অভিযুক্ত ‘ভূমিদস্যু’ আনোয়ার: যার বিরুদ্ধে আন্দোলন, তাকে নিয়েই চুন্নুর মানববন্ধন!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার আনোয়ার হোসেনকে ভুমিদস্যু আখ্যায়িত করে তার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছিলেন সাবেক চেয়ারম্যান দেওয়ান উদ্দীন চুন্নু। অবশেষে সেই আনোয়ার হোসেনকে নিয়েই ভুমিদস্যূদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছেন চুন্নু। এ নিয়ে সোনারগাঁয়ে চুন্নুর ভুমিকা নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। যেসব কর্মকান্ডের জন্য আনোয়ার হোসেনকে দায়ী করে আন্দোলন করা হযেছিল এখণ সেই আনোয়ার হোসেনকে নিয়ে আন্দোলন শুরু করেছেন সাবেক চেয়ারম্যান চুন্নু।

এমন বিষয়টি ইঙ্গিত করে বর্তমান চেয়ারম্যান ইউসূফ দেওয়ান তার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আমার নোয়াগাঁও এর মানুষগুলো এতো সহজ সরল? আমি মাটি কাটবো সিন্ডিকেট করে আবার মানববন্ধন করবো মাটি কাটা বন্ধ করো। বাহ একই অঙ্গে কতো রূপ এতো অভিনয় সিনেমাকেও হার মানায়।’

ঘটনা সূত্রে জানাগেছে, সোনারগাঁ উপজেলার নোয়াঁগাও ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও নোয়াঁগাও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা দেওয়ান উদ্দিন চুন্নুর উদ্যােগে জামপুর ও নোয়াগাঁও ইউনিয়নে নদী খনন প্রকল্প নামে অবৈধ ভাবে ড্রেজার দিয়ে নদী থেকে বালু উত্তোলন ও আবাদী জমি কাটার প্রতিবাদে ২৬ সেপ্টেম্বর বিকেলে নোয়াগাঁও ইউনিয়নের লাধুরচর এলাকায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসুচি পালন করা হয়।

দেওয়ান উদ্দিন চুন্নু বক্তব্যে মানববন্ধনে অভিযোগ করেন, ব্রক্ষপুত্র নদী থেকে দীর্ঘদিন যাবৎ একটি সেন্ডিকেট মহল অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে। যার ফলে জামপুর ও নোয়াগাঁও ইউনিয়নের গোবিন্দপুর, লাধুরচর, চড়পাড়া, মহজমপুর, মকিমপুর, বশিরগাঁও মিরেরবাগ ঝালকান্দিসহ ২০টি এলাকা ভাঙ্গণের মুখে পড়েছে। ইতিমধ্যে কয়েকটি জায়গায় আবাদী ফসল ও কৃষিজমি ভেঙে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া লাধুরচর এলাকায় নদীর যে এলাকা খেকে বালু উত্তোলন করা হয়েছে সেখানে সনাতন ধর্মাবল্বীদের একটি পুরোনো শ্মশানটি রয়েছে। ফলে অবৈধ বালু উত্তোলনের কারণে যে কোনো শ্নশানটি সময় ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা করছে স্থানীয় সনাতন ধর্ম্বাবল্বীরা।

মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন- বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ ওয়াহিদ ভূঁইয়া, ইউপি মেম্বার মোঃ আনোয়ার হোসেন, সেলিম মিয়া, নুর রশিদ, মোাঃ খোরশেদ আলম প্রমূখ।

কিন্তু এই ঘটনার ‍পূর্বে গত বছরের ২৫ ডিসেম্বর মেম্বার আনোয়ার হোসেনকে এসব অপকর্মের জন্য দায়ী করে ভুমিদস্যু আখ্যায়িত করে মানববন্ধন করেছিলেন দেওযান উদ্দীন চুন্নু। আনোয়ার হোসেনের ছবি দিয়ে ব্যানার তৈরি করে মানবন্ধনটি করা হয়েছিল।

২০১৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবর আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী ও কৃষকরা। যা মিডিয়াতে ফলোও করে প্রচারিত হয়।