আলীরটেক ইউনিয়নবাসীর মাঝে ছিলাম আছি থাকবো: সায়েম

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার নদীবেষ্টিত চরাঞ্চল আলীরটেক ইউনিয়ন। গত ১১ নভেম্বর আলীরটেক ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্টিত হয়েছে। নির্বাচনে বিপুল পরিমান জনসমর্থন নিয়ে আনারস প্রতীকে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সমাজ সেবক ও আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ সায়েম আহমেদ। নির্বাচনে তিনি ভোটের মাঠে জয়ী হতে না পারলেও জনগণের মনে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি।

নির্বাচন পরবর্তী ৩ ডিসেম্বর শুক্রবার বিকেলে আলীরটেক ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী সহ মাণ্যগণ্য ব্যক্তিবর্গ ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেছেন সায়েম আহমেদ। ওই সময় স্থানীয়রা তাকে বলেন, সায়েম তুমি নির্বাচনে হারোনি, তোমাকে হারানো হয়েছে। তুমি আলীরটেক ইউনিয়নবাসীর মন জয় করেছো। তুমি আলীরটেক ইউনিয়নবাসীর হৃদয়ে থাকবে। তোমার অধম্য সাহসিকতায় আন্দোলনের ফলে আলীরটেক ইউনিয়নবাসী ভোটের অধিকার ফিরে পেয়েছে।

ওই সময় সায়েম আহমেদ সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি আলীরটেক ইউনিয়নবাসীর মাঝে ছিলাম, আছি এবং থাকবো ইনশাহআল্লাহ। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যেনো মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আলীরটেক ইউনিয়নবাসীর সেবা করে যেতে পারি। জনপ্রতিনিধি না হয়েও মানুষের সেবা করা যায়। অতীতে যেভাবে মানুষের পাশে ছিলাম ভবিষতেও থাকবো।

শুক্রবার বিকেলে আলীরটেক গোপচর হয়ে কুড়েরপাড় এলাকায় যান এবং ওই সময় এলাকাবাসীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেন সায়েম আহমেদ।

এখানে উল্লেখ্যযে, নির্বাচনের বছর খানিক পূর্বে আলীরটেক ইউনিয়ন পরিষদের তৎকালীন চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মতিকে পূণরায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে নিজের সমর্থন ঘোষণা করেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান। আলীরটেক ইউনিয়নে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এই ঘোষণা করেছিলেন।

এমন ঘোষণার পর আবারো বিনা ভোটে মতিউর রহমান মতি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে যাচ্ছেন-এমন প্রচারণা চলে আলীরটেক ইউনিয়নে। যে কারনে নির্বাচন ও সুষ্ঠু ভোটের দাবিতে ইউনিয়নবাসীকে নিয়ে আন্দোলনে নামেন সায়েম আহমেদ।

নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পান মতিউর রহমান মতি। এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিত স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচনে নামেন সায়েম। এমন পরিস্থিতিতে মতি নৌকা প্রতীক পেয়েও নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণকে তার পক্ষে নামাতে পারেনি। মতির পরাজয় যখন নিশ্চিত তখন মতি অসুস্থ্যতার অজুহাতে নৌকা প্রতীক পেয়েও নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। পরে সাবেক চেয়ারম্যান জাকির হোসেন নৌকা প্রতীক নিয়ে আসেন।

এমন পরিস্থিতিতে জাকির হোসেনের নির্বাচনী প্রচারণাতেও ভাটা পড়ে যায়। হেফাজতের শীর্ষ নেতারা জাকির হোসেনের পক্ষে নামায় আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা জাকির হোসেনের দিক থেকে সরে আসেন। পরিস্থিতি অনুকুলে নিতে সায়েম আহমেদ ও তার নেতাকর্মী আত্মীয়স্বজনের নামে ঘটনা সাঁজিয়ে মামলা দায়ের করে সায়েমকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখা হয়। তবুও নির্বাচনের মাত্র ৪ দিন পূর্বে জামিন নিয়ে প্রচারণা নেমেই তাক লাগিয়ে দেন। কিন্তু নানা ষড়যন্ত্র ও প্রতিবন্ধকতায় সায়েমকে পরাজিত করানো হয়। এমনটাই দাবি স্থানীয়দের।