নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছি তাতে কি? মানুষের সেবা করেই যাবো: কাজী লিটু

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ আগামী ১৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছিলেন জেলা জাতীয় যুব সংহতির যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী নাজমুল ইসলাম লিটু। কিন্তু দৃষ্কৃতিকারীরা কাজী লিটুর বাসায় কাফনের কাপড় রেখে যায় এবং এতে তার পিতা-মাতাকে ভয় দেখায়। যার ফলে মায়ের অনীহা থাকায় নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান কাজী লিটু। কিন্তু নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেও মোগরাপাড়া ইউনিয়নবাসীর উন্নয়নমুলক কর্মকান্ডের পূর্বের ধারাবাহিকতায় নিজেকে সক্রিয় রেখেছেণ তিনি।

তিনি মনে করেন, রাজনীতি হলো মানুষের সেবা করা। রাজনীতিতে মানুষের সেবা করা ছাড়া আর কোনো চাওয়া পাওয়া নেই। নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছি তাতে কি? মানুষের সেবা করেই যাবো। মানুষের সেবা করতে জনপ্রতিনিধি হতেই হবে তাতো নয়। জনপ্রতিনিধি হলে হয়তো বৃহত্তর আকারে মানুষের সেবা করা যায়। কিন্তু আমি মানুষের সেবার জন্য রাজনীতি করি, মানুষের সেবা করেই যাবো।

জানাগেছে, ৩ জুন শুক্রবার সকালে সোনারগাঁও উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের ৭নং ও ৯নং ওয়ার্ডবাসীর দাবীর প্রেক্ষিতে স্থানীয় এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা বিশেষ নির্দেশে উলুকান্দা থেকে কবরস্থান হয়ে কাইকারটেক নবাব হাবিব উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয় পর্যন্ত নতুন রাস্তা নির্মাণ শুভ উদ্বোধন করাকালে উপরোক্ত কথা বলেন কাজী নাজমুল ইসলাম লিটু।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- নির্বাচনে ৯ওয়ার্ড মেম্বার প্রার্থী হাজী আব্দুস ছামাদ মেম্বার, ৭নং ওয়ার্ডে মেম্বার প্রার্থী হাজী দুলাল, মো রফিকুল ইসলাম মোল্লা, হাজী মানিক, মো মাহাবুব ছাড়াও আতাউর রহমান প্রধান, মফিজুল দ্বীন ইসলাম মাস্টার, উলুকান্দা জামে মসজিদের সভাপতি হাজী আনোয়ার, জালালউদ্দিন, রফিক মোল্লা, সামু মিয়া খাদেম, সিরাজুল ইসলাম, নবিল মিয়া সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা কারী আসাদুল্লাহ।

এ সময় উপস্থিত ৭জন মেম্বার প্রার্থী ও স্থানীয়দের উদ্দেশ্যে কাজী নাজমুল ইসলাম লিটু বলেন, এখানে দুটি ওয়ার্ডের সীমানা দিয়ে রাস্তাটি যাবে। আমি নয়াগাঁও এলাকায় যখন রাস্তার কাজ করি তখন উলুকান্দা এলাকার মানুষজন আমাকে বলেছিলেন কবরস্থানের এই রাস্তাটি হলে অন্য রাস্তা দিয়ে ঘুরে যেতে হতো না, তুমিতো যদি এমপি সাহেবকে বলে কাজটি করে দিতে পারো তাহলে এলাকাবাসীর উপকার হতো।

মেম্বার প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে আরো বলেন, এলাকা যারা নির্বাচন করছেন ১৫ জুন পর্যন্ত আপনারা সবাই আমাদের মেম্বার, ১৫ তারিখের পরেও আপনারা সবাই মেম্বার, কারন পাস করবেন একজন, বাকিরা সহযোগীতা করবেন উন্নয়নে।

তিনি বলেন, আমি আপনাদের সন্তান, এলাকার উন্নয়নের জন্যই রাজনীতি করি। রাজনীতিতে চাওয়া পাওয়ার কিছু নাই। মানুষের সেবাটা যদি ঠিকমত করতে পারি তাহলে সকলের দোয়া পাওয়াটাই বড় পাওয়া। কে কোন দল করেন সেটা কোনো বিষয় না। আপনাদের ব্যক্তিগত পছন্দ অপছন্দ থাকতেই পারে, কিন্তু এলাকার উন্নয়নের জন্য আমরা সকলে ঐক্যবদ্ধ থাকবো। আর আমার নেতা জননেতা এমপি লিয়াকত হোসেন খোকার জন্য দোয়া করবেন যেনো উনি উনার জীবদ্দশায় সোনারগাঁয়ের অসমাপ্ত কাজগুলো করতে পারেন।