বন্দরে মসজিদ উন্নয়নে কোটি টাকার ভূমি ক্রয় করলো আল-আমিন পঞ্চায়েত কমিটি

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

মসজিদের সম-সমায়িক পরিচালনা করে দেড় বছরে কোটি টাকার জায়গা ক্রয় করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বন্দরের আল আমিন পঞ্চায়েত কমিটি। তাদের দাবি- কমিটি গঠন হওয়ার মাত্র দেড় বছরে আল-আমিন জামে মসজিদ উন্নয়নে প্রায় ১ কোট টাকার জায়গা কিনে দিয়ে এক অনন্যা দৃষ্টান্ত স্থাপনা করেছে বন্দর আমিন আবাসিক এলাকা পঞ্চায়েত কমিটি।

২৫ আগস্ট বুধবার সকালে বন্দর সাব রেজিস্ট্রেশনে ৪ শতাংশ পরিমান জায়গা আল-আমিন জামে মসজিদের নামে রেজিষ্ট্রেশন করা হয়। যার মূল্য ৯৪ লক্ষ্য ৫০ হাজার টাকা এবং রেজিষ্ট্রেশন ফি ২ লক্ষ্য ৫০ হাজার টাকা।

এতো অল্প সময়ে বন্দরে আভিজাত্য মানের আমিন আবাসিক এলাকায় এমন অধিক মূল্যের জায়গা কিনে বেশ আলোচনা সৃষ্টি করেছেন আমিন আবাসিক এলাকা পঞ্চায়েত কমিটির নেতৃবৃন্দ।

মসজিদ উন্নয়নে ৪ শতাংশ এই যায়গা ক্রয় করতে নানা বাধা ও ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে হয়েছে বর্তমান পঞ্চায়েত কমিটিকে।
অবশেষে সকল ষড়যন্ত্রের অবসান ঘটিয়ে বুধবার এ জায়গা রেজিষ্ট্রেশন করা হয়।

এ বিষয়ে আমিন আবাসিক এলাকা পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি মোঃ মোজাম্মেল হক বলেন, আমাদের যে মসজিদটি রয়েছে তা এই এলাকাবাসীর জন্য যথেষ্ট ছিলনা। বিগত সময় যারা দীর্ঘদিন এ কমিটি পরিচালনা করেছেন। কিন্তু সেতুলানায় মসজিদের তেমন কোন উন্নয়ন হয়নি।

এলাকাবাসীর চাহিদা সরূপ আমরা কমিটি গঠন হওয়ার পর থেকেই আমরা এলাকাবাসীর শান্তি-শৃঙ্খলা ও মসজিদ উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি।

কমিটির সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান বলেন, আমাদের লক্ষই আমিন আবাসিক এলাকাকে সম্পুর্ন আবাসিক এলাকা হিসেবে রূপান্তরিত করা। আমরা কমিটির দায়িত্ব নেয়ার পরথেকেই কমিটির নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয়দের সাথে নিয়ে এলাকার সার্বিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি।

এলাকা সুরক্ষিত করার লক্ষে আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে প্রতিটি গলিতে সিকিউরিটি গেইট স্থাপনা করা হয়েছে। এলাকার যুব সামাজকে মাদক মুক্ত ও রাখতে যুবকদের রাখা হয়েছে সতর্ক বস্থায়। মসজিদ প্রসস্থ করতে কেনা হয়েছে ৪ শতাংশ পরিমান যায়গা। আমিন আবাসিক এলাকার সার্বিক উন্নয়ন ও শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় আমরা আমাদের এই কমিটি নেতৃবৃন্দ সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সর্বদা প্রস্তুত আছি। আমিন আবাসিক এলাকা পঞ্চায়েত কমিটির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সাক্ষাৎকারে তারা এসব কথা বলেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, কমিটির সহ-সভাপতি আশরাফ উদ্দিন খান,সহ-সভাপতি মোঃ ইব্রাহীম সরকার,সহ-সভাপতি এস টি আলমগীর সরকার,সহ-সভাপতি মোঃ কবির হোসেন, কোষাধক্ষ মোঃ জাহাংগীর সরকার,সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মিল্টন,ইঞ্জিনিয়ার মোঃ শাহীন,মোঃ শহিদুজ্জামান অহিন,নুর মোঃ,মোঃ সিরাজ,আঃ মজীদ সরকার,বন্দর থানা মুক্তিযুদ্ব প্রজন্ম লীগের আহ্বায়ক মোঃ মাসুম আহমেদসহ স্থানীয় বাড়িওয়ালাগণ।