আলীরটেক ইউনিয়নে সায়েমের আনারস মার্কার গণজোয়ার

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার আলীরটেক ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোঃ সায়েম আহমেদের আনারস মার্কার গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। সাঁজানো মিথ্যা মামলা দিয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী সায়েম আহমেদকে হয়রানি করায় প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী জাকির হোসেনের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করছেন আলীরটেক ইউনিয়নবাসী। একই সঙ্গে সায়েম আহমেদের প্রতি ভোটারদের সহানুভুতির সৃষ্টি হয়েছে। ভোটাররা জাকির হোসেনের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। এক সাহসী যুবক যখন ইউনিয়নবাসীর ভোটের অধিকার রক্ষায় ভোটের লড়াইয়ে নেমেছেন তখন আলীরটেক ইউনিয়নবাসী মনে করছেন সায়েম আহমেদকে ভোট দিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা ভোটারদের ইমানী দায়িত্ব।

এসব কারনে চেয়ারম্যান প্রার্থী সায়েম আহমেদ দীর্ঘ হয়রানির পর জামিন নিয়ে মাত্র তিন দিনেই নির্বাচনী গণসংযোগে আনারস মার্কার গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। ভোটাররা বলছেন- সায়েম আহমেদকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে নির্বাচন থেকে দুরে রাখার চেষ্টা করা হলেও আলীরটেক ইউনিয়নবাসীর মনে জায়গা করে নিয়েছেন সায়েম। মামলায় হয়রানির কারনে সময়ের অভাবে সায়েম আহমেদ সকলের ঘরে ঘরে না যেতে পারলেও তাকেই আনারস মার্কায় ভোট দিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করবো। সায়েম যেখানেই যাচ্ছেন সেখানেই মা বোনদের ভীড় জমছে। গণসংযোগে গেলে সাহসী সংগ্রামী যুবক সায়েম আহমেদকে দেখতে মা বোনেরা ঘর থেকে বেরিয়ে তাকেই ভোট দিবেন বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। নারী ভোটাররা বলছেন- সায়েম আহমেদ আলীরটেকবাসীর ভোটের অধিকার ফিরিয়ে এনেছে, আমরা সেই ভোট তাকেই দিবো। কারন গত নির্বাচনে বিনা ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় আলীরটেকবাসী ভোট দিতে পারেননি। এই সায়েম আহমেদের আন্দোলনের ফলেই আজকে আলীরটেক ইউনিয়নবাসী ভোট দিতে পারবেন।

৫ নভেম্বর শুক্রবার দিনভর আলীরটেক ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড থেকে ২নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় দিনভর নির্বাচনী গণসংযোগ করে আনারস মার্কায় ভোট প্রার্থনা করেছেন তিনি।

এ ছাড়াও আলীরটেক ইউনিয়নের মানুষজন বলছেন- আলীরটেক ইউনিয়নের মাটির সন্তান, তাকেই ইউনিয়নের মানুষ ভোট দিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করবো। আলীরটেকের মানুষ অতীতের মত কোনো ভাড়াটিয়া কোনো বহিরাগতকে ভোট দিয়ে এবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত করবে না। যারা আলীরটেকের সাধারণ সহজ সরল মানুষকে বোকা বানিয়ে নারায়ণগঞ্জ নগরীতে ব্যবসায়িক সেক্টরে চেয়ারম্যান পদটি ব্যবহার করে শত শত কোটি টাকা কামিয়েছেন। কিন্তু আলীরটেক ইউনিয়নের মানুষ রয়েছেন অবহেলিত। উন্নয়ন ধারায় চরাঞ্চল আলীরটেক ইউনিয়নবাসী বঞ্চিত। কারন এখানে অতীতে যারা চেয়ারম্যান হয়েছেন তারা ভোটের সময় এলাকাবাসীর কাছে গিয়ে ভোট চেয়ে চেয়ারম্যান হলেও ভোটের পর তারা অবস্থান নিয়েছেন নগরীতে। কিন্তু এবার তারা এই ভুল আর করবে না। তারা সায়েমকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে চান, যার আলীরটেকের মাটির সাথে সম্পৃক্ততা রয়েছে, মানুষের সঙ্গে যার যোগাযোগ রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইউনিয়নের শক্ত প্রতিদ্বন্ধি স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ সায়েম আহমেদ ও তার আত্মীয়স্বজন- নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সাঁজানো ঘটনা সাঁজিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়েছিল। তাদের দাবি- মুলত সায়েম আহমেদকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে ফাঁকা মাঠে গোল দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়েই নির্বাচনী প্রচারণায় নেমেছেন এই প্রার্থী। আলীরটেক ইউনিয়নের জনপ্রিয় চেয়ারম্যান প্রার্থী সায়েম আহমেদকে হয়রানি করায় গণসংযোগে নামায় আনারস মার্কার গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

