সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে এখন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু নাইম ইকবাল। ৬ জন প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থীর মধ্যে ভোটারদের কাছে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য আবু নাইম ইকবাল। যিনি কয়েক বছর ধরে সোনারগাঁয়ে শিক্ষাঙ্গন ও ক্রীড়াঙ্গনে উন্নয়নে ব্যাপক ছোয়া দিয়ে সোনারগাঁয়ের মানুষের সেবা করে আসছিলেন। কাচপুর ইউনিয়নে অন্যান্য ইউনিয়ন থেকে সবচেয়ে বেশি ভোটার রয়েছে। এবার কাচপুরেই বিশাল শোডাউন করলেন আবু নাইম ইকবাল। তার নির্বাচনী পথসভায় হাজার হাজার মানুষের ঢল দেখা গেল।
নির্বাচনী প্রচারণার শেষ দিন শুক্রবার কাচপুর ইউনিয়নে পথসভা করেন কাচপুরের মানুষ। সেখানে তালা প্রতীকের প্রার্থী আবু নাইম ইকবাল যোগদান করেন। তিনি যোগদানের আগেই সেখানে হাজার হাজার মানুষ এসে জমায়েত হন। যেখানে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি শিল্পপতি মতিন খান, সুলতান খান, আমান খান, হাবিবুর রহমান খান, শাহআলম খান সহ স্থানীয় মান্যগণ্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু কাচপুর ইউনিয়ন থেকে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী বাবু ওমরও এত বড় জন জমায়েত ঘটাতে পারেনি তার কোন নির্বাচনী সভায়। বাবু ওমরের এলাকাতেই ইকবালের তালা প্রতীকের বিজয়ের সূর বেজে ওঠলো।
জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতায় নেমেছেন। এই ৬ জন প্রার্থীর মাঝে শিক্ষা, ক্রীড়া ও সমাজ সেবায় কার বেশি অবদান সেটা নিয়ে ভোটারদের মাঝে আলোচনা সরগরম। এসব ভূমিকায় সবার আগে এলাকার অলিগলির চায়ের দোকান ও হাট বাজারে ভোটারদের মাঝে আলোচনায় আবু নাইম ইকবাল। এছাড়াও উপজেলা পরিষদের সাবেক দুই ভাইস চেয়ারম্যান এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন ও শাহআলম রূপন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেও ভোটারদের কাছে তারা দুজনই ব্যর্থ হিসেবে চিহ্নিত। নির্বাচিত হওয়ার পর তারা উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে মিটিং ছাড়া আর কিছুতেই ভুমিকা রাখেননি। আরেক ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী বাবুল ওমর বাবু গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনেই দেখিয়েছেন তার আসল রূপ। কাচপুুরে যুবলীগ কার্যালয় ভাংচুর করে তিনি গুলিবর্ষণ করেছিলেন বলেও অভিযোগ ওঠেছিল সে সময়।
স্থানীয়রা বলছেন, সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী আবু নাইম ইকবাল সোনারগাঁয়ে ভোটের মাঠে নির্বাচনী হাওয়া সৃষ্টি করেছেন। সকল প্রার্থীদের আগেই তিনি সোনারগাঁয়ে নির্বাচনী মাঠ গরম করেছিলেন। স্থানীয় সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকার একনিষ্ঠ বিশ্বস্ত এই কর্মী ইতিমধ্যে সোনারগাঁয়ের শিক্ষক সমাজ, ক্রীড়া প্রেমী, ক্রীড়া সংগঠক ও জনপ্রতিনিধিদের সমর্থন আদায় করতে সক্ষম হয়েছেন। যদিও জনপ্রতিনিধি ঐক্য ফোরামের একটি অংশ শুধুমাত্র মৌখিকভাবে বাবু ওমরকে সমর্থনের কথা ঘোষণা করেন। কিন্তু বাকী জনপ্রতিনিধিদের সমর্থন গেছে ইকবালের পক্ষে। ইকবালের পক্ষেই জনপ্রতিনিধিরা পরবর্তীতে মাঠে নামেন। সোনারগাঁয়ের শিক্ষক সমাজও আনুষ্ঠানিকভাবে ইকবালকে সমর্থন ঘোষণা করেছে।
আরও জানাগেছে, সোনারগাঁয়ে যখন মাদকের ছড়াছড়িতে যুব সমাজ ও ছাত্র সমাজকে গ্রাস করার পথে তখন খেলাধুলায় তাদের মনোযোগী করতে খেলাধুলায় ঝুঁকে নিয়ে আসেন আবু নাইম ইকবাল। ছাত্র ও যুব সমাজের জন্য স্থানীয় এমপিকে সঙ্গে নিয়ে উপজেলার পরিত্যাক্ত স্টেডিয়ামটি উদ্ধার করে সেটাকে খেলার উপযোগী করেছেন ইকবাল। উপজেলায় শিক্ষার উন্নয়নে যার ভূমিকা অনেক। সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নেও পিছিয়ে নেই এই শিক্ষানুরাগী ও ক্রীড়া সংগঠক। এসব ভাল কাজের ফলে স্থানীয় এমপি লিয়াকত হোসেন খোকার প্রিয় পাত্র হিসেবে তিনি পরিচিতি পেয়েছেন সোনারগাঁয়ে। শিক্ষক সমাজ ও ক্রীড়া প্রেমীরাই সবার আগে তার নির্বাচনী মাঠ গরম করেছেন। নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হওয়ার আগেই ভোটের মাঠে সবার আগে একমাত্র ছিলেন আবু নাইম ইকবাল। কারন উপজেলায় নির্বাচিত হতে হলে শিক্ষক সমাজ, শিক্ষার্থীদের অভিভাবক শ্রেণি, ক্রীড়া প্রেমী, ক্রীড়া সংগঠক ও শিক্ষকের সমর্থন তার দিকে।