সোনারগাঁয়ে ঘোড়া নিয়ে মাঠে ৭ চেয়ারম্যান, এক মেয়র ও ওয়ার্ডে নির্বাচিত ৯০ জনপ্রতিনিধি

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে আগামী ৩১ মার্চ। এই নির্বাচনে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোশারফ হোসেনের সঙ্গে একমাত্র প্রতিদ্বন্ধি হিসেবে লড়ছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান কালাম। কালাম স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে দাড়িয়েছেন। তার পক্ষে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সোনারগাঁও পৌর মেয়র সহ উপজেলার বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে নির্বাচিত মেম্বারগণ সহ পৌরসভার কাউন্সিলররাও। এসব জনপ্রতিনিধিরা এখন ঘোড়া প্রতীকের পক্ষে মাঠে নেমেছেন। এদের সঙ্গে পিছন থেকে ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী কালামের পক্ষে সমর্থন জুগিয়েছেন স্থানীয় এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা।

জানাগেছে, সোনারগাঁও উপজেলায় ১০টি ইউনিয়ন পরিষদ ও একটি পৌরসভা রয়েছে। গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এখানে নৌকা প্রতীকে ৭ জন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। দুই জন জাতীয় পার্টি ও আরেকজন স্বতন্ত্র প্রার্থী। এসব চেয়ারম্যানদের মধ্যে ৭ জন রয়েছেন নৌকার প্রতীকের বিরুদ্ধে অর্থাৎ কালামের ঘোড়া প্রতীকের পক্ষে। একই সঙ্গে সোনারগাঁও পৌরসভার জনপ্রিয় মেয়র সাদেকুর রহমানও কাজ করছেন কালামের ঘোড়া প্রতীকের পক্ষে। এমনকি পৌরসভা নির্বাচনে যিনি নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে পরাজিত হয়েছিলেন সেই অ্যাডভোকেট এটি ফজলে রাব্বীও কাজ করছেন ঘোড়া প্রতীকের পক্ষে।

মাহফুজুর রহমান কালামের পক্ষে কাজ করছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান কালাম, নূরে আলম ও ফারুক ভূঁইয়াও। শুধু এসব চেয়ারম্যানরাই নয় তার পক্ষে কাজ করছেন ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যানেরাও। যাদের মধ্যে জানপ্রাণ দিয়ে মাঠে নেমেছেন সনমান্দি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দীন সাবু, বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাহাবুব রহমান সরকার সহ অন্যান্য সাবেক চেয়ারম্যানরাও। ঘোড়া নিয়ে পুরোদমে মাঠে রয়েছেন বারদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহিরুল হক, বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. আবদুর রউফ, জামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হা-মীম সিকদার শিপলু, শম্ভুপুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ, নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইউসুফ দেওয়ান, পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম ও কাচপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ ওমর।

এসব জনপ্রতিনিধি ছাড়াও কালামের পক্ষে কাজ করছেন পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও অন্যান্য ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন ওয়ার্ডে নির্বাচিত ৯০ জন জনপ্রতিনিধি। সোনারগাঁয়ে ব্যাপক আলোচিত জনপ্রতিনিধি ঐক্য ফোরাম। এই ফোরাম থেকে কালামকেই প্রার্থী হিসেবে সমর্থন ঘোষণা করা হয়। এই ফোরামের সভাপতি স্থানীয় এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা ও সেক্রেটারি হিসেবে রয়েছেন চেয়ারম্যান জহিরুল হক। এসব পর্যবেক্ষনে দেখা যায় এসব জনপ্রতিনিধিরা যখন নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে তখন মাঠে নৌকার প্রচারে বেশ প্রভাব পড়েছে। সেই সঙ্গে সোনারগাঁয়ে হাসনাত পরিবারের পরিবার কেন্দ্রীক রাজনীতি থেকে নেতাকর্মীরাও মুক্তি চায়। যে কারনে স্থানীয় আওয়ামীলীগের বিরাট অংশ এখন প্রকাশ্যেই নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে কালামের পক্ষে কাজ করছেন।