নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে ‘আনন্দধাম নারী নির্যাতন প্রতিরোধ সেল’ আত্মপ্রকাশ

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

২৫ নভেম্বর নারীর প্রতি সহিংসতা নির্মূলের জন্য জাতিসংঘ কর্তৃক ঘোষিত আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে আনন্দধাম আইনজীবী ফোরামের উদ্যোগে “ নারীর প্রতি সহিংসতা নির্মূলে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে আমাদের করনীয়” শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। আনন্দধাম আইনজীবী ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট শেখ মোঃ জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর একটি চাইনিজ রেস্তোরায় অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও নারায়ণগঞ্জ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রফেসর ডঃ শিরিন বেগম ও মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আনন্দধামের নির্বাহী চেয়ারম্যান হাসিনা রহমান সিমু।

আনন্দধাম আইনজীবী ফোরাম কর্তৃক আয়োজিত সেমিনারে ভার্চ্যুয়ালী উপস্থিত হয়ে আনন্দধামের চেয়ারম্যান তানভীর হায়দার খান নির্যাতিত নারীদের সহায়তা প্রদানের লক্ষে “আনন্দধাম নারী নির্যাতন প্রতিরোধ সেল” গঠনের ঘোষণা দেন।

বিশিষ্ট আইনজীবী অ্যাডভোকেট শেখ জসীম উদ্দিনকে ডিরেক্টর জেনারেল করে গঠিত ১১ সদস্য বিশিষ্ট এই সেলে প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে থাকবেন আনন্দধামের চেয়ারম্যান তানভীর হায়দার খান ও নির্বাহী চেয়ারম্যান হাসিনা রহমান সিমু।

এই সেল আনুষ্ঠানিকভাবে ১লা জানুয়ারি থেকে তার কার্যকর শুরু করার প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। প্রাথমিক অবস্থায় সহায়তা প্রত্যাশী নারীদেরকে আইনগত, সামাজিক ও নৈতিক সহযোগিতা করা হবে। আনন্দধাম আইনজীবী ফোরাম ১১ সদস্য বিশিষ্ট এই সেল পরিচালনার সার্বিক দায়িত্বে থাকবে।

সেমিনারে বক্তাগন বিশ্বব্যাপী নারী নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে তা প্রতিরোধে তাদের নিজস্ব প্রস্তাবনা রাখেন।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে আমাদের আর্থ সামাজিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে নারী নির্যাতন প্রতিরোধে সামাজিক সচেনতা বৃদ্ধির উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি এ সময় নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ্য করে বলেন নাগরিকদের সহযোগিতাই নারী নির্যাতন বন্ধে মুখ্য নিয়ামক।

হাসিনা রহমান সিমু সেমিনারে মুখ্য বক্তা হিসেবে বিশ্বে নারী নির্যাতনের একটি তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আমাদের করনীয় সম্পর্কে আনন্দধামের চিন্তা চেতনাকে তুলে ধরেন। তিনি বলেন নারী নির্যাতন প্রতিরোধে আনন্দধাম তার সাধ্য অনুযায়ী কাজ করে যাবে।

সিমু বাংলাদেশের ২০২০-২১ অর্থবছরের তথ্যতুলে ধরে বলেন এই সময়ে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের মোট ঘটনা ছিল ২১ হাজার ৭৮৯টি, যা তার আগের অর্থবছরে ছিল ১৮ হাজার ৫০২টি। সে হিসেবে মহামারিতে এক বছরে নারীর প্রতি সহিংসতার ঘটনা বেড়েছে ১৭ দশমিক ৭৬ শতাংশ। তিনি বলেন নারীর প্রতি সহিংসতা মানবসভ্যতার অমুছনীয় কলংক, তাই সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে।

এ সময় সেমিনারে অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন আনন্দধামের মহাসচিব আলহাজ্ব আবদুল মান্নান মিয়া, আনন্দধামের অতিরিক্ত চেয়ারম্যান মোঃ শাহ আলম, আজিজুল ইসলাম বাবু, ভাইস চেয়ারম্যান শ্যামল দত্ত, যুগ্ম মহাসচিব বিশ্বজিৎ সাহা, এডভোকেট ইসমাইল হোসেন, এনামুল হক প্রিন্স, মাকসুদুর রহমান হিটু, আবদুর রহমান বাচ্চু, বাহাউদ্দীন শাহ, বিপ্লব ঘোষ, মোঃ অভি, জাহাঙ্গীর ডালিম, লক্ষ্মী সরকার প্রমুখ।