রূপগঞ্জের কায়েতপাড়ায় নৌকা প্রার্থীর নেতাকর্মীদের উপর হামলায় আহত ১০

 

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী মোঃ জাহেদ আলীর নৌকা প্রতীকের গণসংযোগের সময় নাওড়া এলাকায় ২৭ অক্টোবর বুধবার রাত ৭টায় আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজানুর রহমানের সমর্থিত সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে।

আরো অভিযোগ- হামলাকারীরা ইট পাটকেল নিক্ষেপ, ১০/১২টি ককটেল বিষ্ফোরণ ও ৩/৮ ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে আতঙ্কের সৃষ্টি করা হয়। ‘অ্যাকশন অ্যাকশন-ডাইরেক্ট অ্যাকশন, হাত পা কাইট্টা লা- চোখ খুইলা লা’ এমন হুমকি স্বরূপ শ্লোগান দিয়ে নৌকা প্রতীকের সমর্থকদের উপর তারা হামলা চালায়।

একপর্যায়ে দু’পক্ষই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। হামলায় আওয়ামীলীগ নেতা পচু প্রধান, ফজলুল হক, যুবলীগ নেতা ওয়াসিম প্রধান, আমির হামজা, দুলাল, ডাগু মিয়া (২৫) আহত হয়। আহতদের রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হামলাকারীদের ধাওয়া করে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ৭টি ককটেল উদ্ধার করেছে।

কায়েতপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী মহিলালীগের সভাপতি জোসনা বেগম বলেন, নৌকা প্রতীকের গণসংযোগের সময় আওয়ামীলীগের বিদ্রোহীপ্রার্থী মিজানুর রহমানের নির্দেশে জসীম উদ্দিন জসুর নেতৃত্বে আমাদের গণসংযোগে সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়।

এ ব্যাপারে আওয়ামীলীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ জাহেদ আলী বলেন, ২৭ অক্টোবর বুধবার প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে আমার অনুপস্থিতিতে দলীয় নেতাকর্মীরা নাওড়া এলাকায় গণসংযোগকালে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বিনা উষ্কানিতে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজানুর রহমানের উপস্থিতিতে জসীম উদ্দিন জসুর নেতৃত্বে তার সমর্থিত সন্ত্রাসীরা অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অতর্কিত এ হামলা চালায়। হামলায় বহিরাগত সন্ত্রাসীরাও অংশ নেয়।

আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজানুর রহমান সংঘর্ষের ঘটনাস্থলে তার উপস্থিতি অস্বীকার করে বলেন, হামলার ঘটনায় আমার কোন কর্মী সমর্থক জড়িত নয়। এর বাইরে তিনি কিছু বলতে অনীহা প্রকাশ করেন। সুষ্ঠু তদন্ত করলেই সঠিক ঘটনা বেরিয়ে আসবে।

রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ বলেন, ঘটনাস্থল পুলিশ পরিদর্শন করেছে। নাওড়া এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। রাত ৯টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।