নারায়ণগঞ্জ বিএনপিতে কাজী মনির ও মামুন মাহামুদেই আস্থা

আবদুল্লাহ আল মামুন, বিশেষ প্রতিবেদক:

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির নেতৃত্ব কাজী মনিরুজ্জামান মনির ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহামুদের উপর আস্থা রাখছে কেন্দ্রীয় বিএনপি। একই সঙ্গে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের কাছেও গ্রহণযোগ্য কাজী মনির ও মামুন মাহামুদের জেলা বিএনপির কমিটি। যে কারনে আংশিক কমিটি থেকে পূর্ণাঙ্গ কমিটিতেও তাদের দুজনকে নেতৃত্বে রেখেই সাজিয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি। ইতিমধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন হলেও তা প্রকাশ করা হয়নি কৌশলগত কারনে।

নারায়ণগঞ্জের নেতাকর্মীরা বলছেন- প্রায় দেড় যুগ পর নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হলো। এটা কাজী মনির ও মামুন মাহামুদের বিরাট সফলতা হিসেবেই দেখছেন নেতাকর্মীরা। এর আগে দেড় যুগেও বিএনপিকে কুক্ষিগত করে রাখায় পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়নি নারায়ণগঞ্জে। আংশিক কমিটির এক বছরের মাথায় এই পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনে সক্ষম হয়েছেন কাজী মনির ও মামুন মাহামুদ।

নেতাকর্মীরা বলছেন- সারাদেশে বিএনপির এখন ক্রান্তিকাল চলছে। একইভাবে রাজনৈতিক সংকটে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপিও। এমন সময় যোগ্য নেতৃত্ব দিয়ে নারায়ণগঞ্জ বিএনপিকে সুসংগঠিত করে রাখছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী মনিরুজ্জামান মনির ও সেক্রেটারি অধ্যাপক মামুন মাহামুুদ। ক্লিন ইমেজের দুই রাজনীতিকের উপর আস্থা রেখেছে কেন্দ্রীয় বিএনপি। তাদের নেতৃত্বেই এগিয়ে যাচ্ছে জেলা বিএনপি। কাজী মনির নিজেই একজন শিল্পপতি। যে কারনে তিনি কোন ব্যবসায়ী কিংবা হাউজিং প্রতিষ্ঠান থেকে তহরী আদায় করে নিজের পকেটে ভরছেন না। নিজের পকেটের টাকা দিয়েই নেতাকর্মীদের জামিনের ব্যবস্থা করছেন তিনি। দলের চেয়ার ব্যবহার করে কোটি কোটি টাকা তিনি আয়ও করছেন না। একই ভাবে মামুন মাহামুদ একজন শিক্ষক। দুজনই রাজনীতিতে ভদ্র হিসেবে পরিচিত।

নেতাকর্মীরা আরও জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে কাজী মনির ও মামুন মাহামুদের যোগ্য নেতৃত্বে স্বাধীনতা দিবসে নেতাকর্মীরা শোডাউন দিয়েছেন। এসব কারনে তৃণমূল নেতাকর্মীরা কাজী মনির ও মামুন মাহামুদের উপরই আস্থা রাখতে চান। তাদের নেতৃত্বেই আগামীতে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার আন্দোলন সংগ্রাম জোড়ালো হবে বলে মনে করছেন নেতাকর্মীরা।

নেতাকর্মীদের দাবি- নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনির নারায়ণগঞ্জ জেলার সকল নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে এক সাথে রাজনীতি করতে চান। তিনি চান না নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির মধ্যে কোন বিভেদ থাকুক। যদিও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কিছু কিছু নেতাকর্মী দলের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কাজী মনির মনে করেন সকলের একত্রে মিলেমিশে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনের মাধ্যমেই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা সম্ভব। আর সে লক্ষেই এগিয়ে যাচ্ছেন নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক।