টানা তিনটি কর্মসূচিতে অনুপস্থিত থাকলে অব্যাহতি: যুবদল সভাপতি খোরশেদ

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের পর নেতাদের নিয়ে প্রথম সাংগঠনিক সভায় সংগঠনটির সভাপতি মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ তার কমিটিতে পদ পদবী পাওয়া যুবদল নেতাদের পদ পদবী ব্যবহারে সতর্ক করেছেন। পদ পদবী নিয়ে যারা রাজপথে থাকবেন না তাদের বাদ দেয়া হবে বলেও তিনি কঠোর ভাষায় বলেছেন। যারা টানা তিনটি কর্মসূচিতে থাকবেন না তাদেরকে অব্যাহতি দেয়া হবে বলেও হুশিয়ারী দেন তিনি। তিনি বলেছেন, পদ পদবী দেয়া হয়েছে কাজের জন্য,ব্যবহারের জন্য নয়।’ বিষয়টি নেতাকর্মীদের স্মরণে রাখারও তাগিদ দেন যুবদলের এই নেতা।

নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ যুবদল নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের কমিটি গঠন করা হয়েছে রাজপথের পরীক্ষীত নেতাকর্মীদের দিয়ে। যারা পদ পেয়েছেন তাদের পদ পদবী শুধুমাত্র ব্যবহারের জন্য দেওয়া হয়নি। দেওয়া হয়েছে রাজপথে কাজের জন্য। যারা কাজ করতে পারবেন তারাই থাকেবেন, আর পদ পদবী পাওয়ার পরে ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন তাদের বাদ দিয়ে দেয়া হবে। যারা পরপর তিনটি কর্মসূচিতে অনুপুস্থিত থাকবেন তাদেরকে কমিটি থেকে অব্যাহতি দেয়া হবে।’

নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের ২০১ সদস্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার পরে আয়োজিত ১ম সাংগঠনিক সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। ৭ এপ্রিল রবিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরের মাসদাইর মজলুম মিলনায়তনে এই সভার আয়োজন করা হয়।

যুবদল সভাপতি মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ আরো বলেন, নারায়ণগঞ্জে বিএনপির সবচেয়ে সক্রিয় সংগঠন হলো নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদল। মহানগর যুবদলের নেতাকর্মীরা যে পরিমান মামলা হামলার শিকার হয়েছেন অন্য কোন সংগঠনের বেলায় এতটা হয়নি। রাজপথে সক্রিয় থাকার কারনেই আমাদের বিরুদ্ধে নানা ধরলর অপপ্রচার হচ্ছে। যারা কাজ করে বেশী তাদের বিরুদ্ধে সমালোচনাও হয় বেশী। কিন্তু আমরা কোন সমালোচনার পরোয়া করিনা। আমাদের সামনে এখন একটাই মিশন আর তা হলো বিএনপির চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং সেই লক্ষ্যে সমস্ত দ্বিধাদ্বন্ধ ঝেড়ে ফেলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে আমাদের ঝাঁপিয়ে পরতে হবে। কারন বেগম জিয়ার মুক্তি না হলে দেশে গণতন্ত্র আসবেনা।

তিনি আরো বলেন, বিএনপির মত একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দলের অঙ্গ সংগঠনের কমিটি গঠনের বেলায় অনেক সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। কারন এখানে সবাই যোগ্য। তাই যাদেরকে সঠিকভাবে মূল্যায়ণ করা হয়নি আপনারা ভাবছেন- তাদের কাছে আমি আর আমার সংগঠনের সেক্রেটারী ক্ষমাপ্রার্থী এবং তাদেরকে পরবর্তীতে যথাযথ মূল্যায়ন করা হবে। কেউ মনে কোন ক্ষোভ রাখবেন না। খুব শীঘ্রই থানা ও ওয়ার্ড কমিটিগুলোও সম্মেলনের মাধ্যমে গঠন করা হবে।