বাদলকে আব্দুল হাই: সেলিম ওসমান বলেছিলো মতলব পাঠিয়ে দিব

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

জাতীয় শোক দিবস ও একুশে আগস্ট উপলক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার গোগনগর ইউনিয়নে একটি অনুষ্ঠানে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদলকে উদ্দেশ্য করে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই বলেছেন, এখানে পাল্টাপাল্টি অনুষ্ঠান হচ্ছে, আমার সেক্রেটারি সাহেবও কিছু বক্তব্য রেখেছেন, পত্রিকায় আসছে, আমি কোনো উত্তর দিব না। কারন কয়েক মাস আগে এই আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান সাহেব উনার সম্পর্কে বলেছেন। উনি কোথা থেকে আসছেন, কিভাবে আসছেন, কারে ধইরা টাকা পয়সা বানাইছেন, কত টাকার মালিক হইছেন, নারায়ণগঞ্জ কলেজে ম্যানেজিং কমিটিতে থেকে কত টাকা মারছেন, এসব জাতীয়পার্টির এমনি সেলিম ওসমান সাহেব বলেছেন। উনাকে লাঙ্গলমার্কা আওয়ামীলীগার কন, আমি কইনা, কারন আমার সেক্রেটারি আমি তো কইতে পারি না। তো উনি কি পদার্থ এটা সেলিম ওসমান বলছেন, উনি মতলব থেইকা আসছে, মতলব পাঠাই দিমু, এসব সেলিম ওসমান সাহেব বলছেন। আমি কিন্তু বলবো না। আমিও বলবো, হয়তো অন্য কোনো মিটিংয়ে বলবো।

২৮ আগস্ট শনিবার সকালে গোগনগর ইউনিয়ন ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় চর সৈয়দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে এই সভায় এসব কথা বলেছেন আব্দুল হাই।

গোগনগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আজিজ মাস্টারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এ বি এম আজহারুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা আওয়ামীলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মজিবুর রহমান সিকদার, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন আহমেদ, গোগনগর ইউনিয়নের মেম্বার মোক্তার হোসেন সুকুম, বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য কামাল হোসেন, কিশোর মেলা ক্লাবের সভাপতি কবিরুল ইসলাম, ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল সরকার সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের বর্তমান সভাপতি আব্দুল হাই সম্পর্কে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদল। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার সনমান্দি ইউনিয়নে একটি জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শহীদ বাদল জানিয়েছেন, খন্দকার মোশতাকের চেয়ারে বসার জন্য খন্দকার মোশতাকের বাসায় গিয়েছিলেন আব্দুল হাই।

জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাইকে ইঙ্গিত করে শহীদ বাদল তার বক্তব্যে বলেন, কথায় কথায় হাইব্রিড বলেন, আরে হাইব্রিডটা কে দেখান না? আওয়ামীলীগে হাইব্রিডটা দেখান। আই এম দ্যা জেনারেল সেক্রেটারি অব নারায়ণগঞ্জ ডিস্ট্রিক আওয়ামীলীগ। যদি কোনো প্রমাণ করতে পারেন তাকে বহিষ্কার করা হবে।

শহীদ বাদল আরও বলেন, কোনো এক নেতা শুনলাম সেদিন এই সনমান্দি আইসা গেছে, ঘুইরা গেছে। আবার ওই গোগনগর আলীরটেকে উনি মিটিং কইরা আসছেন, সেখানে তিনি বললেন যে কমিটিতে হাইব্রিডের নাম ছিল, আমি সই করতে দেই নাই। আমি বলতে চাই জনাব আমি বাদল তখন কোথায় ছিলাম? আমি কি ছিলাম না সেখানে? আপনাকে জিজ্ঞেস করতে চাই আপনি কিসের মুক্তিযোদ্ধা? আপনি কোন সেক্টরে আপনি যুদ্ধ করেছিলেন তার প্রমাণ দেখান। মানুষ বলে, আপনার বোনের জামাই এমপি ছিল, খন্দকার মোশতাকের দলে ডুকার জন্য লাইন দিয়ে খন্দকার মোশতাকের বাসায় আপনি গিয়েছিলেন। যদি প্রমাণ চান এটা মানুষ প্রমাণ দিবে। বেশি কথা বলবেন না, কথা কম বলবেন।

২৭ আগস্ট শুক্রবার বিকেলে চকবাজার এলাকায় সনমান্দি ইউনিয়ন পরিষদের আগামী নির্বাচনে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি নজরুল ইসলামের আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস ও একুশে গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শহীদ বাদল। এতে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. আবু জাফর চৌধুরী বিরু।