছেন শাহনিজাম। এছাড়াও এর দুইদিন পর ফতুল্লায় ভাসমান মেরী আন্ডারসন জাহাজের বার থেকে বিয়ার ও মদ উদ্ধার করে পুলিশ ও ৬৮ জনকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় মামলায় শামীম ওসমানের শ্যালক তানভীর আহমেদ টিটুকে মাদক বিক্রয়ে সহযোগীতাকারী হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়। তিনিও ভারতে চলে গেছেন। এছাড়াও শিশু সাকি অপহরণের অভিযোগ করা হয় সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর নাজমুল আলম সজলের বিরুদ্ধে। তিনিও পরবর্তীতে ওমরাহ পালনে সৌদি আরবে চলে গেছেন। এর আগে শামীম ওসমানের আরেক কর্মী মীর হোসেন মীরুকে দুইবার মামলা ও গ্রেপ্তার করা হয়। শামীম ওসমানের ছেলে অয়ন ওসমানের শ্যালক বিকির বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা হয়। নারায়ণগঞ্জ শহরের একটি জুয়ার আসন থেকে ৪২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। মহানগর শ্রমিকলীগের সেক্রেটারি কামরুল হাসান মুন্না ও বর্তমান সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর কবির হোসেন সহ ২২জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়। এসব কঠোর অবস্থানের কারনে নারায়ণগঞ্জে পুলিশ সুপার সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করেছেন।

এসব ঘটনায় ব্যবসায়ীরা ইতিমধ্যে প্রতিবাদ সভা করেছেন গত বুধবার। ওই দিন নারায়ণগঞ্জ শহরে জেলা পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে মহড়া দিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ। ওইদিন শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে জলকামান, সাজোয়া যান, পুলিশ আর্ম কার দেখা যায়। এর আগে গত ২ মার্চ শামীম ওসমানের সমাবেশের সামনেও পুলিশের এমন প্রস্তুতি দেখা যায়। বুধবার পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ বলেছেন, অপরাধী কাউকে ছাড় দিব না, সে যত বড় ক্ষমতাশালী লোক হোক।’

এদিকে গত শনিবার ফতুল্লার বাংলা ভবনে জরুরী কর্মী সভা করেছেন শামীম ওসমান। যেখানে তিনি নারায়ণগঞ্জের সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আইভী, এসপি হারুন অর রশীদ ও কেন্দ্রীয় শ্রমিকলীগ নেতা কাউসার আহমেদ পলাশকে ইঙ্গিত করে বেশ কিছু বক্তব্য রাখেন। ওই কর্মী সভায় পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে শ্লোগানও দিয়েছিল নেতাকর্মীরা। পুুলিশের কঠোর অবস্থান নিয়ে বক্তারা সেদিন কঠোর সমালোচনাও করেন। এর আগে ৩ এপ্রিল ব্যবসায়ীরা প্রতিবাদ করেন। গত ৭ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেয়ার সিদ্ধান্ত জানালো পরবর্তীতে আর ব্যবসায়ীরা স্মারকলিপি দেননি।