শুক্রবার আনারস প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করে গণসংযোগ করেন চেয়ারম্যান প্রার্থী সায়েম। ওই সময় ঘরে ঘরে গিয়ে মা-বোনদের কাছে ভোট প্র্রার্থনা করেন তিনি। তাকে দেখতে নারীরা ঘর থেকে বের হয়ে তাকে ভোট দিবেন বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। হয়রানি শেষে তাকে নির্বাচনী মাঠে দেখে মা-বোনেরা কেঁদে ফেলেন।

এ সময় স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী এবং স্থানীয় মাণ্যগণ্য ব্যক্তিবর্গ সহ সর্বস্তরের জনগণকে নিয়ে আনারস প্রতীকে ইউনিয়নের বেশকটি এলাকায় ভোট প্রার্থনা করেন সায়েম।

স্থানীয়রা আরো জানান, ষড়যন্ত্রের জাল বেধ করে ৩ নভেম্বর বুধবার আলীরটেক ইউনিয়নে আনারস প্রতীকে নির্বাচনী গণসংযোগে নেমেই তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তিনি। যেখানে শতশত নারী সহ হাজার হাজার জনতা তার নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করে, যা রীতিমত জনস্রোত সৃষ্টি হয়।

অন্যদিকে চেয়ারম্যান প্রার্থী মো: সায়েম আহমেদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন ২ নভেম্বর মঙ্গলবার।

প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থীর কুটকৌশলের পর অবাধ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের লক্ষ্যে মিথ্যা মামলায় স্বতন্ত্র প্র্রার্থীর আত্মীয়স্বজন ও নেতাকর্মীদের পুণরায় হয়রানি না করার দাবিতে এবং নিরীহ মানুষদের নির্যাতন না করার দাবিতে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং পুলিশের মহা-পরিদর্শক (আইজিপি) সহ ৮টি রাষ্ট্রীয় দপ্তরে লিখিত আবেদন করেছেন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী সায়েম আহমেদ।

গত ২৫ অক্টোবর সোমবার ও ২৬ অক্টোবর মঙ্গলবার চেয়ারম্যান প্রার্থী সায়েম আহমেদ এসব দপ্তরে লিখিত আবেদন করেন। লিখিত আবেদনে তিনি অভিযোগ তুলেছেন- ইউপি নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার লক্ষ্যে চেয়ারম্যান প্রার্থী সায়েম আহমেদ ও তার নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা কল্পকাহিনী সাঁজিয়ে গত ২২ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি হয়রানিমুলক মামলা দায়ের করে হয়রানি করা হচ্ছে এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রভাবিত করে এলাকার নিরীহ জনগণ সহ তার লোকজনকে এলাকা ছাড়ার হুমকি ধমকি দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

২৫ অক্টোবর সোমবার প্রধান নির্বাচন কমিশন, পুুলিশ হেডকোয়াটার্স আইজিপির কমপ্লেইন মনিটরিং সেল, পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি এবং ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার বরাবর লিখিত আবেদন করেন তিনি। এছাড়াও ২৬ অক্টোবর মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার, জেলা নির্বাচন কমিশনার ও নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর একই আবেদন তিনি দাখিল করেছেন।