সোনারগাঁয়ে নৌকার পক্ষে নামলো পিরোজপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোশারফ হোসেনের পক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারণায় নেমেছে উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা। এ বিষয়ে ১৬ মার্চ শনিবার ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে তারা মত বিনিময় সভাও করেছেন। পিরোজপুুর ইউনিয়নের মেঘনা বাসস্টান্ড এলাকায় অবস্থিত আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে এই মতবিনিময় সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।

মতবিনিময় সভায় পিরোজপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক ডাঃ আতিকুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফ হোসেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক সভাপতি নেকবর হোসেন নাহিদ, জেলা যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাহফুজ মিয়া, হালিম মিয়া, আশেক আলী, কুদরত আলী, নজরুল মোল্লা, আনোয়ার হোসেনসহ বিভিন্ন ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

মতবিনিময় সভায় নেতারা আগামী ৩১ মার্চ নির্বাচনে নৌকার প্রতীকের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে সকলকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার আহবান জানান। একই সভায় পিরোজপুর আওয়ামীলীগের আহবায়ক অসুস্থ্য ফিরোজ মোল্লার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া করা হয়।

এই নির্বাচনে সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদে নৌকা প্রতীক পান উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন। মাহফূজুর রহমান কালাম মনোনয়ন চাইলেও তিনি পাননি। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচ করতে আওয়ামীলীগ থেকে কোন ধরনের বাধা নিষেধ না থাকায় তিনি নির্বাচনে লড়ছেন। মোশারফ হোসেন হলেন আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাতের আপন চাচা। এই নির্বাচনে চাচা ভাতিজা নৌকার পক্ষেই কাজ করছেন।

অন্যদিকে মাহফুজুর রহমান কালামের পক্ষে নেমেছেন উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদের সাত চেয়ারম্যান এবং ৯০ জন কাউন্সিলর ও মেম্বারগণ। কালামের পক্ষে রয়েছেন সোনারগাঁও পৌর মেয়র সাদেকুর রহমানও। উপজেলা আওয়ামীলীগের কমিটির প্রায় সকল নেতারাও রয়েছেন কালামের পক্ষে। স্থানীয় এমপি লিয়াকত হোসেন খোকার সমর্থনও কালামের দিকেই। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এমপি খোকার পক্ষে কাজ করেছিলেন কালাম। আর নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী সিংহ প্রতীকে কায়সার হাসনাত নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেও নির্বাচনের ভোট গ্রহণের ৭২ ঘন্টা আগে নানা নাটকীয়তার পর তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাড়ান। ফলে এখানে দ্বিতীয় বারের মত এমপি নির্বাচিত হন এমপি খোকা।